
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকীতে সেমিনার আয়োজন করেছে উদীচী। সোমবার বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের ৭ম তলায় সেমিনার কক্ষে আয়োজন করা হয় এ সেমিনার। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত সেমিনারের বিষয় নির্ধারণ করা হয় রণেশ দাশগুপ্ত রচিত প্রবন্ধ, ‘শ্রেণীদৃষ্টিতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের চিত্তভূমি’।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন। এছাড়া, আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, উদীচীর সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, বিশিষ্ট আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ, লেখক দীপংকর গৌতম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ডা. রফিকুল হাসান জিন্নাহ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী এবং শিক্ষাবিদ ড. কাজী তামান্না।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন সেমিনারে উপস্থিত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীরা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম বিষয়ে বলা হয়, জনগণের একটি বিশেষ অংশ ছাত্রসমাজ বরাবরই এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৯৫২ বাংলা ভাষার সংগ্রামের স্রষ্টা ছিল। তারাই ১৯৬৯ গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি সমন্বিত এগারো দফা আন্দোলনের স্রষ্টা হয়েছে। গণআন্দোলনের উদ্যোগ গ্রহণকারী ছাত্রসমাজের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান হারে সংগ্রামী জনতার সংযোগ স্থাপিত হয়েছে গত চব্বিশ বছরে। স্বাধীন পূর্ব বাঙলার ঘোষণাটিও এসেছে ছাত্র সমাজের মধ্য থেকে।
শ্রমিক শ্রেণি বসে থাকেনি। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব-বিরোধী সংগ্রামে পূর্ব বাঙলার সাধারণ ধর্মঘট প্রমাণ করেছিল যে, মূলত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব শ্রমিক শ্রেণির হাতেই যাওয়া উচিত। কিন্তু এ ঘটনা পারস্পর্য রক্ষা করতে পারেনি। এই কারণেই সংগ্রামী ছাত্রসমাজকে শ্রমিকশ্রেণি বরং লালন করারই দায়িত্ব নিয়েছে। পূর্ব বাঙলার গণমুক্তি ছাত্রসত্তাকে জনৈক বুদ্ধিজীবী পূর্ব বাঙলার একটি ছাত্র সম্মেলনে কাব্যিকভাবে উপস্থিত করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য: নদীমাতৃক পূর্ব বাঙলার একটি নতুন ধরনের নদী হচ্ছে ছাত্র আন্দোলন। এই নদী পূর্ব বাঙলার মুক্তি আন্দোলনের প্রাণ।
এতে আরো বলা হয়, গত চব্বিশ বছরে পূর্ব বাঙলার ছাত্রসমাজ এবং তারই পাশাপাশি শ্রমিক, কৃষক এবং অন্যান্য মেহনতী মানুষের চিত্তভূমি যে-বৈপ্লবিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে, সেটা একটা পরম্পরার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়ে এগিয়ে এসেছে। বৈপ্লবিক শ্রমিকশ্রেণির দৃষ্টিতে একে দেখার অর্থ, একে ভেঙে ভেঙে টুকরো করে দেখা নয়। যে-বাঙালি জাতীয়তাবাদী বার্তাবরণের মধ্যে শ্রমিক-কৃষক ও অন্যান্য মেহনতী মানুষের মুক্তির অনিবার্যতা রয়েছে, তাকে ভেঙে ফেলে দেবার ব্যাপার নয়। বাঙলার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত মেহনতী মানুষের মুক্তিকে অনিবার্য করে তোলাই একে বৈপ্লবিক শ্রেণি-দৃষ্টিতে দেখা।
বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জানুয়ারি মাসেই ৯টি বিভাগে ৯টি আলাদা বিষয়ে ‘রণেশ দাশগুপ্ত স্মারক সেমিনার’ আয়োজন করবে উদীচী।

বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকীতে সেমিনার আয়োজন করেছে উদীচী। সোমবার বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের ৭ম তলায় সেমিনার কক্ষে আয়োজন করা হয় এ সেমিনার। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত সেমিনারের বিষয় নির্ধারণ করা হয় রণেশ দাশগুপ্ত রচিত প্রবন্ধ, ‘শ্রেণীদৃষ্টিতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের চিত্তভূমি’।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন। এছাড়া, আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, উদীচীর সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, বিশিষ্ট আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ, লেখক দীপংকর গৌতম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ডা. রফিকুল হাসান জিন্নাহ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী এবং শিক্ষাবিদ ড. কাজী তামান্না।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন সেমিনারে উপস্থিত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীরা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম বিষয়ে বলা হয়, জনগণের একটি বিশেষ অংশ ছাত্রসমাজ বরাবরই এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৯৫২ বাংলা ভাষার সংগ্রামের স্রষ্টা ছিল। তারাই ১৯৬৯ গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি সমন্বিত এগারো দফা আন্দোলনের স্রষ্টা হয়েছে। গণআন্দোলনের উদ্যোগ গ্রহণকারী ছাত্রসমাজের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান হারে সংগ্রামী জনতার সংযোগ স্থাপিত হয়েছে গত চব্বিশ বছরে। স্বাধীন পূর্ব বাঙলার ঘোষণাটিও এসেছে ছাত্র সমাজের মধ্য থেকে।
শ্রমিক শ্রেণি বসে থাকেনি। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব-বিরোধী সংগ্রামে পূর্ব বাঙলার সাধারণ ধর্মঘট প্রমাণ করেছিল যে, মূলত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব শ্রমিক শ্রেণির হাতেই যাওয়া উচিত। কিন্তু এ ঘটনা পারস্পর্য রক্ষা করতে পারেনি। এই কারণেই সংগ্রামী ছাত্রসমাজকে শ্রমিকশ্রেণি বরং লালন করারই দায়িত্ব নিয়েছে। পূর্ব বাঙলার গণমুক্তি ছাত্রসত্তাকে জনৈক বুদ্ধিজীবী পূর্ব বাঙলার একটি ছাত্র সম্মেলনে কাব্যিকভাবে উপস্থিত করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য: নদীমাতৃক পূর্ব বাঙলার একটি নতুন ধরনের নদী হচ্ছে ছাত্র আন্দোলন। এই নদী পূর্ব বাঙলার মুক্তি আন্দোলনের প্রাণ।
এতে আরো বলা হয়, গত চব্বিশ বছরে পূর্ব বাঙলার ছাত্রসমাজ এবং তারই পাশাপাশি শ্রমিক, কৃষক এবং অন্যান্য মেহনতী মানুষের চিত্তভূমি যে-বৈপ্লবিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে, সেটা একটা পরম্পরার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়ে এগিয়ে এসেছে। বৈপ্লবিক শ্রমিকশ্রেণির দৃষ্টিতে একে দেখার অর্থ, একে ভেঙে ভেঙে টুকরো করে দেখা নয়। যে-বাঙালি জাতীয়তাবাদী বার্তাবরণের মধ্যে শ্রমিক-কৃষক ও অন্যান্য মেহনতী মানুষের মুক্তির অনিবার্যতা রয়েছে, তাকে ভেঙে ফেলে দেবার ব্যাপার নয়। বাঙলার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত মেহনতী মানুষের মুক্তিকে অনিবার্য করে তোলাই একে বৈপ্লবিক শ্রেণি-দৃষ্টিতে দেখা।
বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জানুয়ারি মাসেই ৯টি বিভাগে ৯টি আলাদা বিষয়ে ‘রণেশ দাশগুপ্ত স্মারক সেমিনার’ আয়োজন করবে উদীচী।

রিচার্জের পর টাকা না ব্যবহৃত থাকলে তা তিন মাস পর্যন্ত বৈধ থাকবে। যদি যাত্রী স্পর্শ না করেন, তাহলে ১০% সার্ভিস চার্জ কেটে রিচার্জ করা টাকা ফেরত নেওয়া যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যে বয়সের ছেলে-মেয়েদের দেখেছিলাম, ২৪ এর যুদ্ধে আবার সেই তরুণ ছেলে-মেয়েদেরকে রাস্তায় খুব কাছে থেকে তোমাদের পাশে থেকে দেখলাম।
৫ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে কোনো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে কি না এবং আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রায় হওয়ার পরে কোনো রকম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার শঙ্কা নেই।’
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও ভোটে বড় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলোর। দলগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করলে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি চাপ নিতে হয় না।
৬ ঘণ্টা আগে