
মু. আ. মোতালিব, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় মতিয়ার রহমান তালুকদার মতি । যিনি অতীতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি উভয় দল থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির আমলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হেভিওয়েট এই প্রার্থী ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দল থেকে পুনর্বিবেচনার পরেও যদি দলীয় মনোনয়ন না পান, তবুও তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়া পূনঃ বিবেচনা করা হবে এবং সেখানে যোগ্যপ্রার্থীকে মনোনীত করা হবে।
দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বরগুনা-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত তিনি কি দলীয় মনোনয়ন পাবেন, নাকি তার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে—এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
মতিয়ার রহমান তালুকদার জানান, তিনি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসার অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যেই অন্যান্য দল—যেমন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী—থেকে মনোনয়ন লাভের জন্য লবিং প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন।
আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার সময়ও যদি বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হই, তবুও আমি নির্বাচন করব—হয় অন্য কোনো দলের মনোনয়ন নিয়ে, নয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আমার নিজ আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা আমি কোনোভাবেই থামাব না।’
তিনি জানান ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমতলী ও তালতলী এ দুটি উপজেলাকে তিনি নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। তাই এ আসনের আমতলী ও তালতলী উপজেলার সাধারণ জনগণ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনার চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি এ দুটি উপজেলার সাধারণ জনগণ তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
দেশে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এদেশের ক্ষমতায় আসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ সময় তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনে জাতীয় পার্টির মতিয়ার রহমান তালুকদার অল্প ভোটে হেরে গেলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদার।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান তালুকদার মনোনয়ন পেয়ে আমতলীতে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নির্বাচনী মঞ্চে একজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কাহিনীতে আমতলী ও তালতলীর সর্বত্র মঙ্গল ও অমঙ্গল নিয়ে এলাকায় আনাচে-কানাচে বেশ কয়েকদিন ছিল আলোচনার ঝড়। পরে এ আসনে তাৎক্ষণিকভাবে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি নির্বাচিত হন।
এ সময় শেখ হাসিনার সাথে নির্বাচনী লড়াই করেন জাতীয় পার্টি থেকে মতিয়ার রহমান তালুকদার। সাড়ে তিন হাজার ভোটের ব্যবধানে শেখ হাসিনার সাথে মতি তালুকদার হেরে গেলেও তখন আলোচনার তুঙ্গে উঠেছেন তিনি।
২০০১ সালের এ নির্বাচনে জামায়াতসহ ১৪ দলকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করেন। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হলে বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনটি ছেড়ে দেন।
সরকার গঠনের পর ৩ মাসের মধ্যে এ আসনে দেওয়া হয় উপ-নির্বাচন। এ উপ-নির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার খশি পাল্টিয়ে আসেন বিএনপি'র মনোনয়ন নিয়ে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ দীর্ঘ ক্ষমতাকালীন সময়ে তিনি আমতলী ও তালতলীকে নিজের মত সাজিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙ্গে করেন ২টি আসন। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আমতলী উপজেলার ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৮ জন এবং তালতলীতে ৯৩ হাজার ৭২৫ জন। দুই উপজেলা মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩, যা বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে ২৬ হাজারেরও বেশি।
স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে বরগুনা-১ আসনে বিএনপির জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। দলীয় ঐক্য বজায় না থাকলে এ আসন পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় মতিয়ার রহমান তালুকদার মতি । যিনি অতীতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি উভয় দল থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির আমলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হেভিওয়েট এই প্রার্থী ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দল থেকে পুনর্বিবেচনার পরেও যদি দলীয় মনোনয়ন না পান, তবুও তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়া পূনঃ বিবেচনা করা হবে এবং সেখানে যোগ্যপ্রার্থীকে মনোনীত করা হবে।
দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বরগুনা-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত তিনি কি দলীয় মনোনয়ন পাবেন, নাকি তার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে—এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
মতিয়ার রহমান তালুকদার জানান, তিনি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসার অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যেই অন্যান্য দল—যেমন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী—থেকে মনোনয়ন লাভের জন্য লবিং প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন।
আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার সময়ও যদি বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হই, তবুও আমি নির্বাচন করব—হয় অন্য কোনো দলের মনোনয়ন নিয়ে, নয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আমার নিজ আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা আমি কোনোভাবেই থামাব না।’
তিনি জানান ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমতলী ও তালতলী এ দুটি উপজেলাকে তিনি নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। তাই এ আসনের আমতলী ও তালতলী উপজেলার সাধারণ জনগণ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনার চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি এ দুটি উপজেলার সাধারণ জনগণ তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
দেশে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এদেশের ক্ষমতায় আসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ সময় তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনে জাতীয় পার্টির মতিয়ার রহমান তালুকদার অল্প ভোটে হেরে গেলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদার।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান তালুকদার মনোনয়ন পেয়ে আমতলীতে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নির্বাচনী মঞ্চে একজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কাহিনীতে আমতলী ও তালতলীর সর্বত্র মঙ্গল ও অমঙ্গল নিয়ে এলাকায় আনাচে-কানাচে বেশ কয়েকদিন ছিল আলোচনার ঝড়। পরে এ আসনে তাৎক্ষণিকভাবে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি নির্বাচিত হন।
এ সময় শেখ হাসিনার সাথে নির্বাচনী লড়াই করেন জাতীয় পার্টি থেকে মতিয়ার রহমান তালুকদার। সাড়ে তিন হাজার ভোটের ব্যবধানে শেখ হাসিনার সাথে মতি তালুকদার হেরে গেলেও তখন আলোচনার তুঙ্গে উঠেছেন তিনি।
২০০১ সালের এ নির্বাচনে জামায়াতসহ ১৪ দলকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করেন। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হলে বরগুনা-৩ (আমতলী ও তালতলী) আসনটি ছেড়ে দেন।
সরকার গঠনের পর ৩ মাসের মধ্যে এ আসনে দেওয়া হয় উপ-নির্বাচন। এ উপ-নির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার খশি পাল্টিয়ে আসেন বিএনপি'র মনোনয়ন নিয়ে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ দীর্ঘ ক্ষমতাকালীন সময়ে তিনি আমতলী ও তালতলীকে নিজের মত সাজিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙ্গে করেন ২টি আসন। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আমতলী উপজেলার ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৮ জন এবং তালতলীতে ৯৩ হাজার ৭২৫ জন। দুই উপজেলা মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩, যা বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে ২৬ হাজারেরও বেশি।
স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে বরগুনা-১ আসনে বিএনপির জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। দলীয় ঐক্য বজায় না থাকলে এ আসন পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

ঘোষণার সময় কদ্দুস মিয়া মাইকে বলেন, তাদের পানের বরজের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। তাই এবার তিনি প্রকাশ্য লড়াইয়ে নামবেন বলে সবাইকে জানাতে চেয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে সিলেটগামী একটি মাছবাহী ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রী মারা যান।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থীর জনসংযোগে গুলিতে একজন নিহতের ঘটনার একদিনের মাথায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ফের গুলির ঘটনা ঘটেছে। এবারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন অটোরিকশাচালক।
১ দিন আগে
নাম উল্লেখ না করে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, গুলি খেতে না চাইলে এবং অনিয়ম-ঘুষ-দুর্নীতি থেকে বাঁচতে চাইলে এনসিপিতে চলে আসুন। আমরা আপনাদের সম্মান দেবো।
১ দিন আগে