হতাশা থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন এনসিপি নেত্রী জান্নাত: পুলিশ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০৮

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমি (৩০) পারিবারিক বিষয়ে হতাশাগ্রস্ত থাকার কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জান্নাত আরা রুমি পারিবারিক কলহ কিংবা পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হতাশা থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে ময়ানাতদন্ত শেষে প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকার একটি বেসরকারি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাত আরা রুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জান্নাত আরা রুমিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হোস্টেলের ঘরগুলো হার্ডবোর্ড দিয়ে পার্টিশন করা, ফলে পাশের রুম থেকে কিছুটা দেখা যায়।

রুমির ঘরে ডিপ্রেশনের ওষুধ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পারিবারিক কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

জান্নাত আরা রুমি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার জাকির হোসেনের মেয়ে। তিনি এনসিপির ধানমন্ডি থানা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।

তিনি জানান, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জিয়ার কবর খুঁড়তে চাওয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন জান্নাত আরা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ জান্নাত আরাকে সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে তারেক রেজা তার পোস্টে জানান।

ওই পোস্টে তারেক রেজা আরও লেখেন, এ কারণে জান্নাত আরা রাতে আত্মহত্যা করেছে।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমি। তিনি হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে আসলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমি।

গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মধ্যবয়সী এক নারী মারধরের শিকার হন। সে ঘটনায় জড়িত থাকায় আলোচনায় আসেন জান্নাতারা রুমি।

ওই ঘটনার পর রুমির ঠিকানা, পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব। বলেন, রুমির পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধমকির মুখে পড়েছিলেন। এই পারিবারিক জটিলতা বা চাপও কারণ হয়ে থাকতে পারে।

আদীব বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। যদি আত্মহত্যাও হয়, এর পেছনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দায়ী বলে আমি মনে করি।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার দোয়া, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

৩ ঘণ্টা আগে

ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু: প্রধান উপদেষ্টা

হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দিন। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রাযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

৪ ঘণ্টা আগে

ইসির সঙ্গে ডিসি-এসপিদের বৈঠক ২৪ ডিসেম্বর

তিনি জানান, ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি, আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি দিকনির্দেশনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হ

৮ ঘণ্টা আগে

আগামী রোববার আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনায় বসছে ইসি

সভায় দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্বাচনের আগে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে যৌথ বাহিনীর ভূমিকা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ। প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রণীত ‘আচরণ বিধিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখা এবং ব

৮ ঘণ্টা আগে