প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিন পর্যন্ত আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো এক ডজন সংস্কার প্রশ্নের একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে এখনো রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে একমত হতে পারেনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের প্রত্যাশা, জুলাইয়ের মধ্যেই সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এ আলোচনা শেষ করা যাবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অব্যাহত আলোচনায় এ পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রব্যবস্থার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করে দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ওইসব কমিশন সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিলে সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে সেগুলো নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এই সনদের প্রাথমিক খসড়া সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
রোববারের বৈঠকে আলোচনা শুরুর আগে ঐকমত্য কমিশনের এ সহসভাপতি বলেন, ওই খসড়া নিয়ে সংলাপে আলাদা করে আলোচনা করা হবে না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে, তাহলে আলোচনায় আনব। তা না হলে আলোচনায় আনব না। আপনাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হলে তা সন্নিবেশিত করে প্রাথমিক সনদে... সেখানে ভূমিকা-পটভূমি থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গা থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত ১২টি সংস্কার প্রশ্নে একমত হয়েছে। এগুলো হলো
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি বিষয়ে চতুর্থ দিনের মতো আলোচনা ছিল। এই চার দিনের আলোচনাতেও কমিশনের পক্ষ থেকে সংশোধিতভাবে প্রস্তাবে ঐকমত্যে আসা যায়নি।
বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি রয়েছে চারটি— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর বদলে পাঁচটি মূলনীতি সুপারিশ করছে— সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি।
সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্কসবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ— এই চার বামপন্থি দলের অবস্থান, বিদ্যমান মূলনীতিগুলো বাদ না দিয়ে কমিশন প্রস্তাবিত নতুন মূলনীতিগুলো যোগ করা যেতে পারে। বিদ্যমান মূলনীতিগুলো বাদ দিলে আলোচনা বয়কট করবে বলে জানিয়েছে দলগুলো।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে আসছিল। তবে কমিশন এখন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) বলছে, কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত।
এদিকে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রোববারের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশের আইনিভাবে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে এবং পুলিশ বাহিনীর যেকোনো সদস্যের উত্থাপিত অভিযোগ ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে একটি ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৯ সদস্যের পুলিশ কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, যার বয়স ৭৫ বছরের বেশি হবে না। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের নিচে ও ৬২ বছরের বেশি নয়— এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হবেন কমিশনের সদস্য সচিব।
পুলিশ কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন— জাতীয় সংসদের সংসদ নেতার প্রতিনিধি, বিরোধী দলীয় নেতার প্রতিনিধি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের একজন করে প্রতিনিধি, সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়— এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা (জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন), জেলা জজ পদমর্যাদার নিচে নয়— এমন একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অথবা ন্যূনতম ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তালিকাভুক্ত একজন আইনজীবী এবং ন্যূনতম ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মানবাধিকার কর্মী। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অন্তত দুজন নারী সদস্য থাকবেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিন পর্যন্ত আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো এক ডজন সংস্কার প্রশ্নের একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে এখনো রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে একমত হতে পারেনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের প্রত্যাশা, জুলাইয়ের মধ্যেই সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এ আলোচনা শেষ করা যাবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অব্যাহত আলোচনায় এ পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রব্যবস্থার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করে দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ওইসব কমিশন সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিলে সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে সেগুলো নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এই সনদের প্রাথমিক খসড়া সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
রোববারের বৈঠকে আলোচনা শুরুর আগে ঐকমত্য কমিশনের এ সহসভাপতি বলেন, ওই খসড়া নিয়ে সংলাপে আলাদা করে আলোচনা করা হবে না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে, তাহলে আলোচনায় আনব। তা না হলে আলোচনায় আনব না। আপনাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হলে তা সন্নিবেশিত করে প্রাথমিক সনদে... সেখানে ভূমিকা-পটভূমি থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গা থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত ১২টি সংস্কার প্রশ্নে একমত হয়েছে। এগুলো হলো
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি বিষয়ে চতুর্থ দিনের মতো আলোচনা ছিল। এই চার দিনের আলোচনাতেও কমিশনের পক্ষ থেকে সংশোধিতভাবে প্রস্তাবে ঐকমত্যে আসা যায়নি।
বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি রয়েছে চারটি— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর বদলে পাঁচটি মূলনীতি সুপারিশ করছে— সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি।
সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্কসবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ— এই চার বামপন্থি দলের অবস্থান, বিদ্যমান মূলনীতিগুলো বাদ না দিয়ে কমিশন প্রস্তাবিত নতুন মূলনীতিগুলো যোগ করা যেতে পারে। বিদ্যমান মূলনীতিগুলো বাদ দিলে আলোচনা বয়কট করবে বলে জানিয়েছে দলগুলো।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে আসছিল। তবে কমিশন এখন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) বলছে, কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত।
এদিকে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রোববারের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশের আইনিভাবে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে এবং পুলিশ বাহিনীর যেকোনো সদস্যের উত্থাপিত অভিযোগ ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে একটি ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৯ সদস্যের পুলিশ কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, যার বয়স ৭৫ বছরের বেশি হবে না। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের নিচে ও ৬২ বছরের বেশি নয়— এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হবেন কমিশনের সদস্য সচিব।
পুলিশ কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন— জাতীয় সংসদের সংসদ নেতার প্রতিনিধি, বিরোধী দলীয় নেতার প্রতিনিধি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের একজন করে প্রতিনিধি, সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়— এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা (জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন), জেলা জজ পদমর্যাদার নিচে নয়— এমন একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অথবা ন্যূনতম ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তালিকাভুক্ত একজন আইনজীবী এবং ন্যূনতম ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মানবাধিকার কর্মী। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অন্তত দুজন নারী সদস্য থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আসিয়ানের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে, যাতে বাংলাদেশ প্রথমে খাতভিত্তিক সংলাপের অংশীদার এবং পরবর্তীতে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেতে পারে।’
৮ ঘণ্টা আগেএতে সহ-আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, বাংলাদেশ ২.০ ইনিশিয়েটিভ (যুক্তরাজ্য), সোচ্চার (যুক্তরাষ্ট্র), ইনসাফ (বাং
৯ ঘণ্টা আগে