প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো দেওয়া সাক্ষ্যে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হোক, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দ্বিতীয় দিনের মতো দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেন মাহমুদুর রহমান।
জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি একজন সাংবাদিক, লেখক ও ইতিহাস গবেষক হিসেবে গত ১৬ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্থান, বিকাশ ও পতন প্রত্যক্ষ করেছি। অনবরত লেখালেখিসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে জনগণকে অবহিত করার চেষ্টা করেছি। আমি চাই অপরাধীরা সাজা পাক। ন্যায়বিচার পেলে প্রায় ১৪০০ শহীদ ও ২০ হাজার আহত পরিবারের শোক কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা গেলে ভবিষ্যতে আসা সরকাররাও সতর্ক হবে বলে প্রত্যাশা করি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেভাবে হিটলারকে বলা হয়েছিল ‘নেভার অ্যাগেইন’, বাংলাদেশেও এই বিচারের মাধ্যমে আমরা চাই ফ্যাসিস্ট শাসনের আগমন না ঘটুক। নিশ্চিত হোক যেন গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। যা এখনো চলমান রয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার এ মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে আজ। এরই মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মাহমুদুর রহমানকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হলে নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এদিন সকালে কারাগার থেকে এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তার উপস্থিতিতেই চলছে ১৬তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলে ট্রাইব্যুনালে। ওইদিন ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন তিনজন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষ্য দিয়েছেন চৌধুরী মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন। ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো দেওয়া সাক্ষ্যে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হোক, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দ্বিতীয় দিনের মতো দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেন মাহমুদুর রহমান।
জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি একজন সাংবাদিক, লেখক ও ইতিহাস গবেষক হিসেবে গত ১৬ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্থান, বিকাশ ও পতন প্রত্যক্ষ করেছি। অনবরত লেখালেখিসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে জনগণকে অবহিত করার চেষ্টা করেছি। আমি চাই অপরাধীরা সাজা পাক। ন্যায়বিচার পেলে প্রায় ১৪০০ শহীদ ও ২০ হাজার আহত পরিবারের শোক কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা গেলে ভবিষ্যতে আসা সরকাররাও সতর্ক হবে বলে প্রত্যাশা করি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেভাবে হিটলারকে বলা হয়েছিল ‘নেভার অ্যাগেইন’, বাংলাদেশেও এই বিচারের মাধ্যমে আমরা চাই ফ্যাসিস্ট শাসনের আগমন না ঘটুক। নিশ্চিত হোক যেন গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। যা এখনো চলমান রয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার এ মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে আজ। এরই মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মাহমুদুর রহমানকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হলে নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এদিন সকালে কারাগার থেকে এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তার উপস্থিতিতেই চলছে ১৬তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলে ট্রাইব্যুনালে। ওইদিন ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন তিনজন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষ্য দিয়েছেন চৌধুরী মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন। ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে অকারণে ও অযৌক্তিকভাবে ইসরায়েলি আক্রমণ কেবল কাতারের ওপর আক্রমণ নয়, বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার প্রতি অবমাননা। বাংলাদেশ এ আগ্রাসনকে ইসরায়েলের একটি বেপরোয়া অভিযানের অংশ হিসেবে দেখে। যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং বারবার জাতিসংঘের
৭ ঘণ্টা আগেএর আগে প্রথম দফায় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে এই কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সম্মত না করতে না পারলে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
১৫ ঘণ্টা আগে