বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম
রাজধানী ঢাকায় ৩ আগস্ট দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি, ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ, এর আগেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’ এবং তাতে সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ— সবকিছু মিলিয়ে আগস্টের শুরু থেকেই রাজধানীতে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাহবাগ মোড়ে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশ করবে। অন্যদিকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জনসমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট: জুলাই জাগরণ’। এসব কর্মসূচির পাশাপাশি রোববার ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা এবং বিসিএস পরীক্ষাও রয়েছে।
ঢাকায় একাধিক রাজনৈতিক সমাবেশ ও অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার রাজধানীতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে জানানো হয়েছে, রোববার শাহবাগ, শহিদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির কারণে ব্যাপক জনসমাগম হবে। ফলে এসব এলাকায়, বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না।
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ ঘিরে আগে থেকেই রাজধানী জুড়ে চরম সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৫ ও ৮ আগস্ট ঘিরে সংঘবদ্ধ নাশকতার পরিকল্পনার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে চিরুনি অভিযান। আবাসিক হোটেল, মেস, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ভাড়া ফ্ল্যাট, এমনকি বস্তি এলাকাতেও তল্লাশি চলছে। ঢাকার বাইরে থেকে আগত সন্দেহভাজনদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, অনলাইনে ও মেসেজিং অ্যাপে ‘সহিংস সমন্বয়’ ও অপপ্রচারের প্রমাণ মিলেছে। এরই মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ এদের সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত গোপন বৈঠক। পুলিশের ভাষ্য, ওই বৈঠকে ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। গত ৮ জুলাই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, বৈঠকটি ‘বিদেশে লোক পাঠানোর প্রশিক্ষণ’ হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান, অপপ্রচারের নথিপত্র ও ‘ষড়যন্ত্রে’র পাওয়া গেছে। এমনকি একজন সেনা কর্মকর্তা সেখানে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাশকতার প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, মেজর পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তাকে ১৭ জুলাই তার উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ আগামী ৮ আগস্ট ঢাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করছে। তারা ‘জুলাই সনদে’র ভিত্তিতে ক্ষমতায় ফেরা ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) আশঙ্কা করছে, এটি রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং শৃঙ্খলা ভাঙার একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, তারা ‘সতর্ক ও প্রস্তুত’। তবে সব পক্ষের দাবি ও পালটা অভিযোগের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে— আগস্টের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার ঢাকায় রয়েছে দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি— জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহবাগ সমাবেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সমাবেশ। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দিন ঢাকায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন, যা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।
একই কথা বলেছে এনসিপিও। এরই মধ্যে শহিদ মিনারে তাদের সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে এবং মেডিকেল টিম, নিরাপত্তা টিমসহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনসিপি এই সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করবে। এতে থাকছে ২৪ দফা পরিকল্পনা, যার মধ্যে রয়েছে পররাষ্ট্রনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা, নগরায়ণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত রূপরেখা।
র্যাব ও ডিবি জানায়, তাদের কাছে স্পষ্ট তথ্য রয়েছে, এই কর্মসূচিগুলোর আড়ালে তৃতীয় কোনো পক্ষ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। এমন আশঙ্কায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত টহল টিম।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৪৮৯টি টহল ও ৬৬টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৪ জনকে, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল, মোটরসাইকেল, মাদকসহ বিভিন্ন আলামত।
ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, কাউকে হয়রানি করা হবে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না। গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে, আগাম তথ্য সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে সব বাহিনী।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোনো তথ্য উড়িয়ে দিচ্ছি না। এখন সময়ই বলবে কারা কী চাচ্ছে। তবে রাজধানীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
জুলাই সনদ নিয়ে চলমান আলোচনা, ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠীর সক্রিয়তা এবং সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা— সব মিলিয়ে রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘনীভূত হয়েছে। আগস্ট জুড়ে এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারবিরোধী কর্মসূচির পেছনে কারা, তাদের লক্ষ্য কী এবং কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ শক্তি তাদের মদত দিচ্ছে— তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। একই সঙ্গে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ-ও বলছে, সবকিছু নিয়ে জনমনে আতঙ্ক থাকলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
