স্কুলের জমি গায়েব: ৫১ বছর পর দলিল খুঁজছে কর্তৃপক্ষ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মেরাকোনা আছিরন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : রাজনীতি ডটকম

প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দান করা জমির দলিলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, ভূমি জরিপেও স্কুলের নামে কোনো রেকর্ড নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দাইলের মেরাকোনা গ্রামের মো. আবদুল মালেক (৭০) তার মা আছিরন্নেছার নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আবদুল মালেক জানান, ১৯৭৪ সালে ৪০ শতক জমি স্কুলের নামে লিখে দিয়ে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং পরে সরকারি অর্থায়নে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ হয়।

সূত্রমতে, বর্তমানে বিদ্যালয়ের নামে মাত্র ২৫ শতক জমি রয়েছে, বাকি ১৫ শতক জমির কোনো হদিস নেই।

দান করা জমির দলিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মালেক জানান, অবসরের সময় তিনি দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র স্কুলের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে তিনি দলিলের কোনো অনুলিপি দেখাতে পারেননি এবং এ বিষয়ে কথা বলতেও অস্বস্তি প্রকাশ করেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক অবসর নেওয়ার সময় জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা মোছা. ফাতেমা আক্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখনও বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

ফাতেমা আক্তার জানান, আবদুল মালেক অবসরের সময় তাকে কোনো কাগজপত্র বুঝিয়ে দেননি। এমনকি তিনি অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ছাড়তে চাননি। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে তাকে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য করেন।

বর্তমান প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার জানান, ২০১৮ সালে তিনি এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর স্কুলের জমির কোনো দলিলপত্র পাননি। দলিলের বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নান্দাইল উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে গিয়েও স্কুলের নামে কোনো জমির রেকর্ড খুঁজে পাননি, যার কারণে জমির খাজনাও দেওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, প্রথমে খতিয়ে দেখা দরকার যে আদৌ জমিদাতা বিদ্যালয়কে জমি দান করেছিলেন কিনা। তারা আরও জানান, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের সময় জমির দলিল প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার কথা। সুতরাং, সেখানকার নথিপত্রে এই তথ্য থাকা উচিত।

নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. ফজিলাতুন্নেছা জানান, বিদ্যালয়ের জমির দলিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জমিদাতা আবদুল মালেককে দলিল জমা দিতে বলা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নিয়ন্ত্রণে আসেনি আশুলিয়ার পোশাক কারখানার আগুন

তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

১৫ ঘণ্টা আগে

খুনের মামলা রাজনৈতিক দেখিয়ে প্রত্যাহার চেষ্টার অভিযোগ

লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।

১৬ ঘণ্টা আগে

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

সাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।

১৭ ঘণ্টা আগে

নাটোরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

নাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

১৭ ঘণ্টা আগে