প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও সেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বলেছেন, আনুষ্ঠানিক এই সাক্ষাতে সাধারণভাবে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির মধ্যে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কারও দপ্তর থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা আসেনি।
মঙ্গলবার সিইসিকে তার দপ্তরে পেয়ে এ বিষয়েই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞাসা করেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি যেমন নিরপেক্ষ, তিনিও নিরপেক্ষ এবং এটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেটা জানতে চেয়েছেন, একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে দিতে চান, তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে কি না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন তা তুলে ধরে নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা বলেছি, আমরা প্রস্তুতি ফুল গিয়ারে নিচ্ছি। পাহাড়ে উঠতে গেলে যেমন গাড়ির চারটা গিয়ার একসঙ্গে প্রয়োজন হয়, আমরা সে রকম ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ আছে। সবকিছুর মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মতবিরোধ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা ছড়ায়। এ প্রেক্ষাপটে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচনের ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের স্বস্তি আসে।
তবে ওই বৈঠকের পর ১ জুলাই পর্যন্ত ১৯ দিন পার হলেও অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, সামরিক- বেসামরিক প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর কাছে কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ যায়নি। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে এখনো পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই।
প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকে আলোচনা না হলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তারিখ রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান সিইসি। বলেন, নির্বাচনের তারিখ ও শিডিউল ঘোষণা হলে আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, ধৈর্যহারা হলে চলবে না।
জাতীয় নাকি স্থানীয় সরকার— কোন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন— এমন প্রশ্নও রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের ফোকাস এই মুহূর্ত পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে৷ প্রধান উপদেষ্টাও স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন না। তিনি জাতিকে যে ওয়াদা দিচ্ছেন, দেশে- বিদেশে যে কথা বলছেন তা হলো জাতীয় নির্বাচনের। আমরা তার কমিটমেন্টের প্রস্তুতিতেই এগুচ্ছি।
ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সিইসি বলেন, লন্ডনে (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক থেকে) ফেব্রুয়ারির কথা এসেছে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে এপ্রিলের কথা বলেছিলেন। দুটি টাইমফ্রেম নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা যায়, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যখনই সরকার নির্বাচন করতে চায়, আমরা যেন করতে পারি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো করে বক্তব্য দিতে পারে।
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নামে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন কারাগারে বন্দি। বর্তমান সিইসি হিসেবে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাসির উদ্দীন বলেন, 'বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।'
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও সেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বলেছেন, আনুষ্ঠানিক এই সাক্ষাতে সাধারণভাবে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির মধ্যে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কারও দপ্তর থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা আসেনি।
মঙ্গলবার সিইসিকে তার দপ্তরে পেয়ে এ বিষয়েই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞাসা করেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি যেমন নিরপেক্ষ, তিনিও নিরপেক্ষ এবং এটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেটা জানতে চেয়েছেন, একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে দিতে চান, তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে কি না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন তা তুলে ধরে নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা বলেছি, আমরা প্রস্তুতি ফুল গিয়ারে নিচ্ছি। পাহাড়ে উঠতে গেলে যেমন গাড়ির চারটা গিয়ার একসঙ্গে প্রয়োজন হয়, আমরা সে রকম ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ আছে। সবকিছুর মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মতবিরোধ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা ছড়ায়। এ প্রেক্ষাপটে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচনের ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের স্বস্তি আসে।
তবে ওই বৈঠকের পর ১ জুলাই পর্যন্ত ১৯ দিন পার হলেও অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, সামরিক- বেসামরিক প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর কাছে কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ যায়নি। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে এখনো পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই।
প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকে আলোচনা না হলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তারিখ রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান সিইসি। বলেন, নির্বাচনের তারিখ ও শিডিউল ঘোষণা হলে আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, ধৈর্যহারা হলে চলবে না।
জাতীয় নাকি স্থানীয় সরকার— কোন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন— এমন প্রশ্নও রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের ফোকাস এই মুহূর্ত পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে৷ প্রধান উপদেষ্টাও স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন না। তিনি জাতিকে যে ওয়াদা দিচ্ছেন, দেশে- বিদেশে যে কথা বলছেন তা হলো জাতীয় নির্বাচনের। আমরা তার কমিটমেন্টের প্রস্তুতিতেই এগুচ্ছি।
ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সিইসি বলেন, লন্ডনে (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক থেকে) ফেব্রুয়ারির কথা এসেছে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে এপ্রিলের কথা বলেছিলেন। দুটি টাইমফ্রেম নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা যায়, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যখনই সরকার নির্বাচন করতে চায়, আমরা যেন করতে পারি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো করে বক্তব্য দিতে পারে।
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নামে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন কারাগারে বন্দি। বর্তমান সিইসি হিসেবে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাসির উদ্দীন বলেন, 'বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।'
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ৭ (ক) ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) এর ক্রমিক নম্বর-২৩ এর দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার এ তালিকা প্রকাশ করেছে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেসিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন। উনি সুষ্ঠু ভোট করতে অনেক আন্তরিক। তবে জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারিখ নির্ধারিত হলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আপনারা জানতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নুরে আলম মিনা বর্তমানে সারদা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে ২০১৮ সালের চাকরি বিধির ১২ ধারা অনুযায়ী তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেএই বৃত্তির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এককালীন সহায়তা প্রদান করা হবে।
১১ ঘণ্টা আগে