ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমরা অনেকেই এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি—কাউকে কাছে বসে শুধু একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, আর কিছুক্ষণ পরেই দেখি সেই বিষয় সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ভেসে উঠছে ফেসবুক বা ইউটিউবে! তখন প্রশ্ন জাগে মনে—আমার ফোন কি আড়ি পেতে কথা শুনছে?
আসলে, এটা কল্পনা নয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোনে থাকা কিছু অ্যাপ বা স্পাইওয়্যার (গোপনে নজরদারির সফটওয়্যার) ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে ফেলতে পারে, যেটা আপনার অজান্তেই আপনার কথোপকথন রেকর্ড করে। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে আপনাকে লক্ষ্য করে দেখায় নানা ধরনের বিজ্ঞাপন।
বিশ্বখ্যাত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নর্ড ভিপিএন (NordVPN) সম্প্রতি এমন একটি পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে, যেটা খুব সহজে ঘরে বসেই আপনি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার স্মার্টফোন গোপনে কথা শুনছে কি না।
চলুন জেনে নিই এই পরীক্ষাটি কীভাবে করবেন।
প্রথমে একটা বিষয় বেছে নিন, যেটা নিয়ে আপনি কখনোই আগে কথা বলেননি বা গুগলে খুঁজেননি। ধরুন, আপনি বেছে নিলেন “ইথিওপিয়া”। এরপর কয়েক দিন ধরে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিষয় নিয়ে ফোনের কাছে কথা বলবেন। যেমন, “ইথিওপিয়ায় বেড়াতে যেতে চাই” বা “ইথিওপিয়ার হোটেল কেমন?”
কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি শুধু কথা বলবেন—এই বিষয়টি নিয়ে কোনো সার্চ করবেন না, কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। আপনি স্বাভাবিকভাবে ফোন ব্যবহার করতে থাকবেন।
তারপর এক-দুই দিন বা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য করুন, আপনার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা গুগল সার্চে ইথিওপিয়া সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে কি না। যদি দেখা যায়, তাহলে ধরে নিতে পারেন, আপনার ফোনে থাকা কোনো অ্যাপ বা সফটওয়্যার আপনার কথা শুনে সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে।
নর্ড ভিপিএনের প্রযুক্তি প্রধান মারিজাস ব্রেইডিস বলছেন, আমাদের অজান্তে অনেক অ্যাপই ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে রাখে। এগুলো বন্ধ না করলে গোপনভাবে কথা শোনার ঝুঁকি থেকেই যায়।
তাহলে এখন প্রশ্ন—আমরা কী করব?
প্রথমত, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোনে রাখবেন না। যেসব অ্যাপ ব্যবহার করছেন, সেগুলোর অনুমতিগুলো (Permissions) মাঝে মাঝে দেখে নিন—বিশেষ করে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা ও লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি কে পাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে ভাবুন—এই অ্যাপটা কি আসলেই দরকার?
তৃতীয়ত, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অনলাইনে কী করছেন, কী বলছেন, কী শেয়ার করছেন—সেসবের ওপর নজর রাখুন।
স্মার্টফোন যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি অসতর্ক হলে এটিই হয়ে উঠতে পারে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বড় হুমকি।
তাই একটু সতর্কতা, সচেতনতা আর নিয়মিত যাচাই আমাদের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
আপনার ফোন আসলে আপনার কতটুকু শুনছে, সেটা জানার দায়িত্ব কিন্তু এখন আপনার হাতেই!
আমরা অনেকেই এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি—কাউকে কাছে বসে শুধু একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, আর কিছুক্ষণ পরেই দেখি সেই বিষয় সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ভেসে উঠছে ফেসবুক বা ইউটিউবে! তখন প্রশ্ন জাগে মনে—আমার ফোন কি আড়ি পেতে কথা শুনছে?
আসলে, এটা কল্পনা নয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোনে থাকা কিছু অ্যাপ বা স্পাইওয়্যার (গোপনে নজরদারির সফটওয়্যার) ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে ফেলতে পারে, যেটা আপনার অজান্তেই আপনার কথোপকথন রেকর্ড করে। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে আপনাকে লক্ষ্য করে দেখায় নানা ধরনের বিজ্ঞাপন।
বিশ্বখ্যাত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নর্ড ভিপিএন (NordVPN) সম্প্রতি এমন একটি পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে, যেটা খুব সহজে ঘরে বসেই আপনি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার স্মার্টফোন গোপনে কথা শুনছে কি না।
চলুন জেনে নিই এই পরীক্ষাটি কীভাবে করবেন।
প্রথমে একটা বিষয় বেছে নিন, যেটা নিয়ে আপনি কখনোই আগে কথা বলেননি বা গুগলে খুঁজেননি। ধরুন, আপনি বেছে নিলেন “ইথিওপিয়া”। এরপর কয়েক দিন ধরে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিষয় নিয়ে ফোনের কাছে কথা বলবেন। যেমন, “ইথিওপিয়ায় বেড়াতে যেতে চাই” বা “ইথিওপিয়ার হোটেল কেমন?”
কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি শুধু কথা বলবেন—এই বিষয়টি নিয়ে কোনো সার্চ করবেন না, কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। আপনি স্বাভাবিকভাবে ফোন ব্যবহার করতে থাকবেন।
তারপর এক-দুই দিন বা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য করুন, আপনার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা গুগল সার্চে ইথিওপিয়া সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে কি না। যদি দেখা যায়, তাহলে ধরে নিতে পারেন, আপনার ফোনে থাকা কোনো অ্যাপ বা সফটওয়্যার আপনার কথা শুনে সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে।
নর্ড ভিপিএনের প্রযুক্তি প্রধান মারিজাস ব্রেইডিস বলছেন, আমাদের অজান্তে অনেক অ্যাপই ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে রাখে। এগুলো বন্ধ না করলে গোপনভাবে কথা শোনার ঝুঁকি থেকেই যায়।
তাহলে এখন প্রশ্ন—আমরা কী করব?
প্রথমত, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোনে রাখবেন না। যেসব অ্যাপ ব্যবহার করছেন, সেগুলোর অনুমতিগুলো (Permissions) মাঝে মাঝে দেখে নিন—বিশেষ করে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা ও লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি কে পাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে ভাবুন—এই অ্যাপটা কি আসলেই দরকার?
তৃতীয়ত, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অনলাইনে কী করছেন, কী বলছেন, কী শেয়ার করছেন—সেসবের ওপর নজর রাখুন।
স্মার্টফোন যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি অসতর্ক হলে এটিই হয়ে উঠতে পারে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বড় হুমকি।
তাই একটু সতর্কতা, সচেতনতা আর নিয়মিত যাচাই আমাদের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
আপনার ফোন আসলে আপনার কতটুকু শুনছে, সেটা জানার দায়িত্ব কিন্তু এখন আপনার হাতেই!
বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার নির্মূলের সর্বনিম্ন মান সম্পূর্ণরূপে পূরণ না করলেও আগের তুলনায় এখন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছে। সে কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্তরে।
৬ ঘণ্টা আগেএহছানুল হক মিলন বলেন, আদর্শ শিক্ষকরা সমাজের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের সমর্থনে যদি সরকার গঠন করা যায়, তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্য ও অব্যবস্থা দূর করা হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকার কর্মী শহিদুল আলমের পক্ষে সংহতি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের শিকার গাজার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে