প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বর্ষপঞ্জিতে পৌষ মাস তথা শীতকাল শুরু হবে হবে করছে। এর আগের কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের পর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়েছিল শীতের হাওয়া। এখন সেই শীতের বিস্তৃতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশেই ছড়াতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে।
এদিকে এর মধ্যেই দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে এর অভিমুখ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলংকা উপকূলের দিকে হওয়ায় এটি নিম্নচাপ বা পরে ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিলে এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে নাও পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। এ দিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। ঢাকাসহ সারা দেশে এই শৈত্যপ্রবাহ ছড়াবে কি না, এটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে মাসের শেষে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
গত কয়েকদিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি বলছে, সর্বউত্তরের পঞ্চগড় দিয়ে শীত নামতে শুরু করেছে এ বছর। তবে এরপর থেকে গত দুসপ্তাহ ধরে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, তথা দেশের উত্তরাঞ্চলের সব জেলাতেই শীত ছড়িয়েছে। এর মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নওগাঁয়। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়সের ঘরেও নেমেছে এর মধ্যে।
এরপর গত কয়েক দিনে দেশের পশ্চিমাঞ্চল তথা চুয়াডাঙ্গা-যশোর এলাকাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য বলছে, শীত এবার দেশের মধ্যাঞ্চল ছাড়িয়ে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা পরিমাপ করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়। পশ্চিমে যশোর-কুষ্টিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেলে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনাতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে।
একই সময়ে মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে মাদারীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেলে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, টাঙ্গাইলে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুর-মানিকগঞ্জের তাপমাত্রাও রয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
তাপমাত্রা নেমে আসায় শীতের তীব্রতা ছড়িয়েছে দক্ষিণেও। এর মধ্যে ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, খেপুপাড়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও পটুয়াখালীতে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী-রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তুলনামূলকভাবে একটু বেশি তাপমাত্রা পোওয়া গেছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে। এই বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ফেনীতে— ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সিলেটের দুটি স্টেশনের মধ্যে সিলেটে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও শ্রীমঙ্গলে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিসগুলো।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। অধিদপ্তরের জানিয়েছে, এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থান করছে। এর বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় বিহার ও এর আশপাশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিলেও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কেননা এটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাসেই ওই একই এলাকায় একটি লঘুচাপ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফেনজলে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত করেছিল। তাতে তামিলনড়ুসহ শ্রীলংকার উপকূলীয় এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় এর কোনো প্রভাব ছিল না।
বর্ষপঞ্জিতে পৌষ মাস তথা শীতকাল শুরু হবে হবে করছে। এর আগের কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের পর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়েছিল শীতের হাওয়া। এখন সেই শীতের বিস্তৃতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশেই ছড়াতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে।
এদিকে এর মধ্যেই দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে এর অভিমুখ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলংকা উপকূলের দিকে হওয়ায় এটি নিম্নচাপ বা পরে ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিলে এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে নাও পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। এ দিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। ঢাকাসহ সারা দেশে এই শৈত্যপ্রবাহ ছড়াবে কি না, এটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে মাসের শেষে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
গত কয়েকদিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি বলছে, সর্বউত্তরের পঞ্চগড় দিয়ে শীত নামতে শুরু করেছে এ বছর। তবে এরপর থেকে গত দুসপ্তাহ ধরে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, তথা দেশের উত্তরাঞ্চলের সব জেলাতেই শীত ছড়িয়েছে। এর মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নওগাঁয়। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়সের ঘরেও নেমেছে এর মধ্যে।
এরপর গত কয়েক দিনে দেশের পশ্চিমাঞ্চল তথা চুয়াডাঙ্গা-যশোর এলাকাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য বলছে, শীত এবার দেশের মধ্যাঞ্চল ছাড়িয়ে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা পরিমাপ করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়। পশ্চিমে যশোর-কুষ্টিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেলে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনাতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে।
একই সময়ে মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে মাদারীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেলে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, টাঙ্গাইলে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুর-মানিকগঞ্জের তাপমাত্রাও রয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
তাপমাত্রা নেমে আসায় শীতের তীব্রতা ছড়িয়েছে দক্ষিণেও। এর মধ্যে ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, খেপুপাড়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও পটুয়াখালীতে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী-রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তুলনামূলকভাবে একটু বেশি তাপমাত্রা পোওয়া গেছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে। এই বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ফেনীতে— ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সিলেটের দুটি স্টেশনের মধ্যে সিলেটে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও শ্রীমঙ্গলে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিসগুলো।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। অধিদপ্তরের জানিয়েছে, এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থান করছে। এর বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় বিহার ও এর আশপাশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিলেও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কেননা এটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাসেই ওই একই এলাকায় একটি লঘুচাপ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফেনজলে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত করেছিল। তাতে তামিলনড়ুসহ শ্রীলংকার উপকূলীয় এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় এর কোনো প্রভাব ছিল না।