টিয়ারশেল-লাঠিচার্জ, জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
শুক্রবার দুপুরে সংসদ ভবনের সামনে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ছবি: ভিডিও থেকে

কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার পর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে জুলাই যোদ্ধাদের জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এ সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেন। বাইরের বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। সেখানে সড়কের কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’গুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তাদের সড়কের দুপাশে সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জুলাই যোদ্ধারা এখন সংসদ ভবনের সামনে থেকে খামারবাড়ি এলাকায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আরেক অংশ অবস্থান নিয়েছেন আসাদ গেট এলাকায়।

এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই পুলিশ ও জুলাই যোদ্ধারা মুখোমুখি হয়ে পড়ে। আগে থেকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়া ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখন দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও নিজেদের দায়মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সইয়ের মঞ্চে অবস্থান নেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। তারা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন।

জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি দাবি হলো— জুলাই সনদ সংশোধন, সনদকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়া।

আমরা জুলাই যোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম আপন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তারা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সদস্যরা জুলাই মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত'‍‍‌‌

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।

৯ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় নিয়ে যা বলল ভারত

সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।

১০ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়

১০ ঘণ্টা আগে

হাসিনা-কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন

১০ ঘণ্টা আগে