রাজধানী ঢাকায় ৩ আগস্ট দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি, ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ, এর আগেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’ এবং তাতে সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ— সবকিছু মিলিয়ে আগস্টের শুরু থেকেই রাজধানীতে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাহবাগ মোড়ে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশ করবে। অন্যদিকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জনসমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট: জুলাই জাগরণ’। এসব কর্মসূচির পাশাপাশি রোববার ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা এবং বিসিএস পরীক্ষাও রয়েছে।
ঢাকায় একাধিক রাজনৈতিক সমাবেশ ও অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার রাজধানীতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে জানানো হয়েছে, রোববার শাহবাগ, শহিদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির কারণে ব্যাপক জনসমাগম হবে। ফলে এসব এলাকায়, বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না।
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ ঘিরে আগে থেকেই রাজধানী জুড়ে চরম সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৫ ও ৮ আগস্ট ঘিরে সংঘবদ্ধ নাশকতার পরিকল্পনার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে চিরুনি অভিযান। আবাসিক হোটেল, মেস, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ভাড়া ফ্ল্যাট, এমনকি বস্তি এলাকাতেও তল্লাশি চলছে। ঢাকার বাইরে থেকে আগত সন্দেহভাজনদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, অনলাইনে ও মেসেজিং অ্যাপে ‘সহিংস সমন্বয়’ ও অপপ্রচারের প্রমাণ মিলেছে। এরই মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ এদের সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত গোপন বৈঠক। পুলিশের ভাষ্য, ওই বৈঠকে ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। গত ৮ জুলাই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, বৈঠকটি ‘বিদেশে লোক পাঠানোর প্রশিক্ষণ’ হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান, অপপ্রচারের নথিপত্র ও ‘ষড়যন্ত্রে’র পাওয়া গেছে। এমনকি একজন সেনা কর্মকর্তা সেখানে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাশকতার প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, মেজর পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তাকে ১৭ জুলাই তার উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ আগামী ৮ আগস্ট ঢাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করছে। তারা ‘জুলাই সনদে’র ভিত্তিতে ক্ষমতায় ফেরা ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) আশঙ্কা করছে, এটি রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং শৃঙ্খলা ভাঙার একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, তারা ‘সতর্ক ও প্রস্তুত’। তবে সব পক্ষের দাবি ও পালটা অভিযোগের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে— আগস্টের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার ঢাকায় রয়েছে দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি— জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহবাগ সমাবেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সমাবেশ। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দিন ঢাকায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন, যা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।
একই কথা বলেছে এনসিপিও। এরই মধ্যে শহিদ মিনারে তাদের সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে এবং মেডিকেল টিম, নিরাপত্তা টিমসহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনসিপি এই সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করবে। এতে থাকছে ২৪ দফা পরিকল্পনা, যার মধ্যে রয়েছে পররাষ্ট্রনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা, নগরায়ণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত রূপরেখা।
র্যাব ও ডিবি জানায়, তাদের কাছে স্পষ্ট তথ্য রয়েছে, এই কর্মসূচিগুলোর আড়ালে তৃতীয় কোনো পক্ষ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। এমন আশঙ্কায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত টহল টিম।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৪৮৯টি টহল ও ৬৬টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৪ জনকে, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল, মোটরসাইকেল, মাদকসহ বিভিন্ন আলামত।
ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, কাউকে হয়রানি করা হবে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না। গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে, আগাম তথ্য সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে সব বাহিনী।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোনো তথ্য উড়িয়ে দিচ্ছি না। এখন সময়ই বলবে কারা কী চাচ্ছে। তবে রাজধানীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
জুলাই সনদ নিয়ে চলমান আলোচনা, ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠীর সক্রিয়তা এবং সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা— সব মিলিয়ে রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘনীভূত হয়েছে। আগস্ট জুড়ে এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারবিরোধী কর্মসূচির পেছনে কারা, তাদের লক্ষ্য কী এবং কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ শক্তি তাদের মদত দিচ্ছে— তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। একই সঙ্গে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ-ও বলছে, সবকিছু নিয়ে জনমনে আতঙ্ক থাকলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূলের অদূরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে
১২ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোর
১২ ঘণ্টা আগে