প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রাজধানীর ছয়টি খাল দূষণ ও দখলমুক্ত করে খালকেন্দ্রিক ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ গড়ে তোলার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে এ বছরের মধ্যেই রাজধানীর ১৯টি খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, খালগুলো হবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। আশা করি, আমরা বর্ষার আগেই এই ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সক্ষম হব। খুব শিগগিরই আরও চারটি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করব। এ বর্ষার আগে বাকি আরও ৯টির কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে এ বছরের মধ্যেই ১৯টি খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাউনিয়ায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) অধীন ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। খাল ছয়টি হচ্ছে— বাউনিয়া খাল, রূপনগর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মান্ডা খাল, কালুনগর খাল ও কড়াইল লেক। এ ছয়টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, আরডিআরসি,বাপা, গ্রীন ভয়েস, ডব্লিউবিবিটি, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অংশগ্রহণে খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, আমরা হয়তো এই ১৯টি খালকেন্দ্রিক একটি মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলব। কোথায় কোথায় আমাদের একদম সুনির্দিষ্ট আরও কিছু কাজ করতে হবে, আগামী বাজেট সামনে রেখে আমরা সেগুলো ঠিক করব। খালগুলো সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অর্থের সংস্থান করতে পারব বলে আশা করি।
রোববার ঢাকার ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পনি সম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
ঢাকার খালগুলো যেন বর্জ্য দিয়ে দূষিত না হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। বলেন, খালের আশপাশের বাসাবাড়ির বর্জ্য পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা করতে হবে যেন খালে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে। এ জন্য স্থানীয়দের দিয়ে আমরা একটি কমিটি করে দেবো। দুই কিলোমিটার পর পর একটি কমিটি থাকবে। তারা এটি মনিটর করবে।
খালগুলোতে মাছ চাষ এবং খালের পাড়ে আবাদ করে সবুজ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাও করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা বলেন, কেমন করে আমরা খালের প্রাণ ফিরিয়ে দেবো, সেই চেষ্টাটা আমরা করব। এটি আমাদের মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক উদ্যোগ হলেও নগরবাসীকে এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।
স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, খালগুলো নগরবাসীর। তাদেরই এসব খাল রক্ষার দাবি তুলতে হবে এবং সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। অধিকারের জায়গা থেকে অধিকারের চর্চা করতে হবে, দায়িত্বের জায়গা থেকে দায়িত্বও পালন করতে হবে। কারণ আমরা যখন খাল পুনরুদ্ধার করতে যাব, কিছু কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা জানি, তখন হয়তো কিছু বাধা আসবে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে সে বাধা মোকাবিলা করব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদুল হাসান। খাল নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন ক্যাপ্টেন ফিদা হাসান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. নিজাম উদ্দিন।
রাজধানীর ছয়টি খাল দূষণ ও দখলমুক্ত করে খালকেন্দ্রিক ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ গড়ে তোলার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে এ বছরের মধ্যেই রাজধানীর ১৯টি খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, খালগুলো হবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। আশা করি, আমরা বর্ষার আগেই এই ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সক্ষম হব। খুব শিগগিরই আরও চারটি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করব। এ বর্ষার আগে বাকি আরও ৯টির কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে এ বছরের মধ্যেই ১৯টি খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাউনিয়ায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) অধীন ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। খাল ছয়টি হচ্ছে— বাউনিয়া খাল, রূপনগর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মান্ডা খাল, কালুনগর খাল ও কড়াইল লেক। এ ছয়টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, আরডিআরসি,বাপা, গ্রীন ভয়েস, ডব্লিউবিবিটি, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অংশগ্রহণে খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, আমরা হয়তো এই ১৯টি খালকেন্দ্রিক একটি মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলব। কোথায় কোথায় আমাদের একদম সুনির্দিষ্ট আরও কিছু কাজ করতে হবে, আগামী বাজেট সামনে রেখে আমরা সেগুলো ঠিক করব। খালগুলো সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অর্থের সংস্থান করতে পারব বলে আশা করি।
রোববার ঢাকার ছয়টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পনি সম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
ঢাকার খালগুলো যেন বর্জ্য দিয়ে দূষিত না হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। বলেন, খালের আশপাশের বাসাবাড়ির বর্জ্য পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা করতে হবে যেন খালে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে। এ জন্য স্থানীয়দের দিয়ে আমরা একটি কমিটি করে দেবো। দুই কিলোমিটার পর পর একটি কমিটি থাকবে। তারা এটি মনিটর করবে।
খালগুলোতে মাছ চাষ এবং খালের পাড়ে আবাদ করে সবুজ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাও করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা বলেন, কেমন করে আমরা খালের প্রাণ ফিরিয়ে দেবো, সেই চেষ্টাটা আমরা করব। এটি আমাদের মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক উদ্যোগ হলেও নগরবাসীকে এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।
স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, খালগুলো নগরবাসীর। তাদেরই এসব খাল রক্ষার দাবি তুলতে হবে এবং সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। অধিকারের জায়গা থেকে অধিকারের চর্চা করতে হবে, দায়িত্বের জায়গা থেকে দায়িত্বও পালন করতে হবে। কারণ আমরা যখন খাল পুনরুদ্ধার করতে যাব, কিছু কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা জানি, তখন হয়তো কিছু বাধা আসবে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে সে বাধা মোকাবিলা করব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদুল হাসান। খাল নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন ক্যাপ্টেন ফিদা হাসান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. নিজাম উদ্দিন।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগেসাদিক কায়েম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ডাকসু নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ডুজা সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনেও ডাকসুকে শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে সাংবাদিক সমিতির সহযোগিতা অপরিহার্য।
১৮ ঘণ্টা আগে