প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিস ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, ফুসফুসের সংক্রমণসহ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।
আহমদ রফিকের বিশেষ সহকারী মো. রাসেল এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসকদের বরাতে তিনি জানান, মৃত ঘোষণার ৭ মিনিট আগেও আহমদ রফিকের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।
নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত আহমদ রফিককে প্রায়ই হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১১ সেপ্টেম্বর তাকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, কিডনি জটিলতার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হলে আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর মধ্যে বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়।
জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি তার মরদেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে দান করে গেছেন।
১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান তিনি। ছিলেন নিঃসন্তান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন।
মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন আহমদ রফিক। তবে আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি নিয়েও অবশ্য পরে আর চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হননি তিনি। লেখালেখিকেই ব্রত হিসেবে বেছে নেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন চলাকালে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আহমদ রফিক। ওই সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ফজলুল হক হল, ঢাকা হল ও মিটফোর্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় করেছেন।
১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একমাত্র তার নামেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এ সময় তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। পড়ালেখাও শেষ করেন।
১৯৫৮ সালে আহমেদ রফিকের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’ প্রকাশ হয়। এরপর লেখালেখি ও গবেষণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।
কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গবেষণা মিলিয়ে আহমদ রফিকের লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অবদান অনন্য। কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।
ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিস ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, ফুসফুসের সংক্রমণসহ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।
আহমদ রফিকের বিশেষ সহকারী মো. রাসেল এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসকদের বরাতে তিনি জানান, মৃত ঘোষণার ৭ মিনিট আগেও আহমদ রফিকের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।
নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত আহমদ রফিককে প্রায়ই হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১১ সেপ্টেম্বর তাকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, কিডনি জটিলতার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হলে আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর মধ্যে বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়।
জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি তার মরদেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে দান করে গেছেন।
১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান তিনি। ছিলেন নিঃসন্তান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন।
মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন আহমদ রফিক। তবে আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি নিয়েও অবশ্য পরে আর চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হননি তিনি। লেখালেখিকেই ব্রত হিসেবে বেছে নেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন চলাকালে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আহমদ রফিক। ওই সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ফজলুল হক হল, ঢাকা হল ও মিটফোর্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় করেছেন।
১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একমাত্র তার নামেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এ সময় তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। পড়ালেখাও শেষ করেন।
১৯৫৮ সালে আহমেদ রফিকের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’ প্রকাশ হয়। এরপর লেখালেখি ও গবেষণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।
কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গবেষণা মিলিয়ে আহমদ রফিকের লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অবদান অনন্য। কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।
নওগাঁর পত্নীতলায় ট্রাক্টরের চাপায় হাবিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে নতুন প্রতীক বেছে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৮ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ইসলামে বলা হয়েছে-যার যার ধর্ম, তার তার কাছে।
১০ ঘণ্টা আগে