
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো এবং ফার্মগেট এলাকয় অবস্থিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই দুই সংবাদপত্র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের পর হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানায় তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। রাত ১২টার দিকে প্রথম আলো ও পরে ডেইলি স্টারে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে শাহবাগ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে রাত ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ একটি দল কারওয়ান বাজারে পৌঁছায়। তারা প্রথমে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আগুন দেয়।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে গিয়ে ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ডেইলি স্টারে ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী ভেতরে আটকা পড়েন।
রাত ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তাদের একটি দল ডেইলি স্টারের কর্মীদের ভবনটি থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদন লেখার সময় শাহবাগেও বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনেও এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে এনসিপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো এবং ফার্মগেট এলাকয় অবস্থিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই দুই সংবাদপত্র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের পর হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানায় তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। রাত ১২টার দিকে প্রথম আলো ও পরে ডেইলি স্টারে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে শাহবাগ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে রাত ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ একটি দল কারওয়ান বাজারে পৌঁছায়। তারা প্রথমে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আগুন দেয়।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে গিয়ে ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ডেইলি স্টারে ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী ভেতরে আটকা পড়েন।
রাত ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তাদের একটি দল ডেইলি স্টারের কর্মীদের ভবনটি থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদন লেখার সময় শাহবাগেও বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনেও এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে এনসিপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহিদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
৫ ঘণ্টা আগে
হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দিন। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রাযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি জানান, ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি, আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি দিকনির্দেশনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হ
৯ ঘণ্টা আগে