
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

চিত্রা নদীর নড়াইলের অংশ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ভরে আছে। প্রায় চার দশক এ নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ। কচুরিপানার জন্জালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে মরে যাচ্ছে নদীটি। হুমকীতে পড়েছে জলজ জীববৈচিত্র। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলেদের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন, স্রোত কমে যাওয়ায় নদীটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগেছে ছোট-বড় চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি মরা খালে পরিণত হবে বলে তাদের শঙ্কা।
পাউবোর ভাষ্য, কচুরিপানার জটে নদীতে পানির স্রোত কমে গেছে। এতে কমলাপুর ও গর্ন্ধব্যখালি এলাকার দুটি পাম্পহাউস থেকে পানি নিষ্কাশনও বন্দ হয়ে গেছে। বেড়িবাধের ভেতরেও কচুরিপানায় ভরে আছে। পাম্প হাউস দুটি বিকল থাকায় কৃষিজমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে চিত্রা নদীর দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। সদর উপজেলার রতডাঙ্গা ত্রিমোহনী থেকে কালিয়া উপজেলার পেড়লী বাজার ত্রিমোহনী গিয়ে নবগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশেছে।
সরেজমিন নদীটির রতডাঙ্গা, সাবেক শেখ রাসেল সেতু, আউড়িয়া এস এম সুলতান সেতু, গোবরা বাজার, শিঙ্গাশোলপুর বাজার, চুনখোলা সেতুর অংশ ঘুরে দেখা গেছে নদীতে ঘন কচুরিপানা। সেখানে পানি আছে কি না, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। কোনো নৌযান চোখে পড়েনি। অনেক বস্তু নদীর কিছু এলাকায় কচুরিপানায় আটকা পড়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাড়ে দাড়ানো কঠিন। মশা-মাছি ভনভন করছে। নদীটির পেড়লী এলাকায় মাত্র তিন-চার কিলোমিটার জুড়ে কচুনিপানা নেই। বাকি প্রায় সব অংশ কচুরিপানায় ভর্তি।
কমলাপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক নিরাপদ বিশ্বাস, ইউনুস শেখ, গোলাম মোস্তফা বলেন, এক সময় এ নদীতে অনেক স্রোত ছিল। ষ্টীমার, লঞ্চ, কা র্গো, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করত। লোকজন এখান দিয়ে লঞ্চে উত্তরে মাগুরা, দক্ষিণে খুলনা, বড়দিয়া, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ও ঢাকায় যাতায়াত করত। ফসল ও মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। সেসব কথা আজ রূপকথার মত শোনায়।
নদীতীরবর্তী পূর্ব সীমাখালি গ্রামের বাসিন্দা কাকলি বিশ্বাস বলেন, এলাকার প্রতিটি পরিবার স্নান, থালাবাসন ধোয়সহ সব কাজই করতে হয় নদীতে। কচুরিপানায় ভরে থাকায় কিছুই করা যাচ্ছে না।
নদীর এই পরিণতি সম্পর্কে গোবরা এলাকার স্কুল শিক্ষক মো.রাশেদুল ইসলাম বলেন, ১৮৮৬ সালে মাগুরা শহরে নদীর ওপর তৎকালীণ পানি সম্পদমন্ত্রী (এম মাজেদুল হক) স্লুইসগেট নির্মাণ করার পর থেকে নদীর নাব্যতা কমতে থাকে। এ ছাড়া নদীর ওপর ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করার কারণেও পলি জমে নাব্যতা কমেছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার গড়াই নদ ও খুলনার আত্রাই নদীর সঙ্গে এই নদীর সংযোগ ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নদীতে নৌকা চলাচল করলেও আশির দশক থেকে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন নদীতে স্রোত কমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি সরু খালে পরিণত হবে।
শহরের রূপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো.রেজাউল ইসলাম বলেন, নদীতে যখন নৌকা অথবা লঞ্চ চলেছে তখন কম খরচে সব ব্যবসায়ী লঞ্চে করে খুলনা থেকে মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। এখন কচুরিপানা ও নাব্যতা-সংকটের কারণে সেগুলো বন্ধু হয়ে গেছে।
শেষে একটা কথা বলা জরুরি। কচুরিপানা বিদেশে থেকে এখানে এসেছে। শত শত বছর ধরে এদের নদী ও জলাশয়ে এরা বাস করছে। মূল সমস্যা কচুরিপানা নয়। পর্যাপ্ত স্রোত। পানি প্রবাহের পরিমাণ কমে গেলেই এভাবে কচুরিপানা নদীকে ধংস করে দেয়। তেমনি শুধু নদী খনন করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই চিত্রাকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা জরুরি।

চিত্রা নদীর নড়াইলের অংশ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ভরে আছে। প্রায় চার দশক এ নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ। কচুরিপানার জন্জালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে মরে যাচ্ছে নদীটি। হুমকীতে পড়েছে জলজ জীববৈচিত্র। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলেদের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন, স্রোত কমে যাওয়ায় নদীটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগেছে ছোট-বড় চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি মরা খালে পরিণত হবে বলে তাদের শঙ্কা।
পাউবোর ভাষ্য, কচুরিপানার জটে নদীতে পানির স্রোত কমে গেছে। এতে কমলাপুর ও গর্ন্ধব্যখালি এলাকার দুটি পাম্পহাউস থেকে পানি নিষ্কাশনও বন্দ হয়ে গেছে। বেড়িবাধের ভেতরেও কচুরিপানায় ভরে আছে। পাম্প হাউস দুটি বিকল থাকায় কৃষিজমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে চিত্রা নদীর দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। সদর উপজেলার রতডাঙ্গা ত্রিমোহনী থেকে কালিয়া উপজেলার পেড়লী বাজার ত্রিমোহনী গিয়ে নবগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশেছে।
সরেজমিন নদীটির রতডাঙ্গা, সাবেক শেখ রাসেল সেতু, আউড়িয়া এস এম সুলতান সেতু, গোবরা বাজার, শিঙ্গাশোলপুর বাজার, চুনখোলা সেতুর অংশ ঘুরে দেখা গেছে নদীতে ঘন কচুরিপানা। সেখানে পানি আছে কি না, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। কোনো নৌযান চোখে পড়েনি। অনেক বস্তু নদীর কিছু এলাকায় কচুরিপানায় আটকা পড়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাড়ে দাড়ানো কঠিন। মশা-মাছি ভনভন করছে। নদীটির পেড়লী এলাকায় মাত্র তিন-চার কিলোমিটার জুড়ে কচুনিপানা নেই। বাকি প্রায় সব অংশ কচুরিপানায় ভর্তি।
কমলাপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক নিরাপদ বিশ্বাস, ইউনুস শেখ, গোলাম মোস্তফা বলেন, এক সময় এ নদীতে অনেক স্রোত ছিল। ষ্টীমার, লঞ্চ, কা র্গো, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করত। লোকজন এখান দিয়ে লঞ্চে উত্তরে মাগুরা, দক্ষিণে খুলনা, বড়দিয়া, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ও ঢাকায় যাতায়াত করত। ফসল ও মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। সেসব কথা আজ রূপকথার মত শোনায়।
নদীতীরবর্তী পূর্ব সীমাখালি গ্রামের বাসিন্দা কাকলি বিশ্বাস বলেন, এলাকার প্রতিটি পরিবার স্নান, থালাবাসন ধোয়সহ সব কাজই করতে হয় নদীতে। কচুরিপানায় ভরে থাকায় কিছুই করা যাচ্ছে না।
নদীর এই পরিণতি সম্পর্কে গোবরা এলাকার স্কুল শিক্ষক মো.রাশেদুল ইসলাম বলেন, ১৮৮৬ সালে মাগুরা শহরে নদীর ওপর তৎকালীণ পানি সম্পদমন্ত্রী (এম মাজেদুল হক) স্লুইসগেট নির্মাণ করার পর থেকে নদীর নাব্যতা কমতে থাকে। এ ছাড়া নদীর ওপর ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করার কারণেও পলি জমে নাব্যতা কমেছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার গড়াই নদ ও খুলনার আত্রাই নদীর সঙ্গে এই নদীর সংযোগ ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নদীতে নৌকা চলাচল করলেও আশির দশক থেকে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন নদীতে স্রোত কমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি সরু খালে পরিণত হবে।
শহরের রূপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো.রেজাউল ইসলাম বলেন, নদীতে যখন নৌকা অথবা লঞ্চ চলেছে তখন কম খরচে সব ব্যবসায়ী লঞ্চে করে খুলনা থেকে মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। এখন কচুরিপানা ও নাব্যতা-সংকটের কারণে সেগুলো বন্ধু হয়ে গেছে।
শেষে একটা কথা বলা জরুরি। কচুরিপানা বিদেশে থেকে এখানে এসেছে। শত শত বছর ধরে এদের নদী ও জলাশয়ে এরা বাস করছে। মূল সমস্যা কচুরিপানা নয়। পর্যাপ্ত স্রোত। পানি প্রবাহের পরিমাণ কমে গেলেই এভাবে কচুরিপানা নদীকে ধংস করে দেয়। তেমনি শুধু নদী খনন করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই চিত্রাকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা জরুরি।

তার জন্মক্ষণ স্মরণ করতেই ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে সারা বিশ্বে তার অনুসারীরা বড়দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তার স্মরণে গির্জা গির্জায় প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বাজানো হয় ঘণ্টাধ্বনি, যা মানুষের কাছে শুভ সংবাদের বার্তা বয়ে নিয়ে যায় বলে বিশ্বাস করেন খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত বছরের ১০ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খোদা বকশ চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা ও তার মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতে কয়েকদিন ধরে এমন বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতায় উপতদূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে