
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় বাবা ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শখের বশে বাবার সঙ্গে মাছ ধরা দেখতে সাগরে গিয়েছিল শিশু সিয়াম। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের সেই আনন্দের যাত্রাই পরিণত হয় বাবা–ছেলের জীবনের শেষযাত্রায়।
নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা শামীম এবং তার ছেলে সিয়াম। শামীম ছিলেন স্থানীয় ট্রলার মালিক মো. সিদ্দিক জোমাদ্দারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজার এলাকা থেকে সিদ্দিক জোমাদ্দারের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে মালিকসহ ছয়জন জেলে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান। টানা দুই দিন মাছ ধরার পর বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ট্রলারটি সাগরের পাইপ বয়া এলাকায় নোঙর করা ছিল। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারের নিচের অংশে ছিদ্র হয় এবং দ্রুত পানি ঢুকতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া জেলে রাব্বি, শাওন ও রাশেদ জানান, প্রাণ বাঁচাতে অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়লেও শামীম ও তার শিশুপুত্র ট্রলারের ভেতরেই আটকা পড়েন। অন্য জেলেরা ট্রলারের ভাসমান অংশ ধরে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সাগরে ভেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাতে কোস্টগার্ড ও সাগরে থাকা অন্য ট্রলারের সহায়তায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। ট্রলারের ভেতর থেকে শামীমের মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু সিয়ামের মরদেহ। পরে ট্রলার ও মরদেহগুলো রাঙ্গাবালীর চরগঙ্গা স্লুইস ঘাটে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, সিয়াম চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সম্প্রতি তার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে বাবার সঙ্গে মাছ ধরা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সে। ছেলের সেই আবদার আর হাসিমুখ উপেক্ষা করতে পারেননি বাবা শামীম।
ছেলে ও নাতিকে একসঙ্গে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন ট্রলার মালিক সিদ্দিক জোমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘নাতি শখ করে বাবার সঙ্গে সাগরে গিয়েছিল। কে জানত, এটাই হবে শেষ দেখা। আমি একসঙ্গে আমার ছেলে আর নাতিকে হারালাম।’
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। চারজন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাবা ও শিশুপুত্রকে আর বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নূরে জায়েদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বাবা ও ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় বাবা ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শখের বশে বাবার সঙ্গে মাছ ধরা দেখতে সাগরে গিয়েছিল শিশু সিয়াম। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের সেই আনন্দের যাত্রাই পরিণত হয় বাবা–ছেলের জীবনের শেষযাত্রায়।
নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা শামীম এবং তার ছেলে সিয়াম। শামীম ছিলেন স্থানীয় ট্রলার মালিক মো. সিদ্দিক জোমাদ্দারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজার এলাকা থেকে সিদ্দিক জোমাদ্দারের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে মালিকসহ ছয়জন জেলে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান। টানা দুই দিন মাছ ধরার পর বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ট্রলারটি সাগরের পাইপ বয়া এলাকায় নোঙর করা ছিল। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারের নিচের অংশে ছিদ্র হয় এবং দ্রুত পানি ঢুকতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া জেলে রাব্বি, শাওন ও রাশেদ জানান, প্রাণ বাঁচাতে অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়লেও শামীম ও তার শিশুপুত্র ট্রলারের ভেতরেই আটকা পড়েন। অন্য জেলেরা ট্রলারের ভাসমান অংশ ধরে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সাগরে ভেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাতে কোস্টগার্ড ও সাগরে থাকা অন্য ট্রলারের সহায়তায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। ট্রলারের ভেতর থেকে শামীমের মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু সিয়ামের মরদেহ। পরে ট্রলার ও মরদেহগুলো রাঙ্গাবালীর চরগঙ্গা স্লুইস ঘাটে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, সিয়াম চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সম্প্রতি তার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে বাবার সঙ্গে মাছ ধরা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সে। ছেলের সেই আবদার আর হাসিমুখ উপেক্ষা করতে পারেননি বাবা শামীম।
ছেলে ও নাতিকে একসঙ্গে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন ট্রলার মালিক সিদ্দিক জোমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘নাতি শখ করে বাবার সঙ্গে সাগরে গিয়েছিল। কে জানত, এটাই হবে শেষ দেখা। আমি একসঙ্গে আমার ছেলে আর নাতিকে হারালাম।’
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। চারজন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাবা ও শিশুপুত্রকে আর বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নূরে জায়েদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বাবা ও ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের একটি লঞ্চসহ এর চারজন কর্মীকে আটক করেছে জেলা পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসের তথ্য বলছে, আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে— ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দিল্লি, কলকাতা থেকে শুরু করে আগরতলা পর্যন্ত বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশের দূতাবাস ও উপদূতাবাসগুলোর সামনে। চলমান বাস্তবতায় একসময়ের ঘনিষ্ঠ ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক মেরামত-অযোগ্য হয়ে পড়ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে সরকার বলেছে, পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্
২০ ঘণ্টা আগে