বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রতীকী ছবি

দেশে দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘ এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ এই প্রতিপাদ্য আজ (১০ ডিসেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।

১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালের ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

এদিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সকলের নিরাপত্তা বিধান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। মানবাধিকার একটি বিশদ ও সামগ্রিক বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতে ও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে আর কিছু ছিল না। সেই কালরাতে আমাদের পরিবারের ১৮জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। খুনিদের যাতে কেউ বিচার করতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে আমাদের স্বজনদের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পূর্বে আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা করতে পারিনি। সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।

এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরা আমাদের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। আমরা নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আমরা বিশ্ব দরবারে মানবাধিকার রক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

কী প্রশ্ন থাকবে জুলাই সনদের গণভোটে?

প্রশ্নটি হবে এ রকম— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’

১ ঘণ্টা আগে

সংসদ নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের গণভোট

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়া হবে।

২ ঘণ্টা আগে

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের আদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ আদেশের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলোর বিষয়ে জনগণের রায় নেওয়া হবে গণভোটে।

২ ঘণ্টা আগে

অগ্নিসন্ত্রাস ও লাশের রাজনীতি কার প্রিয়, জানালেন সোহেল তাজ

সোহেল তাজ লেখেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আর সত্যি কথা বললে যদি গালি খেতে হয় তাহলে কি আর করা।’

২ ঘণ্টা আগে