
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

তিন ধাপে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ জমা দেওয়া হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করবে। এরপর জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আয়োজন করা হবে গণভোট। গণভোটে পাস হলে নির্বাচিত সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিধান রাখা হয়েছে সুপারিশে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ও কমিটির সদস্যরা দুপুর ২টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সুপারিশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজসহ ছয় সদস্য এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ মঙ্গলবার সরকারের কাছে হস্তান্তর করার কথা জানান। এ সময় তারা অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডক্যুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও ও ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান। সেদিন ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সনদে সই করে বিএনপি-জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। দুই দিন পর গণফোরামও সনদে সই করে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বামপন্থি চার দল এখনো সনদে সই করেনি।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন খাত সংস্কারের জন্য প্রথম ধাপে ছয়টি ও দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। পরে সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
ছয় মাস মেয়াদ নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন। পরে এই কমিশন প্রথম পর্বে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠক করে। দ্বিতীয় পর্বে ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে ২৩টি বৈঠকের মাধ্যমে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ প্রক্রিয়াতেই শেষ পর্যন্ত ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত করে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’। এর মধ্যে অবশ্য কিছু কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলোকেও রাখা হয়েছে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে। সেগুলো সহই চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই সনদ।

তিন ধাপে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ জমা দেওয়া হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করবে। এরপর জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আয়োজন করা হবে গণভোট। গণভোটে পাস হলে নির্বাচিত সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিধান রাখা হয়েছে সুপারিশে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ও কমিটির সদস্যরা দুপুর ২টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সুপারিশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজসহ ছয় সদস্য এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ মঙ্গলবার সরকারের কাছে হস্তান্তর করার কথা জানান। এ সময় তারা অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডক্যুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও ও ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান। সেদিন ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সনদে সই করে বিএনপি-জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। দুই দিন পর গণফোরামও সনদে সই করে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বামপন্থি চার দল এখনো সনদে সই করেনি।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন খাত সংস্কারের জন্য প্রথম ধাপে ছয়টি ও দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। পরে সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
ছয় মাস মেয়াদ নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন। পরে এই কমিশন প্রথম পর্বে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠক করে। দ্বিতীয় পর্বে ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে ২৩টি বৈঠকের মাধ্যমে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ প্রক্রিয়াতেই শেষ পর্যন্ত ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত করে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’। এর মধ্যে অবশ্য কিছু কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলোকেও রাখা হয়েছে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে। সেগুলো সহই চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই সনদ।

উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘এক-এগারো আবার ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে। রাজনৈতিক সংঘাত হবে—এমন এক জায়গায় আমরা দেশকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা সংলাপ বা আলোচনার দিকে যাচ্ছি না।’
৬ ঘণ্টা আগে
কমিশন বলছে, গণভোট জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে এলে আগামী জাতীয় সংসদই হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যার গাঠনিক ক্ষমতা বা কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ যদি ২৭০ দিনের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন না-ও করতে পারে, তবু স্বয়ংক্রিভাবে এসব প্রস্তাব সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ক্যামেরা কেনার প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে, যেন নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকালীন সময়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণের বিষয়টি দেখভাল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, যিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে