রিকশাচালক আজিজুরের মুক্তি চেয়েছে আসক

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর। ছবি: সংগৃহীত

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শোক জানাতে গিয়ে রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানের মারধর ও গ্রেপ্তারের শিকার হওয়ার ঘটনায় নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গ্রেপ্তার প্রত্যাহার করে আসক আজিজুরের মুক্তি দাবি করেছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসক এ দাবি জানিয়েছে। আজিজুরকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারকে নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আসক বলেছে, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অন্য অনেক নাগরিকের মতো আজিজুর রহমান নামে একজন রিকশাচালকও ‘মব সন্ত্রাসে’র শিকার হয়। ‘মব সন্ত্রাসী’রা ১৪ আগস্ট রাত থেকেই ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যক্তিগত ফোন তল্লাশি ও জিজ্ঞাবাদের নামে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে থাকে, যা ১৫ আগস্ট সারা দিন বাধাহীনভাবে অব্যাহত রাখে।

আসক বলছে, এ ধরনের বেআইনি তৎপরতায় লাঞ্ছনার শিকার হতে দেখা গেছে নারী-পুরুষ অনেককে। এর মধ্যে শোক জানাতে যাওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে মারধর করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের হাতে তুলে দেয় ‘মব সন্ত্রাসী’রা। আশ্চর্যজনকভাবে ধানমন্ডি থানায় আগেই দায়ের করা জুলাই ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ‘সন্দিগ্ধ আসামি’ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় আসক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

জুলাই আন্দোলনে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় অনেক নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আসকের বিবৃতিতে।

সংস্থাটি বলছে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বারবার দাবি করছেন, জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলোতে যাচাই-বাছাই করেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কেবল শোক জানাতে আসা একজন সাধারণ নাগরিককেও একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি শুধু নিন্দনীয় নয়, এটি সরকারের নিজস্ব ঘোষিত নীতি ও নাগরিকের প্রতি অঙ্গীকারেরও ঘোরতর বরখেলাপ।

আসক মনে করছে, সাধারণ নাগরিককে শোক প্রকাশ করতে যাওয়ার কারণে শারীরিকভাবে আক্রমণ ও পরে গ্রেপ্তার দেখানো নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একজন নাগরিক কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না— তা নির্ধারণ করার অধিকার কেবল সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতার মাধ্যমে নাগরিকেরই থাকবে। অন্য কেউ বা রাষ্ট্রীয় সংস্থা এটি নির্ধারণ করতে পারে না।

আসক আরও মনে করে, শোক প্রকাশ করা বা না করা কিংবা যেকোনো বিষয়ে প্রতিবাদ-সমর্থন বা মৌনতা ও মতপ্রকাশ নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার দমন করার অর্থ সংবিধান ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমনপীড়নে লিপ্ত হয়, তবে তা শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আসক সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে, অবিলম্বে এই গ্রেপ্তার প্রত্যাহার করে আজিজুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডি ডাটাবেইসের তথ্যানুসারে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এতদিন মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সের ঠিকানায় ভোটার ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান-২ ঠিকানায় ভোটার হিসেবে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

২ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার বিচারকাজ সম্প্রচারে সাইবার হামলা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

৩ ঘণ্টা আগে

পুলিশের লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ শিক্ষকরা

শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে একটি অংশ শহীদ মিনারের দিকে চলে যাওয়ার পর প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের আরেকটি অংশকে সরাতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

৩ ঘণ্টা আগে

সাংবাদিকদের ভোটকক্ষে প্রবেশে কোনো বাধা থাকবে না : সিইসি

ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো বাধা থাকবে না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না। আমাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।’

৪ ঘণ্টা আগে