বিজ্ঞান

মানুষ কেন কাঁদে?

আবদুল গাফফার রনি
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০৫
প্রতিকী ছবি। ছবি : এআইয়ের তৈরি।

দুঃখ পেলে কান্না পায়, আঘাতে ব্যথ্যা পেলেও আমাদের কান্না আসে। কেউ কেউ অতি সুখেও কাঁদে। কান্নার সঙ্গে ব্যথা-যন্ত্রণার যেমন সম্পর্ক আছে, তেমনি আবেগেরও সম্পর্ক আছে। তবে সবার আবেগ বা কান্না পাওয়ার কারণ এক নয়। কেউ কেউ অতি দুঃখেও কাঁদে না। কেউ কেউ সামান্য কারণেও কেঁদে ফেলে। বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের কান্নার প্রবণতা বেশি। তেমনি পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদে মেয়েরা। প্রতিটি মানুষই জীবনে কখনো না কখনো কাঁদেই। এই কান্না আসলে কী? আমরা কাঁদিই বা কেন?

কান্নার অনুভূতির জন্ম মস্তিষ্কে। চোখের কাছাকাছি অঞ্চলে মস্তিষ্কের যে অংশটি, তার নাম ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড। সেখান থেকেই প্রোটিন, মিউকাস বা তেলতেলে নোনা জল তৈরি হয়। এগুলো চোখ দিয়ে অশ্রুর আকারে বেরিয়ে আসে। এটিকেই আসলে কান্না বলে।

মস্তিষ্কে সেরিব্রাম নামে একটা অংশ আছে, সেখানে দুঃখ জমা হয় বা দুঃখের অনুভূতি তৈরি হয়। সেই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হলো কান্না। দুঃখের বা মন খারাপের কারণে শীররে একধরনের টক্সিন বা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। সেগুলো বের করে দেয়ার জন্য কান্নার প্রয়োজন। চোখের জলের সঙ্গে সেই ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে আসে।

কাঁদার যেমন ধরন আছে, দুঃখ, ব্যথা ছাড়াও অনেক সময় আমরা কেঁদে ফেলি। যেমন চোখে ঝাল বা পেঁয়াজের কষ লাগলে পানি চলে আসে। এটাকে আমরা কান্না বলি না অবশ্য। কিন্তু কান্নার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এর মিল আছে।

স্রেরিব্রাম অংশ থেকে এন্ডেক্রিন সিস্টেম বা অন্তঃক্ষরা পদ্ধতিতে হরমোন নির্গত হয়। দুঃখের কারণে জমা হওয়া ক্ষতিকর পদার্থগুলো বহন করে চোখের আশপাশের অঞ্চলে নিয়ে যায় এই হরমোনগুলো। সেখান থেকে চোখের জলের সঙ্গে টক্সিনগুলো বেরিয়ে আসে কান্নার আকারে। এটিই আসলে আবেগীয় কান্না। যন্ত্রণার বা খুশির কান্নাও একই পদ্ধতিতে আসে।

রিফ্লেক্স নামে আরেক ধরনের কান্না আছে। এই কান্নাকে অবশ্য সত্যিকার কান্না বলা যায় না। হঠাৎ ব্যথা পেলে, কিংবা ঝাঁঝালো কোনো বস্তু যেমন পেঁয়াজ বা সর্ষের তেলের কিংবা ধুলাবালি নাক বা চোখ দিয়ে ঢুকলে এ ধরনের কান্না তৈরি হয়। এসব ঝাঁঝালো বস্তু চোখে ঢুকলে চোখের কর্নিয়ায় যে স্নায়ুতন্ত্র আছে, সেটাতে বার্তা পাঠায়। বদলে মস্তিষ্কও প্রতিরক্ষার জন্য হরমোন পাঠিয়ে দেয়ে চোখের পাতায়। চোখে সেগুলো অশ্রুর মতো জমা হয়। ধুলাবালি বা ক্ষতিকর পদার্থ বয়ে নিয়ে চোখ থেকে বেরিয়ে আসে সেই অশ্রু।

আপনজনের কান্না দেখে আমরা যে ভয় পেয়ে যাই, সেটা আসলে অমূলক। কান্নার মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থই বেরিয়ে আসে চোখ থেকে। কান্নার পর মাথা অনেক সজীব হয়। ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়। তাই ক্ষণস্থায়ী কান্নাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।

সূত্র: ল্যানসেট

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

প্রতিমা বিসর্জনে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জন উপলক্ষে রাজধানীতে বাড়তি পুলিশ ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

৩ ঘণ্টা আগে

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে যেসব বাধা আসুক না কেন, জনগণ তা প্রতিহত করবে। এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত নতুন সরকারের বৈধতা ও জনগণের সামাজিক চুক্তি।

৫ ঘণ্টা আগে

‘অদূর ভবিষ্যতেও আ.লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই’

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে তো নয়ই, অদূর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার নিয়ে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

৬ ঘণ্টা আগে

আজ মহানবমী, দেবীর বিদায়ঘণ্টা শুরু

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন আজ বুধবার (১ অক্টোবর)। আজ মহানবমী, দেবীর বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দশমীতে কৈলাশে (স্বামীর বাড়ি) ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা।

৭ ঘণ্টা আগে