
শানজীদা শারমিন

বছর তিনেক আগের কথা। বেসরকারি চাকরিজীবী বিল্লাল সকালে নাশতা করছিলেন। ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত বাবা আশরাফ হাতে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘মোটা হয়ে যাচ্ছিস। গতরটা একটু নাড়াচাড়া কর। ব্যাংকে গিয়ে বিলটা জমা দিয়ে দে।’
বিল্লাল নাস্তা শেষ করে মোবাইল হাতে নিল। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ খুলে কয়েকটা ক্লিক করল। স্ক্রিনে ভেসে উঠল—‘আপনার বিল পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে।’
চায়ের কাপ হাতে চুমুক দিতে দিতে বসে পড়ল। বাবা আবার বললেন, ‘তাড়াতাড়ি যা। নাহলে ব্যাংকে বড় লাইনে দাঁড়াতে হবে।’ বিল্লাল বলল, ‘হয়ে গেছে, বাবা। মোবাইল দিয়েই এসব দেওয়া যায়।’
আশরাফ ভাবলেন, ‘এক সময় এসব বিল পরিশোধ করতে তাকে ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসে নগদ হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লাগত। অনেক সময় ফরম ভুল পূরণ হলে বা কাগজপত্র ঠিক না থাকলে আবার নতুন করে কাজ করতে হতো। কখনো আবার শুনতে হতো, ‘আজ আর বিল নেওয়া হবে না, কাল আসুন।’ মাস শেষে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় নিত্যসঙ্গী ছিল।
বিল্লাল বলল, ‘এখন অনেকগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস আছে। শুয়ে বসে হাতে মোবাইল নিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন—সব বিল পরিশোধ করা যায়। সময়ৎ বাঁচে, ঝামেলা নেই।’
আশরাফ বললেন, ‘শহরের কথা ঠিক আছে। কিন্তু গ্রামে কিভাবে হয়?’ বিল্লাল বলল, ‘গ্রামেও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডিজিটাল সেন্টার আছে। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়। পাঁচ টাকায় কাজ শেষ। দূরে কোথাও যাওয়া লাগে না।’
২০১৮ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন বিকাশ, নগদ, উপায়—এসব ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর এলো জাতীয় বিল ও সার্ভিস এগ্রিগেটর একপে (EkPay)। এই এক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরকারি বিল, ফি সবকিছু পরিশোধ করা যায়: বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, ইন্টারনেট, স্কুল-কলেজের ফি, ভূমি উন্নয়ন কর—সব। সব সেবা একসাথে। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড—যেটা সুবিধা, সেটা দিয়ে পেমেন্ট করা যায়।
উল্লেখযোগ্য সেবাগুলোর মধ্যে আছে:
ডিজিটাল বিল পেমেন্টের প্রভাব:
এখনো যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ প্রদান, ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে বিল জমা দেয়া যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাগুলো।

বছর তিনেক আগের কথা। বেসরকারি চাকরিজীবী বিল্লাল সকালে নাশতা করছিলেন। ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত বাবা আশরাফ হাতে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘মোটা হয়ে যাচ্ছিস। গতরটা একটু নাড়াচাড়া কর। ব্যাংকে গিয়ে বিলটা জমা দিয়ে দে।’
বিল্লাল নাস্তা শেষ করে মোবাইল হাতে নিল। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ খুলে কয়েকটা ক্লিক করল। স্ক্রিনে ভেসে উঠল—‘আপনার বিল পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে।’
চায়ের কাপ হাতে চুমুক দিতে দিতে বসে পড়ল। বাবা আবার বললেন, ‘তাড়াতাড়ি যা। নাহলে ব্যাংকে বড় লাইনে দাঁড়াতে হবে।’ বিল্লাল বলল, ‘হয়ে গেছে, বাবা। মোবাইল দিয়েই এসব দেওয়া যায়।’
আশরাফ ভাবলেন, ‘এক সময় এসব বিল পরিশোধ করতে তাকে ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসে নগদ হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লাগত। অনেক সময় ফরম ভুল পূরণ হলে বা কাগজপত্র ঠিক না থাকলে আবার নতুন করে কাজ করতে হতো। কখনো আবার শুনতে হতো, ‘আজ আর বিল নেওয়া হবে না, কাল আসুন।’ মাস শেষে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় নিত্যসঙ্গী ছিল।
বিল্লাল বলল, ‘এখন অনেকগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস আছে। শুয়ে বসে হাতে মোবাইল নিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন—সব বিল পরিশোধ করা যায়। সময়ৎ বাঁচে, ঝামেলা নেই।’
আশরাফ বললেন, ‘শহরের কথা ঠিক আছে। কিন্তু গ্রামে কিভাবে হয়?’ বিল্লাল বলল, ‘গ্রামেও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডিজিটাল সেন্টার আছে। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়। পাঁচ টাকায় কাজ শেষ। দূরে কোথাও যাওয়া লাগে না।’
২০১৮ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন বিকাশ, নগদ, উপায়—এসব ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর এলো জাতীয় বিল ও সার্ভিস এগ্রিগেটর একপে (EkPay)। এই এক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরকারি বিল, ফি সবকিছু পরিশোধ করা যায়: বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, ইন্টারনেট, স্কুল-কলেজের ফি, ভূমি উন্নয়ন কর—সব। সব সেবা একসাথে। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড—যেটা সুবিধা, সেটা দিয়ে পেমেন্ট করা যায়।
উল্লেখযোগ্য সেবাগুলোর মধ্যে আছে:
ডিজিটাল বিল পেমেন্টের প্রভাব:
এখনো যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ প্রদান, ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে বিল জমা দেয়া যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাগুলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, ময়মনসিহং বিভাগে ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী রয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলমান সময়ে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার গভীর রাতে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে পিয়াসকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয় বলে জানান স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী’র নামে থাকা মেঘনা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে সিআইডি। অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার ক্র
৭ ঘণ্টা আগে