সরাসরি

এজলাসে বিচারকরা, শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু

০৬: ৩৯

বিচারপতিরা এজলাসে, শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু

বিচারপতিরা এজলাসে, শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ছবি: ভিডিও থেকে

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য দেন।

এরপর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।

০৬: ৩১

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি মির স্নিগ্ধর

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি মির স্নিগ্ধর
সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। ছবি: রাজনীতি ডটকম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছুক্ষণের মধ্যেই রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন বলছে, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আশা করছেন তারা।

শেখ হাসিনার এ রায় নয়, বরং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করাকেই বড় কাজ বলে মনে করছেন জুলাইয়ে শহিদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে মীর স্নিগ্ধ বলেন, এই রায় কিছুই প্রমাণ করে না, যতদিন না পর্যন্ত এই খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে ফেরত এনে তার বিচার কার্যকর না করা হচ্ছে। তাই অবশ্যই সর্বপ্রথম দাবি থাকবে— খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে ফেরত এনে রায় কার্যকর করা হোক।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে—

রায় মনের মতো হবে না, প্রশ্নই ওঠে না: স্নিগ্ধ

০৫: ৫৭

জুলাইয়ে শহিদ ও আহতদের স্বজনরা ট্রাইব্যুনালের সামনে, চান ন্যায়বিচার

জুলাইয়ে শহিদ ও আহতদের স্বজনরা ট্রাইব্যুনালের সামনে, চান ন্যায়বিচার
সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এলাকায় উপস্থিত হয়েছেন জুলাইয়ে শহিদ ও আহতদের স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হয়েছেন জুলাইয়ে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা। তারা ন্যায়বিচার তথা শেখ হাসিনাসহ মামলার তিন আসামির ফাঁসি দাবি করছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতে শুরু করেন জুলাইয়ে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা। সকাল ১০টার পর তারা ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। পরে হাইকোর্টের মাজার রোডসংলগ্ন গেটের সামনে অবস্থান করছেন তারা।

জুলাইয়ে আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, পুলিশ আমার পায়ে গুলি করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে সড়কে পড়ে যাই। উঠতে পারিনি। কিছু মানুষজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই ভয়াবহ স্মৃতি কখনো ভোলার মতো নয়।

আরাফাত আরও বলেন, চোখের সামনে আমাদের ভাইয়েরা শহিদ হয়েছে। আমরা এসবের বিচার চাই। আশা করি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেবেন। সেটা হলে হয়তো আমাদের শহিদ ভাইদের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।

ট্রাইবুনালের রায় শুনতে আসা এসব ব্যক্তিদের অনেকের হাতে আছে জুলাই শহিদদের ছবি। কারও হাতে রয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন। শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে পোস্টারও এনেছেন তারা।

০৫: ৩৩

‘রাজসাক্ষী’ সাবেক আইজিপির রায় কী হবে

‘রাজসাক্ষী’ সাবেক আইজিপির রায় কী হবে
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় সাবেক আইজিপি ‘রাজসাক্ষী’ (অ্যাপ্রুভার) হওয়ায় তার বিরুদ্ধে রায় বাকি দুজনের চেয়ে আলাদা হতে পারে।

আইনজীবীরা বলছেন, ‘রাজসাক্ষী’র সাজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। আদালত তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন। আবার যেকোনো সাজাও দিতে পারেন।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম সোহেল রাজনীতি ডটকমকে বলেন, আদালত সন্তুষ্ট হলে তাকে খালাস দিতে পারেন, স্বল্প সাজাও দিতে পারেন, কিংবা বাকি আসামিদের মতো সর্বোচ্চ সাজাও দিতে পারে। এটি সম্পূর্ণ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে—

