
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

রিয়া কলেজের ছাত্রী। সদ্য কৈশোর পার করেছে। তার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় মুখের ব্রণ। আয়নায় তাকালেই চোখে পড়ে লালচে ছোট ছোট গুটিরা। শুধু রিয়াই নয়, বহু তরুণ-তরুণীর কাছে মুখের ব্রণ এক বড় দুশ্চিন্তার নাম। শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে এই ব্রণ। তবে ভয়ের কিছু নেই। নিয়ম মেনে চললে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর সেই উপায়গুলো নিয়েই এই প্রতিবেদন।
ব্রণ কী কারণে হয়?
মুখের ত্বকের নিচে থাকা গ্রন্থি বা সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়, যাকে বলে ‘সেবাম’। এই সেবাম ত্বককে কোমল রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ, ত্বকের মৃত কোষ আর ব্যাকটেরিয়া মিলে ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়। ফলে সেখানে প্রদাহ হয়, তৈরি হয় ব্রণ।
ব্রণ সাধারণত কিশোর-কিশোরী বা তরুণ বয়সে বেশি দেখা দেয়। হরমোনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং কখনো কখনো বংশগত কারণেও ব্রণ হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জেনিফার স্টেইন বলেন, “ব্রণ প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত এবং সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার রাখা।” তাঁর মতে, দিনে অন্তত দুইবার হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। তবে খুব বেশি স্ক্রাব বা শক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না, এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ চিনি এবং বেশি দুধজাত খাবার ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম জেমস। তাঁর মতে, “জাঙ্ক ফুড, সফট ড্রিঙ্ক, চকোলেট—এসব খাবার ইনসুলিন মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ব্রণ বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর, কম চিনি ও তাজা ফল-সবজি ভিত্তিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”
অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়েই ব্রণের সমাধান খোঁজেন। তবে মনে রাখতে হবে, ঘরোয়া উপায় মানেই সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো—
টী ট্রি অয়েল: এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। তুলোর সাহায্যে সামান্য তেল ব্রণের ওপর লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ঠান্ডা ভাব আনে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ ও মধু: হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং মধু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। দুটো মিশিয়ে মাস্ক করে মুখে লাগানো যেতে পারে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ড. ক্যারোলিন জ্যাকব সতর্ক করে বলেন, “ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের আগে স্কিন টেস্ট করে নেওয়া জরুরি, কারণ কিছু উপাদান ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।”
অনেকেই ব্রণ ঢাকতে মেকআপ ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী বেছে না নিলে তা উল্টো ক্ষতি করে। ড. লরা স্টিপারম্যান, যিনি আমেরিকার স্কিন কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বলেন, “অয়েল ফ্রি ও ‘নন-কমেডোজেনিক’ ট্যাগযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করাই ভালো। এতে পোর বন্ধ হয় না এবং ব্রণও কম হয়।”
অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ড. মারকাস অ্যান্ডারসন বলেন, “মানসিক চাপ ব্রণের অন্যতম কারণ। যারা বেশি চিন্তা করেন, তাঁদের শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন বেড়ে যায়। এটা ব্রণের প্রকোপ বাড়াতে পারে।” তাই মানসিক প্রশান্তি, সঠিক ঘুম ও ধ্যানের অভ্যাস রাখা উচিত।
অনেকেই ব্রণ খুঁটে থাকেন, চাপ দেন বা নখ দিয়ে ফাটান। এটা মারাত্মক ভুল। এতে ইনফেকশন ছড়াতে পারে, ত্বকে স্থায়ী দাগও হতে পারে। তাই কোনো অবস্থাতেই ব্রণ খোঁচাবেন না।
যদি ব্রণ অনেক বেশি হয়, ঘন ঘন ফিরে আসে বা ত্বকে দাগ ফেলে যায়, তাহলে দেরি না করে ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বর্তমানে বাজারে অনেক কার্যকর ক্রিম ও ওষুধ পাওয়া যায়, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
মুখে যাতে আবার ব্রণ না হয়, সে জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করা তোয়ালে পরিষ্কার রাখতে হবে, pillow cover নিয়মিত বদলাতে হবে এবং ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা উচিত। এগুলোতেও ব্যাকটেরিয়া জমে মুখে ব্রণ বাড়াতে পারে।
ব্রণকে কখনো ছোট করে দেখার কিছু নেই। এটা শারীরিক সমস্যা হলেও মানসিক চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিয়ম মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ব্রণ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পথ।

রিয়া কলেজের ছাত্রী। সদ্য কৈশোর পার করেছে। তার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় মুখের ব্রণ। আয়নায় তাকালেই চোখে পড়ে লালচে ছোট ছোট গুটিরা। শুধু রিয়াই নয়, বহু তরুণ-তরুণীর কাছে মুখের ব্রণ এক বড় দুশ্চিন্তার নাম। শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে এই ব্রণ। তবে ভয়ের কিছু নেই। নিয়ম মেনে চললে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর সেই উপায়গুলো নিয়েই এই প্রতিবেদন।
ব্রণ কী কারণে হয়?
