
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

সূচনা হলো বাঙালির জীবনে এক পরম গৌরব ও অহংকারের মাস, ডিসেম্বর। ৫৪ বছর আগে এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাই প্রতিবছর ডিসেম্বর এলেই বাংলার প্রকৃতিতে, আকাশে-বাতাসে এক অন্যরকম শিহরণ জাগে।
বিজয়ের ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঠিক মধ্যরাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি প্রান্তেই বিজয়ের মাসকে বরণ করে নেওয়ার উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে। এটি শুধু একটি মাস নয়, এটি ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনা আর চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ।
একাত্তরের এই মাসেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা দুর্বার গতিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল, যার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে শত্রুপক্ষের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
আজ ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বিজয়ের মাসের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এই বিশেষ দিনটিকে বরণ করে নিতে রাজধানী জুড়ে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। সরকারিভাবে ১ ডিসেম্বর নিয়ে কোনো বড় কর্মসূচি না থাকলেও দিনটি দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সংগঠন দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনতা জড়ো হবেন। সেখানে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শপথ গ্রহণ ও র্যালির মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিজয়ের মাসের প্রথম সকালে লাল-সবুজের পতাকায় সজ্জিত হয়ে মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে সেইসব সূর্যসন্তানদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন ভূখণ্ড।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনও আজ বিকেল থেকে মুখর হয়ে উঠবে বিজয়ের গানে আর প্রাণের উৎসবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিজয়ের মাসকে বরণ করতে আয়োজন করেছে মাসব্যাপী জমকালো ‘যাত্রাপালা উৎসব’। গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পমাধ্যমকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে একাডেমি প্রাঙ্গণ আজ সাজবে নতুনের কেতনে।
আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হবে দেশাত্মবোধক যাত্রাপালা, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে বিশেষ যাত্রাপালা, যেখানে টিকিট কেটে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বাংলার লোকজ সংস্কৃতির এই অনবদ্য রূপ। মাসব্যাপী এই উৎসবের সূচনা আজ ১ ডিসেম্বর থেকেই হচ্ছে, যা সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝেও এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
রাজনীতির মাঠেও আজ ১ ডিসেম্বর ঘিরে উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে দৃশ্যপট বদলে গেছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই চট্টগ্রাম থেকে বিএনপি ‘বিজয় মশাল’ রোড মার্চ শুরুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক এই কর্মসূচি না থাকলেও বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরেই দেশবাসী হৃদয়ে ধারণ করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ আর রাজপথে আজ থেকেই উড়তে শুরু করবে লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাসের এই প্রথম প্রহরে জাতি নতুন করে শপথ নিচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার, যে স্বপ্নের কথা বলে গেছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।
১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ভেতরে গেরিলা হামলা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনীর আরও ভয়াবহ চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে জিঞ্জিরাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে এক দিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আরও ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে বাংলাদেশকে। শেষ কামড় দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী।
একাত্তরের মার্চে বাংলাদেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ততদিনে কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। একের পর এক এলাকা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয় মিত্রবাহিনী। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝির বেশি ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পাকিস্তানিরা। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণে আসে রক্তঝরানো কাঙ্ক্ষিত বিজয়।

সূচনা হলো বাঙালির জীবনে এক পরম গৌরব ও অহংকারের মাস, ডিসেম্বর। ৫৪ বছর আগে এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাই প্রতিবছর ডিসেম্বর এলেই বাংলার প্রকৃতিতে, আকাশে-বাতাসে এক অন্যরকম শিহরণ জাগে।
বিজয়ের ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঠিক মধ্যরাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি প্রান্তেই বিজয়ের মাসকে বরণ করে নেওয়ার উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে। এটি শুধু একটি মাস নয়, এটি ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনা আর চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ।
একাত্তরের এই মাসেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা দুর্বার গতিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল, যার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে শত্রুপক্ষের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
আজ ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বিজয়ের মাসের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এই বিশেষ দিনটিকে বরণ করে নিতে রাজধানী জুড়ে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। সরকারিভাবে ১ ডিসেম্বর নিয়ে কোনো বড় কর্মসূচি না থাকলেও দিনটি দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সংগঠন দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনতা জড়ো হবেন। সেখানে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শপথ গ্রহণ ও র্যালির মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিজয়ের মাসের প্রথম সকালে লাল-সবুজের পতাকায় সজ্জিত হয়ে মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে সেইসব সূর্যসন্তানদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন ভূখণ্ড।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনও আজ বিকেল থেকে মুখর হয়ে উঠবে বিজয়ের গানে আর প্রাণের উৎসবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিজয়ের মাসকে বরণ করতে আয়োজন করেছে মাসব্যাপী জমকালো ‘যাত্রাপালা উৎসব’। গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পমাধ্যমকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে একাডেমি প্রাঙ্গণ আজ সাজবে নতুনের কেতনে।
আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হবে দেশাত্মবোধক যাত্রাপালা, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে বিশেষ যাত্রাপালা, যেখানে টিকিট কেটে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বাংলার লোকজ সংস্কৃতির এই অনবদ্য রূপ। মাসব্যাপী এই উৎসবের সূচনা আজ ১ ডিসেম্বর থেকেই হচ্ছে, যা সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝেও এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
রাজনীতির মাঠেও আজ ১ ডিসেম্বর ঘিরে উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে দৃশ্যপট বদলে গেছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই চট্টগ্রাম থেকে বিএনপি ‘বিজয় মশাল’ রোড মার্চ শুরুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক এই কর্মসূচি না থাকলেও বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরেই দেশবাসী হৃদয়ে ধারণ করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ আর রাজপথে আজ থেকেই উড়তে শুরু করবে লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাসের এই প্রথম প্রহরে জাতি নতুন করে শপথ নিচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার, যে স্বপ্নের কথা বলে গেছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।
১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ভেতরে গেরিলা হামলা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনীর আরও ভয়াবহ চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে জিঞ্জিরাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে এক দিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আরও ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে বাংলাদেশকে। শেষ কামড় দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী।
একাত্তরের মার্চে বাংলাদেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ততদিনে কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। একের পর এক এলাকা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয় মিত্রবাহিনী। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝির বেশি ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পাকিস্তানিরা। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণে আসে রক্তঝরানো কাঙ্ক্ষিত বিজয়।

সেনাবাহিনীতে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার ১১৪ জন কর্মকর্তা সম্পর্কে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের (যার জন্য যা প্রযোজ্য) স্বাভাবিক অবসর প্রদান, পদোন্নতি, অবসরপূর্ব পদোন্নতি, বকেয়া বেতন ও ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দেওয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে চারজনকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জন্য কমিটি সুপারি
১৩ ঘণ্টা আগে
তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। এর পেছনে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের রক্ষা করতেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সরাসরি ভূমিকা রেখেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
এখন পর্যন্ত এক লাখের মতো প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মক ভোটিংয়ের ফলাফল থেকে কমিশন মনে করে ভোট কেন্দ্র কিংবা ভোট কক্ষ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র গোপন কক্ষ বাড়ালেই হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি এবং বেসরকারি স্কুলে আসন ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি।
১৫ ঘণ্টা আগে