০৫: ০৮

জবানবন্দিতে যা বলেছেন ‘রাজসাক্ষী’ মামুন

জবানবন্দিতে যা বলেছেন ‘রাজসাক্ষী’ মামুন
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রাতেও তখনকার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়েছে কীভাবে আন্দোলন দমন করা যায়। পরদিন ৫ আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকায় পুলিশের শক্তিশালী অবস্থান ছিল। ১১টার দিকে উত্তরা দিয়ে লাখ লাখ জনতা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করলে এবং সেনাবাহিনী তাদের বাধা না দিলে তখন গিয়ে পুলিশ তাদের অবস্থান ছেড়ে দিতে শুরু করে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছেন।

গত ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিস্তারিত পড়ুন নিচের প্রতিবেদনে—

রাজসাক্ষীর জবানবন্দি— সাবেক আইজিপির চোখে ৪ ও ৫ আগস্ট

গত ১০ জুলাই এই তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মাধ্যমে জুলাইয়ের প্রথম কোনো মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়। এ দিনই আদালতে ‘আমি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত’ বলে অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বলেন, তিনি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই আন্দোলনের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ আদালতকে দেবেন।

০৫: ০২

বিচারপতিরা ট্রাইব্যুনালে

বিচারপতিরা ট্রাইব্যুনালে
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিচারপতিরা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম

জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। রায় ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন বিচারপতিরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তারা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গেছে। পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের।

সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-১-এ রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাইবুনাল-১-এর বাকি দুই সদস্য হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

০৪: ৫৭

মানবতাবিরোধী যে ৫ অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে

মানবতাবিরোধী যে ৫ অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রথম মামলায় রায়ের মুখোমুখি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মানবতাবিরোধী ৫টি অভিযোগ।

একই মামলায় আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি রাজসাক্ষী হওয়ায় তার রায় বাকি দুজনের থেকে ভিন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মামলায় যে ৫ অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সেগুলো হলো—

  • শেখ হাসিনা গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়ে খুন, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক কার্যকলাপ উসকে দেন; এরপর আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও তৎকালীন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিরস্ত্র ও নিরপরাধ ছাত্রসমাজের ওপর চালানো ভয়াবহ ও পরিকল্পিত হামলায় প্ররোচনা, সহায়তা ও যোগসাজশে লিপ্ত ছিলেন।

  • শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল মামুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে তার বাস্তবায়ন ও সহায়তা করেন।

  • রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

  • ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার চানখাঁরপুলে ছয়জন নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

  • ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জন ছাত্র আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ষষ্ঠজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।

শেষ তিনটি ঘটনাতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার এ নির্দেশের পর অভিযুক্তরা তৎকালীন অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তাদের অধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীদের কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা, সহায়তা ও যোগসাজশে যুক্ত ছিলেন।

০৪: ৩৭

ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সোমবার সকাল ৯টার কিছু পরে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের জন্য সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তিনিও এ মামলার অন্যতম আসামি। তবে তিনি এ মামলায় দোষ স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সরবরাহের শর্তে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন।

পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় হাজতখানায়।

০৪: ২৯

সেনা-বিজিবি মোতায়েন, নিরাপত্তা বলয়ে ট্রাইব্যুনাল এলাকা

সেনা-বিজিবি মোতায়েন, নিরাপত্তা বলয়ে ট্রাইব্যুনাল এলাকা
নিরাপত্তা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ঘোষণা হবে কিছুক্ষণ পরেই। এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের চারদিকে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

০৪: ২৩

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ১১টায়, কঠোর নিরাপত্তা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ১১টায়, কঠোর নিরাপত্তা
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল রায় প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), রয়টার্স ও ট্রাইব্যুনালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় স্ক্রিনে লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন)। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছে।

গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হয়, যেখানে ১৭ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তীকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আসাদুজ্জামান খানও আসামি হন।

মামলায় প্রসিকিউশন গত ১২ মে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

এদিকে রায়ের প্রতিবাদে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এমন পটভূমিতে রোববার রাতেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ, বাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন এবং মশাল মিছিলের খবর পাওয়া গেছে।

রোববার রাতে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনেও।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িতদের গুলির নির্দেশ দিয়ে আলোচনায় এসেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, সব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ঢাকা ছাড়াও কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুরে। এসব জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।