মুখের ত্বকের নিচে থাকা গ্রন্থি বা সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়, যাকে বলে ‘সেবাম’। এই সেবাম ত্বককে কোমল রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ, ত্বকের মৃত কোষ আর ব্যাকটেরিয়া মিলে ত্বকের ছিদ্র বা পোর বন্ধ করে দেয়। ফলে সেখানে প্রদাহ হয়, তৈরি হয় ব্রণ।
ব্রণ সাধারণত কিশোর-কিশোরী বা তরুণ বয়সে বেশি দেখা দেয়। হরমোনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং কখনো কখনো বংশগত কারণেও ব্রণ হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জেনিফার স্টেইন বলেন, “ব্রণ প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত এবং সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার রাখা।” তাঁর মতে, দিনে অন্তত দুইবার হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। তবে খুব বেশি স্ক্রাব বা শক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না, এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ চিনি এবং বেশি দুধজাত খাবার ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম জেমস। তাঁর মতে, “জাঙ্ক ফুড, সফট ড্রিঙ্ক, চকোলেট—এসব খাবার ইনসুলিন মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ব্রণ বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর, কম চিনি ও তাজা ফল-সবজি ভিত্তিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”
অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়েই ব্রণের সমাধান খোঁজেন। তবে মনে রাখতে হবে, ঘরোয়া উপায় মানেই সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো—
টী ট্রি অয়েল: এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। তুলোর সাহায্যে সামান্য তেল ব্রণের ওপর লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ঠান্ডা ভাব আনে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ ও মধু: হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং মধু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। দুটো মিশিয়ে মাস্ক করে মুখে লাগানো যেতে পারে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ড. ক্যারোলিন জ্যাকব সতর্ক করে বলেন, “ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের আগে স্কিন টেস্ট করে নেওয়া জরুরি, কারণ কিছু উপাদান ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।”
অনেকেই ব্রণ ঢাকতে মেকআপ ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী বেছে না নিলে তা উল্টো ক্ষতি করে। ড. লরা স্টিপারম্যান, যিনি আমেরিকার স্কিন কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বলেন, “অয়েল ফ্রি ও ‘নন-কমেডোজেনিক’ ট্যাগযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করাই ভালো। এতে পোর বন্ধ হয় না এবং ব্রণও কম হয়।”
অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ড. মারকাস অ্যান্ডারসন বলেন, “মানসিক চাপ ব্রণের অন্যতম কারণ। যারা বেশি চিন্তা করেন, তাঁদের শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন বেড়ে যায়। এটা ব্রণের প্রকোপ বাড়াতে পারে।” তাই মানসিক প্রশান্তি, সঠিক ঘুম ও ধ্যানের অভ্যাস রাখা উচিত।
অনেকেই ব্রণ খুঁটে থাকেন, চাপ দেন বা নখ দিয়ে ফাটান। এটা মারাত্মক ভুল। এতে ইনফেকশন ছড়াতে পারে, ত্বকে স্থায়ী দাগও হতে পারে। তাই কোনো অবস্থাতেই ব্রণ খোঁচাবেন না।
যদি ব্রণ অনেক বেশি হয়, ঘন ঘন ফিরে আসে বা ত্বকে দাগ ফেলে যায়, তাহলে দেরি না করে ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বর্তমানে বাজারে অনেক কার্যকর ক্রিম ও ওষুধ পাওয়া যায়, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
মুখে যাতে আবার ব্রণ না হয়, সে জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করা তোয়ালে পরিষ্কার রাখতে হবে, pillow cover নিয়মিত বদলাতে হবে এবং ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা উচিত। এগুলোতেও ব্যাকটেরিয়া জমে মুখে ব্রণ বাড়াতে পারে।
ব্রণকে কখনো ছোট করে দেখার কিছু নেই। এটা শারীরিক সমস্যা হলেও মানসিক চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিয়ম মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ব্রণ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পথ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, ময়মনসিহং বিভাগে ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী রয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলমান সময়ে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার গভীর রাতে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে পিয়াসকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয় বলে জানান স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী’র নামে থাকা মেঘনা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে সিআইডি। অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার ক্র
১২ ঘণ্টা আগে