
রাজশাহী ব্যুরো

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন আমাদের সময়ের আহ্বান। সংবিধানের যে স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার রয়েছে, তা যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়, সেটিই আমাদের দায়িত্ব।”
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, বরং এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। “ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।”
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মানবতা যখন অবিচার ও অমানবিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে, তখনই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা মানবজাতিকে নতুন এক নৈতিক চেতনার পথে এগিয়ে নেয়।
“রাষ্ট্র যদি নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তবে ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে,”— বলেন তিনি।
বিচার বিভাগের সংস্কার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা। এই সচিবালয় বিচার প্রশাসনের কেন্দ্রীয় কাঠামো হিসেবে কাজ করবে, যেখানে ন্যায়বিচারে সাধারণ মানুষের অভিগম্যতা নিশ্চিত হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি গত ১৫ মাসের পরিকল্পিত ও বহুপাক্ষিক প্রয়াসের ফল।
“এই সময়ে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী শাখার মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়া ও সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে,”— উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা, আস্থা ও দূরদর্শিতা, যাতে বিচার বিভাগের কাঠামোগত স্বাধীনতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।”
অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ও অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং দেশের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়, যাতে আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন আমাদের সময়ের আহ্বান। সংবিধানের যে স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার রয়েছে, তা যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়, সেটিই আমাদের দায়িত্ব।”
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, বরং এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। “ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।”
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মানবতা যখন অবিচার ও অমানবিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে, তখনই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা মানবজাতিকে নতুন এক নৈতিক চেতনার পথে এগিয়ে নেয়।
“রাষ্ট্র যদি নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তবে ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে,”— বলেন তিনি।
বিচার বিভাগের সংস্কার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা। এই সচিবালয় বিচার প্রশাসনের কেন্দ্রীয় কাঠামো হিসেবে কাজ করবে, যেখানে ন্যায়বিচারে সাধারণ মানুষের অভিগম্যতা নিশ্চিত হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি গত ১৫ মাসের পরিকল্পিত ও বহুপাক্ষিক প্রয়াসের ফল।
“এই সময়ে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী শাখার মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়া ও সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে,”— উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা, আস্থা ও দূরদর্শিতা, যাতে বিচার বিভাগের কাঠামোগত স্বাধীনতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।”
অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ও অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং দেশের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়, যাতে আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

তারা আরও বলেন, “একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এ দেশে আমরা আর কোনো একদলীয় শাসন বা নতুন ফ্যাসিস্ট দেখতে চাই না।”
৫ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগ গৌরবের ৭২ বছর পূর্তি বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপন করা হয়েছে। দীর্ঘ এ যাত্রার স্মৃতিকে ধারণ করে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী উৎসব।
৬ ঘণ্টা আগে
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের ঘটনায় বারহাট্টা থানায় দায়ের হওয়া বিএনপির একটি রাজনৈতিক মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে