
রাজশাহী ব্যুরো

'সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে হামলা ও খুনের প্রতিবাদ এবং ৯ দফা' দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে মারধর, তিনটি পুলিশ বক্সসহ সরকারি স্থাপনা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিনটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিতর্কিত’ সমন্বয় অর্নবকেও পিটিতে আহত করেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে এসব ঘটনা ঘটানো হয়। এসব ঘটনায় রাজশাহীজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি তালাইমারী ও কাজলা ঘুরে রাবির প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশে রূপ নেয়। এই কর্মসূচিতে রাবি, রুয়েট ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া, রাবি ও রুয়েটের শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মসূচিতে ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’, ‘শিবির ট্যাগের ছলচাতুরী, বুইঝা গেছে জনগণ’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’, ‘নয় ছয় বুঝি না, কবে যাবি হাসিনা’, ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
এসময় রাবির প্রধান ফটকের সামনে সাদা পোশাকে থাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সদস্য (সিটিএসবি) সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের অবস্থা দেখছিলেন। হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথা ফেঁটে গেলে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, আন্দোলনকারীরা সাইফুল ইসলামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসের সামনে থেকে আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারী মোড়ে এসে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর ভদ্রার দিকে এগুলোতেই নর্দার্ন মোড়ে ছাত্রলীগের একটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। ভদ্রা মোড় ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে থাকা আওয়ামী লীগের আরো দুটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এরপর প্রায় ৩-৪ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বরে (পূর্বের বিন্দোর মোড়) আসলে সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় পাশেই রেললাইনের ধারে অবস্থিত রেলওয়ের গার্ডরুমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় কাঠের খড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে রাজশাহীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিতর্কিত’ নেতা অর্ণবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি গত ১৮ তারিখে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সেখানে গিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে আন্দোলনকারীরা সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয়। এসময় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত রাবি শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে জীবন দেওয়া আমাদের ভাইগুলোর রক্তের দাগ বাংলার জমিনে এখনো শুকায়নি। কী দোষ ছিল তাদের। তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারের কথা বলেছিল। আজ আমাদের আন্দোলনের দাবি একটা, স্বৈরাচার সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবু সাঈদের মতো জীবন দিতে আজকে মাঠে নেমেছি। হয় জীবন দিবো না হয় স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ করে মাঠ ছাড়বো।
রুয়েট শিক্ষার্থী তানভির হাসান বলেন, সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এখানে আমাদের একটাই দাবি স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থী সমাজ আর ঘরে ফিরবে না। এ আন্দোলন আর কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। পুলিশ প্রশাসন আমাদের ভাইদের ওপর গুলিয়ে চালিয়েছে, তাদেরকে বলবো এখন সাবধান হোন। আপনাদেরও ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের দিকে তাকান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেওয়া রাবির কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। আর কত ঘরে বসে আমার ছেলেদের রক্ত দেখবো। শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করতে স্বৈরাচার সরকারের কি একটুও বুক কাঁপেনি? আজ থেকে এ আন্দোলনে গুলি চালালে সেই গুলি আগে শিক্ষকদের গায়ে লাগবে, তারপর আমাদের ছাত্রদের। শিক্ষার্থীদের আর কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই, তাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা আজ থেকে তাদের সামনে থাকবেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদেরকে সুরক্ষা দিতে সবসময় তাদের সঙ্গেই আমরা আছি।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও। সতর্ক অবস্থানে আছেন পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, আন্দোলনরতরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তালাইমারিতে অবরোধ করলেও বিভিন্ন যানবাহন পাশের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। রাবি ও রুয়েটসহ আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করলে পুলিশ তা প্রতিরোধ করবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের সিটিএসবির একজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পুলিশ বক্সে হামলা চালানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।

'সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে হামলা ও খুনের প্রতিবাদ এবং ৯ দফা' দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে মারধর, তিনটি পুলিশ বক্সসহ সরকারি স্থাপনা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিনটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিতর্কিত’ সমন্বয় অর্নবকেও পিটিতে আহত করেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে এসব ঘটনা ঘটানো হয়। এসব ঘটনায় রাজশাহীজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি তালাইমারী ও কাজলা ঘুরে রাবির প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশে রূপ নেয়। এই কর্মসূচিতে রাবি, রুয়েট ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া, রাবি ও রুয়েটের শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মসূচিতে ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’, ‘শিবির ট্যাগের ছলচাতুরী, বুইঝা গেছে জনগণ’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’, ‘নয় ছয় বুঝি না, কবে যাবি হাসিনা’, ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
এসময় রাবির প্রধান ফটকের সামনে সাদা পোশাকে থাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সদস্য (সিটিএসবি) সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের অবস্থা দেখছিলেন। হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথা ফেঁটে গেলে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, আন্দোলনকারীরা সাইফুল ইসলামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসের সামনে থেকে আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারী মোড়ে এসে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর ভদ্রার দিকে এগুলোতেই নর্দার্ন মোড়ে ছাত্রলীগের একটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। ভদ্রা মোড় ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে থাকা আওয়ামী লীগের আরো দুটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এরপর প্রায় ৩-৪ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বরে (পূর্বের বিন্দোর মোড়) আসলে সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় পাশেই রেললাইনের ধারে অবস্থিত রেলওয়ের গার্ডরুমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় কাঠের খড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে রাজশাহীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিতর্কিত’ নেতা অর্ণবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি গত ১৮ তারিখে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সেখানে গিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে আন্দোলনকারীরা সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয়। এসময় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত রাবি শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে জীবন দেওয়া আমাদের ভাইগুলোর রক্তের দাগ বাংলার জমিনে এখনো শুকায়নি। কী দোষ ছিল তাদের। তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারের কথা বলেছিল। আজ আমাদের আন্দোলনের দাবি একটা, স্বৈরাচার সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবু সাঈদের মতো জীবন দিতে আজকে মাঠে নেমেছি। হয় জীবন দিবো না হয় স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ করে মাঠ ছাড়বো।
রুয়েট শিক্ষার্থী তানভির হাসান বলেন, সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এখানে আমাদের একটাই দাবি স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থী সমাজ আর ঘরে ফিরবে না। এ আন্দোলন আর কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। পুলিশ প্রশাসন আমাদের ভাইদের ওপর গুলিয়ে চালিয়েছে, তাদেরকে বলবো এখন সাবধান হোন। আপনাদেরও ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের দিকে তাকান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেওয়া রাবির কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। আর কত ঘরে বসে আমার ছেলেদের রক্ত দেখবো। শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করতে স্বৈরাচার সরকারের কি একটুও বুক কাঁপেনি? আজ থেকে এ আন্দোলনে গুলি চালালে সেই গুলি আগে শিক্ষকদের গায়ে লাগবে, তারপর আমাদের ছাত্রদের। শিক্ষার্থীদের আর কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই, তাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা আজ থেকে তাদের সামনে থাকবেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদেরকে সুরক্ষা দিতে সবসময় তাদের সঙ্গেই আমরা আছি।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও। সতর্ক অবস্থানে আছেন পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, আন্দোলনরতরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তালাইমারিতে অবরোধ করলেও বিভিন্ন যানবাহন পাশের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। রাবি ও রুয়েটসহ আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করলে পুলিশ তা প্রতিরোধ করবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের সিটিএসবির একজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পুলিশ বক্সে হামলা চালানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।

আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরাখালা পাগলীর মেলামঞ্চে গান পরিবেশন করেন আবুল সরকার। এ সময় তিনি ধর্ম অবমাননা করেন ও আল্লাহকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন।
২ দিন আগে
এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে