ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় অনেকে পানির মধ্যে বসবাস করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি অনেক এলাকায় চার-পাঁচ দিনেও কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। এত দিনেও সরকারি-বেসরকারি সাহায্য নিয়ে যায়নি কেউ। অনাহারে দিন কাটছে অনেকের। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আক্রান্ত এলাকার জনজীবন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টির পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আট লাখ ২৪ হাজারের বেশি। জেলার বুড়িচং উপজেলায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
আক্রান্ত অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেনি। তাদের অনেকে অবস্থান নিয়েছে বাড়ির ছাদে। আবার অনেকে গলা সমান পানি ডিঙিয়ে বাড়িতেই রয়ে গেছে। বাড়িঘরের মায়ায় পড়ে থাকলেও এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায় তারা। তবে সেখানে নৌকা ও খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সদরের এক বাসিন্দা বলেন, বুড়িচং সদর পানির নিচে। অন্তত ২০০টি পরিবার এখনো কোনো ত্রাণ পায়নি। তাদের কাছে কোনো খাবার নেই। এদিকে তিতাস উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বাগাইরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ফেনী: ফেনীতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। শহরের এসএসকে রোড, ট্রাংক রোডসহ যেসব সড়ক তিন-চার ফুট পানির নিচে ছিল, সেগুলোতেও পানির পরিমাণ দু-এক ফুট কমেছে। তবে এখনো জেলার সব জায়গায় ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের।
ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে জেলা শহরে অফিসে এসেছেন কবির হোসেন। তিনি জানান, এখনো তাঁর পরিবারসহ বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি পানিবন্দি। কোনো রকম ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনেক কষ্টে একটি নৌকায় করে শহরে এসেছেন।
লক্ষ্মীপুর: জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে নতুন করে পানির চাপ বাড়ছে। এর আগে গত শনিবার নোয়াখালীর পানির চাপ আসা শুরু করে লক্ষ্মীপুরে। এর সঙ্গে যোগ হয় রাতের ভারি বৃষ্টি। ফলে জেলার বেশ কিছু এলাকায় বেড়েছে পানি। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল পানি কমেছে দুই উপজেলায়ই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশির ভাগ জায়গার বাড়িঘর থেকে পানি সরে গেছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি না থাকলেও কিছু বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে।
মৌলভীবাজার: বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মনু নদে পানি অনেকটাই কমে গেছে। তবে কদমহাটা মনু নদের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে পানি কিছুটা নামলেও ফসলি জমি থেকে এখনো পানি নামেনি।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): মিরসরাইয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনী নদীর পানি বাড়ায় গত বুধবার থেকে এখানকার ১৬৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তবে গতকাল সকাল থেকে কিছু কিছু এলাকায় পানি কমেছে।
নোয়াখালী: বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এদিকে সেনবাগ উপজেলায় পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সেনবাগ উপজেলার বীরকোর্ট এলাকায় আবদুর রহমান (২) নামের একটি শিশু ঘরের সামনে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।
হবিগঞ্জ: খোয়াই নদের বাল্লা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে হলেও শায়েস্তাগঞ্জ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে। কুশিয়ারা ও কালনী কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। নদীর পানির পাশাপাশি বন্যাকবলিত জেলার ছয়টি উপজেলার অবস্থা উন্নতি হয়েছে।
বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যায় দেশের ১১ জেলা কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮ জন। মারা গেছেন ২০ জন।
বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় অনেকে পানির মধ্যে বসবাস করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি অনেক এলাকায় চার-পাঁচ দিনেও কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। এত দিনেও সরকারি-বেসরকারি সাহায্য নিয়ে যায়নি কেউ। অনাহারে দিন কাটছে অনেকের। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আক্রান্ত এলাকার জনজীবন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টির পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আট লাখ ২৪ হাজারের বেশি। জেলার বুড়িচং উপজেলায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
আক্রান্ত অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেনি। তাদের অনেকে অবস্থান নিয়েছে বাড়ির ছাদে। আবার অনেকে গলা সমান পানি ডিঙিয়ে বাড়িতেই রয়ে গেছে। বাড়িঘরের মায়ায় পড়ে থাকলেও এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায় তারা। তবে সেখানে নৌকা ও খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সদরের এক বাসিন্দা বলেন, বুড়িচং সদর পানির নিচে। অন্তত ২০০টি পরিবার এখনো কোনো ত্রাণ পায়নি। তাদের কাছে কোনো খাবার নেই। এদিকে তিতাস উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বাগাইরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ফেনী: ফেনীতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। শহরের এসএসকে রোড, ট্রাংক রোডসহ যেসব সড়ক তিন-চার ফুট পানির নিচে ছিল, সেগুলোতেও পানির পরিমাণ দু-এক ফুট কমেছে। তবে এখনো জেলার সব জায়গায় ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের।
ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে জেলা শহরে অফিসে এসেছেন কবির হোসেন। তিনি জানান, এখনো তাঁর পরিবারসহ বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি পানিবন্দি। কোনো রকম ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনেক কষ্টে একটি নৌকায় করে শহরে এসেছেন।
লক্ষ্মীপুর: জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে নতুন করে পানির চাপ বাড়ছে। এর আগে গত শনিবার নোয়াখালীর পানির চাপ আসা শুরু করে লক্ষ্মীপুরে। এর সঙ্গে যোগ হয় রাতের ভারি বৃষ্টি। ফলে জেলার বেশ কিছু এলাকায় বেড়েছে পানি। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল পানি কমেছে দুই উপজেলায়ই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশির ভাগ জায়গার বাড়িঘর থেকে পানি সরে গেছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি না থাকলেও কিছু বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে।
মৌলভীবাজার: বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মনু নদে পানি অনেকটাই কমে গেছে। তবে কদমহাটা মনু নদের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে পানি কিছুটা নামলেও ফসলি জমি থেকে এখনো পানি নামেনি।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): মিরসরাইয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনী নদীর পানি বাড়ায় গত বুধবার থেকে এখানকার ১৬৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তবে গতকাল সকাল থেকে কিছু কিছু এলাকায় পানি কমেছে।
নোয়াখালী: বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এদিকে সেনবাগ উপজেলায় পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সেনবাগ উপজেলার বীরকোর্ট এলাকায় আবদুর রহমান (২) নামের একটি শিশু ঘরের সামনে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।
হবিগঞ্জ: খোয়াই নদের বাল্লা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে হলেও শায়েস্তাগঞ্জ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে। কুশিয়ারা ও কালনী কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। নদীর পানির পাশাপাশি বন্যাকবলিত জেলার ছয়টি উপজেলার অবস্থা উন্নতি হয়েছে।
বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যায় দেশের ১১ জেলা কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮ জন। মারা গেছেন ২০ জন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদ
৪ ঘণ্টা আগেকর কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে ও জুনে আন্দোলনের জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। যার শুরু গত জুলাই থেকেই।
৪ ঘণ্টা আগে