
পাবনা প্রতিনিধি

জাতীয় সংসদের ৬৮তম আসন পাবনা-১ সংসদীয় আসনের সীমানা মতো পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধের কারণে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করায় শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে বেড়া উপজেলার একাংশ ও সাঁথিয়া উপজেলা মিলে ছিল পাবনা-১ আসনটি। অন্যদিকে পাবনা-২ আসনে ছিল বেড়া উপজেলার আরেক অংশ ও সুজানগর উপজেলা। সম্প্রতি কেবল সাঁথিয়া উপজেলাকে পাবনা-১ এবং বেড়া ও সুজানগর উপজেলা মিলে পাবনা-২ আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর প্রতিবাদে ও আগের সীমানায় সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেড়া উপজেলার সিঅ্যান্ডবি মোড় অবরোধ করেন বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে আরও নানা দল ও সংগঠন এবং উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
রোববার সকাল থেকেই বেড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সিঅ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ-অবরোধে জনসমাগম বাড়তে থাকে। এ সময় বেড়া ও সিঅ্যান্ডবি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চাই’, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’, ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন অবরোধকারীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, পাবনা-১ আসনে সাঁথিয়া উপজেলার সঙ্গে ছিল বেড়া পৌরসভা ও এর পাশের চারটি ইউনিয়ন। বেড়ার এসব এলাকা ভৌগলিকভাবে সাঁথিয়ার নিকটবর্তী। অন্যদিকে বেড়ার অন্য যে পাঁচটি ইউনিয়ন পাবনা-২ আসনে ছিল, সেগুলো সুজানগর উপজেলার কাছাকাছি।

অবরোধকারীরা বলছেন, পাবনা-১ ও পাবনা-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ অযৌক্তিক হয়েছে। তারা দুটি আসনের সীমানা আগের মতো চাইছেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
তারা বলছেন, সাঁথিয়া উপজেলা সদর থেকে বেড়া সদরের দূরত্ব যেখানে আট কিলোমিটার, যেখানে সুজানগর সদরের সঙ্গে এই দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ফলে সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা বিন্যাস অযৌক্তিক।
এদিকে আগের হিসাবে পাবনা-১ আসনে ভোটার ছিল চার লাখ ৩০ হাজারের মতো। পাবনা-২ আসনে ভোটার ছিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ। সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে এখন পাবনা-১ আসনে ভোটার হবে দুই লাখ ৭৮ হাজারের মতো, যেখানে পাবনা-২ আসনে ভোটার হবে পাঁচ লাখের বেশি।
অবরোধকারীরা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনকে ভাগ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে বেড়া উপজেলার সাধারণ মানুষ সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। পাবনা-১ আসন থেকে বেড়াকে বাদ দিলে পৃথক আসন ঘোষণা করতে হবে। পাবনা-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত বেড়াবাসী মানবে না।

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বিক্ষোভ ও অবরোধে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহসভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন খাজাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী, বিশেষ করে নিজামীপুত্র (মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা) নাজিবুর রহমান মোমেন নির্বাচন কমিশনে ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করে সংসদীয় আসন দুটির সীমানা পুনর্বিন্যাসের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কিছু নেতাকর্মী। বিক্ষোভ-অবরোধেও নজিবুর ও জামায়াতের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা গেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিপুল পরিমাণ মানুষ মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। অবরোধ কর্মসূচি শেষ হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

জাতীয় সংসদের ৬৮তম আসন পাবনা-১ সংসদীয় আসনের সীমানা মতো পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধের কারণে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করায় শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে বেড়া উপজেলার একাংশ ও সাঁথিয়া উপজেলা মিলে ছিল পাবনা-১ আসনটি। অন্যদিকে পাবনা-২ আসনে ছিল বেড়া উপজেলার আরেক অংশ ও সুজানগর উপজেলা। সম্প্রতি কেবল সাঁথিয়া উপজেলাকে পাবনা-১ এবং বেড়া ও সুজানগর উপজেলা মিলে পাবনা-২ আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর প্রতিবাদে ও আগের সীমানায় সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেড়া উপজেলার সিঅ্যান্ডবি মোড় অবরোধ করেন বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে আরও নানা দল ও সংগঠন এবং উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
রোববার সকাল থেকেই বেড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সিঅ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ-অবরোধে জনসমাগম বাড়তে থাকে। এ সময় বেড়া ও সিঅ্যান্ডবি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চাই’, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’, ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন অবরোধকারীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, পাবনা-১ আসনে সাঁথিয়া উপজেলার সঙ্গে ছিল বেড়া পৌরসভা ও এর পাশের চারটি ইউনিয়ন। বেড়ার এসব এলাকা ভৌগলিকভাবে সাঁথিয়ার নিকটবর্তী। অন্যদিকে বেড়ার অন্য যে পাঁচটি ইউনিয়ন পাবনা-২ আসনে ছিল, সেগুলো সুজানগর উপজেলার কাছাকাছি।

অবরোধকারীরা বলছেন, পাবনা-১ ও পাবনা-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ অযৌক্তিক হয়েছে। তারা দুটি আসনের সীমানা আগের মতো চাইছেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
তারা বলছেন, সাঁথিয়া উপজেলা সদর থেকে বেড়া সদরের দূরত্ব যেখানে আট কিলোমিটার, যেখানে সুজানগর সদরের সঙ্গে এই দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ফলে সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা বিন্যাস অযৌক্তিক।
এদিকে আগের হিসাবে পাবনা-১ আসনে ভোটার ছিল চার লাখ ৩০ হাজারের মতো। পাবনা-২ আসনে ভোটার ছিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ। সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে এখন পাবনা-১ আসনে ভোটার হবে দুই লাখ ৭৮ হাজারের মতো, যেখানে পাবনা-২ আসনে ভোটার হবে পাঁচ লাখের বেশি।
অবরোধকারীরা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনকে ভাগ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে বেড়া উপজেলার সাধারণ মানুষ সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। পাবনা-১ আসন থেকে বেড়াকে বাদ দিলে পৃথক আসন ঘোষণা করতে হবে। পাবনা-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত বেড়াবাসী মানবে না।

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বিক্ষোভ ও অবরোধে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহসভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন খাজাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী, বিশেষ করে নিজামীপুত্র (মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা) নাজিবুর রহমান মোমেন নির্বাচন কমিশনে ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করে সংসদীয় আসন দুটির সীমানা পুনর্বিন্যাসের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কিছু নেতাকর্মী। বিক্ষোভ-অবরোধেও নজিবুর ও জামায়াতের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা গেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিপুল পরিমাণ মানুষ মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। অবরোধ কর্মসূচি শেষ হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও দুজনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে তারা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং আন্দোলন চালান।
১ দিন আগে
হরতালের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, দোয়েল চত্বরসহ ৮ থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।
১ দিন আগে
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের সব চাকরির নিয়োগে সরকার ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সেই বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।
২ দিন আগে