প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের। সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ১৫।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন তারা। সেনা হেফাজতে থাকা এই ১৫ জনের বাইরেও এসব মামলায় আরও ১০ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সেনা কর্মকর্তাদের বাইরেও সাতজন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানের সবুজ একটি গাড়িতে রাজধানীর পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের আনা হয়। তাদের পরনে রয়েছে সাধারণ পোশাক। এ সময় সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও এপিবিএনের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। আরেকটি মামলা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে) এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
একই মামলায় র্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদকেও আসামি করা হয়েছে। এই তিনজনই পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলামও এ মামলার আসামি। তারাও পলাতক।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আসামি ১৩ জন। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন— ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তারা সবাইও পলাতক। তারা দেশের বাইরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা বিভিন্ন সূত্রের।
এদিজে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের। সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ১৫।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন তারা। সেনা হেফাজতে থাকা এই ১৫ জনের বাইরেও এসব মামলায় আরও ১০ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সেনা কর্মকর্তাদের বাইরেও সাতজন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানের সবুজ একটি গাড়িতে রাজধানীর পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের আনা হয়। তাদের পরনে রয়েছে সাধারণ পোশাক। এ সময় সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও এপিবিএনের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। আরেকটি মামলা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে) এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
একই মামলায় র্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদকেও আসামি করা হয়েছে। এই তিনজনই পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলামও এ মামলার আসামি। তারাও পলাতক।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আসামি ১৩ জন। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন— ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তারা সবাইও পলাতক। তারা দেশের বাইরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা বিভিন্ন সূত্রের।
এদিজে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের পিঠ এখন দেওয়ালে ঠেকে গেছে। সব ধরনের বাধা ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই নির্বাচন কমিশনকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিত হওয়া অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মামলার আসামি হিসেবে তাদের কোথায় রাখা হবে সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় বলেও তিনি জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচনকে সামনে রেখে ম্যাজিস্ট্রেটরা এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইসি সানাউল্লাহ।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা মেট্রো রেলে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অভিনব ভাড়া জালিয়াতির কারণে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়ার পর কর্তৃপক্ষ 'একই স্টেশনে বিনা ভাড়ায় প্রবেশ ও বাহির' হওয়ার সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। মেট্রো রেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, এমআরটি পাস বা র্
৪ ঘণ্টা আগে