রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর বাগমারায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে তাঁতীদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় নারায়ণ ভবানী (৬৫) নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। পরে আজ বুধবার ভোরে নওগাঁর মান্দা থেকে তাঁতীদল নেতা নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চুকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নবাব উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চাঁইসারা গ্রামের মুনসুর রহমানের ছেলে এবং জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ঘটনার পর তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ জানায়, চাঁদা না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণ ভবানীকে প্রকাশ্যে মারধর করেন নবাব হোসেন। এতে আহত হয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামটির শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, নবাব দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর ওপর দাপট দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছিলেন। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, মাছ, ধানসহ বিভিন্ন সম্পদ তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়ে যেতেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বাগমারা শাখার সভাপতি বিশ্বনাথ প্রামাণিক বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় আমরা খুশি। তবে তাকে যেন দ্রুত মুক্তি না দেওয়া হয়, সে দাবি জানিয়েছি।”
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এর আগে লোকজন তাকে (নবাব) ধারালো অস্ত্রসহ ধরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে তাঁতীদলের বাগমারা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, নবাব হোসেন দলের কেউ নন, কর্মীসভায় নাম প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটি আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম ও সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পাশাপাশি তাকে দেখা মাত্র পুলিশের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি করে স্থায়ী বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর নবাব গা-ঢাকা দেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মান্দা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, গ্রামের লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়ও দেখবে পুলিশ।
রাজশাহীর বাগমারায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে তাঁতীদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় নারায়ণ ভবানী (৬৫) নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। পরে আজ বুধবার ভোরে নওগাঁর মান্দা থেকে তাঁতীদল নেতা নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চুকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নবাব উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চাঁইসারা গ্রামের মুনসুর রহমানের ছেলে এবং জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ঘটনার পর তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ জানায়, চাঁদা না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণ ভবানীকে প্রকাশ্যে মারধর করেন নবাব হোসেন। এতে আহত হয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামটির শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, নবাব দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর ওপর দাপট দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছিলেন। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, মাছ, ধানসহ বিভিন্ন সম্পদ তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়ে যেতেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বাগমারা শাখার সভাপতি বিশ্বনাথ প্রামাণিক বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় আমরা খুশি। তবে তাকে যেন দ্রুত মুক্তি না দেওয়া হয়, সে দাবি জানিয়েছি।”
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এর আগে লোকজন তাকে (নবাব) ধারালো অস্ত্রসহ ধরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে তাঁতীদলের বাগমারা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, নবাব হোসেন দলের কেউ নন, কর্মীসভায় নাম প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটি আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম ও সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পাশাপাশি তাকে দেখা মাত্র পুলিশের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি করে স্থায়ী বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর নবাব গা-ঢাকা দেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মান্দা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, গ্রামের লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়ও দেখবে পুলিশ।