
রাজশাহী ব্যুরো

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে প্রথম দিনে রাজশাহীতে মোহনপুর থানা, সরকারি খাদ্যগুদাম, ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় থানা পুলিশের দুটি এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) একটি গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে, অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে পক্ষে ও বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থান করে। সবার হাতেই লাঠিসোঁটা, লোহার পাইপ, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় ধরালো অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। তারা উভয়ই মুখোমুখি হলে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনায় আজ রোববার পুরো রাজশাহী শহর জুড়েই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সকাল থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার সকাল থেকে কয়েকশ' আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে মোহনপুর থানা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একদিলতলা হাটে অবস্থান করে। সেখানে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে তারা উপজেলা সদরের দিকে চলে যায়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে প্রথমেই তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কার্যালয়টির ভেতরের সবকিছুই পুড়ে যায়। তারপর থানার সামনের বিভিন্ন স্থাপনা ও গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এতে থানার দুটি গাড়ি পুড়ে যায়। এরপর আন্দোলনকারীরা থানার পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা উপজেলা খাদ্যগুদামে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়। ভাঙচুর করা হয় ইউএনও কার্যালয়ও। এরপর উপজেলা সদর থেকে সরে আন্দোলনকারীরা কেশরহাট পৌর এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, আন্দোলনকারীরা থানার সামনে বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আগুনে পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়ে গেছে। তবে আগুন থানার ভেতরে যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
রাজশাহীর মোহনপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, মোহনপুর থানা, উপজেলার ভূমি অফিস, খাদ্যগুদাম ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আমার অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করছেন।
এদিকে, রাজশাহী মহানগরীতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি হয়ে নগরীর ভদ্র এলাকায় যায়। পরে সেখান থেকে মিছিলটি পুনরায় তালাইমারিতে আসার সময় তালাইমারী মোড় ও ভদ্রা এলাকায় থাকা পুলিশের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে তালাইমারীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন আন্দোলনকারীরা।
আগের দিন শনিবারও আন্দোলনকারীরা একইভাবে রুয়েটের সামনে থেকে ভদ্রা হয়ে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত আসেন। এ সময় পর পর তিনটি পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের স্মৃতি ফলকে থাকা ছবির বিকৃতি ঘটান এবং পাশের থাকা স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে (ল্যান্ডমার্ক) নানা ধরনের খারাপ মন্তব্য লেখেন। রাস্তার ওপর কাঠের খড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ফলে আন্দোলনকারীরা মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর এলাকায় আসলে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে রোববার স্বশস্ত্র আবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সেখানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান
শেষে বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর তালাইমারী পর্যন্ত যান তারা। তবে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ায় কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। আন্দোলনের নামে কেউ সরকারি স্থাপনায় হামলা কিংবা ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে প্রথম দিনে রাজশাহীতে মোহনপুর থানা, সরকারি খাদ্যগুদাম, ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় থানা পুলিশের দুটি এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) একটি গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে, অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে পক্ষে ও বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থান করে। সবার হাতেই লাঠিসোঁটা, লোহার পাইপ, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় ধরালো অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। তারা উভয়ই মুখোমুখি হলে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনায় আজ রোববার পুরো রাজশাহী শহর জুড়েই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সকাল থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার সকাল থেকে কয়েকশ' আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে মোহনপুর থানা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একদিলতলা হাটে অবস্থান করে। সেখানে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে তারা উপজেলা সদরের দিকে চলে যায়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে প্রথমেই তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কার্যালয়টির ভেতরের সবকিছুই পুড়ে যায়। তারপর থানার সামনের বিভিন্ন স্থাপনা ও গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এতে থানার দুটি গাড়ি পুড়ে যায়। এরপর আন্দোলনকারীরা থানার পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা উপজেলা খাদ্যগুদামে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়। ভাঙচুর করা হয় ইউএনও কার্যালয়ও। এরপর উপজেলা সদর থেকে সরে আন্দোলনকারীরা কেশরহাট পৌর এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, আন্দোলনকারীরা থানার সামনে বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আগুনে পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়ে গেছে। তবে আগুন থানার ভেতরে যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
রাজশাহীর মোহনপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, মোহনপুর থানা, উপজেলার ভূমি অফিস, খাদ্যগুদাম ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আমার অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করছেন।
এদিকে, রাজশাহী মহানগরীতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি হয়ে নগরীর ভদ্র এলাকায় যায়। পরে সেখান থেকে মিছিলটি পুনরায় তালাইমারিতে আসার সময় তালাইমারী মোড় ও ভদ্রা এলাকায় থাকা পুলিশের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে তালাইমারীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন আন্দোলনকারীরা।
আগের দিন শনিবারও আন্দোলনকারীরা একইভাবে রুয়েটের সামনে থেকে ভদ্রা হয়ে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত আসেন। এ সময় পর পর তিনটি পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের স্মৃতি ফলকে থাকা ছবির বিকৃতি ঘটান এবং পাশের থাকা স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে (ল্যান্ডমার্ক) নানা ধরনের খারাপ মন্তব্য লেখেন। রাস্তার ওপর কাঠের খড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ফলে আন্দোলনকারীরা মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর এলাকায় আসলে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে রোববার স্বশস্ত্র আবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সেখানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান
শেষে বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর তালাইমারী পর্যন্ত যান তারা। তবে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ায় কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। আন্দোলনের নামে কেউ সরকারি স্থাপনায় হামলা কিংবা ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরাখালা পাগলীর মেলামঞ্চে গান পরিবেশন করেন আবুল সরকার। এ সময় তিনি ধর্ম অবমাননা করেন ও আল্লাহকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন।
২ দিন আগে
এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে