’নুরের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার’

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রায় ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুরের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর অগ্রগতির কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হাসান আল মামুন বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্য, মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ দেখেছে—কী ন্যক্কারজনকভাবে হামলা হয়েছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তারা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে দেখেছি। কিন্তু সেটিরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করছি না। সরকারের যে টালবাহানা, এই টালবাহানা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, কী কারণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না? তাহলে আমরা ধরে নেব সরকার সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে? নাকি অন্য কোনো ষড়যন্ত্র এখানে আছে!

আল মামুন বলেন, নুরুল হক নুর আজকে ১৪ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সার্বিক যে স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সেই বিবেচনায় তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ নেবে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদি সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সরকার সেটি আমাদের জানিয়ে দিক, আমরা নেতা-কর্মীরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেব।

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এখন পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার পরও বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না। নুরুল হকের নাকের যে হাড় ভেঙেছে তা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা। বাংলাদেশের চিকিৎসার ওপর আস্থা রেখে বলছি, তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন