গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই শোক বই থাকবে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত এতে শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানানো যাবে।
পৃথক শোকবার্তায় বিশ্বনেতারা তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ ও ওআইসি এর পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস শোকবার্তায় জানিয়েছে, 'দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বেগম খালেদা বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই শোকের সময় তার পরিবার, রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তাঁর স্থায়ী প্রভাব স্মরণীয় থাকবে।'
দূতাবাসের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।
শোকবার্তায় ওয়াং ই আরও বলেন, চীন–বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে বেইজিং অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। উভয় দেশের পূর্বসূরি নেতৃবৃন্দের গড়ে তোলা দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা জোরদার করতে এবং চীন–বাংলাদেশ সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিতে চীন বাংলাদ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসহাক দার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত।
বাংলাদেশের জন্য খালেদা জিয়া আজীবন অবদান রেখেছেন এবং দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। শেহবাজ শরিফ উল্লেখ করেছেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিত বন্ধু ছিলেন।
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি থেকে যাবেন ইতিহাসের পাতায়। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে নিজেকে যেভাবে তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই তকমাটিও ইতিহাসের পাতায় তার নামের পাশে রয়ে যাবে।