
রাজশাহী ব্যুরো

ভয়াবহ সেশনজটের কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে স্বেচ্ছায় 'ফাঁসি' চেয়ে গলায় রশি নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধিভুক্ত নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচি থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো- স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে যে কোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান, পরীক্ষা কমিটির সাথে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীন ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ, আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ইন্টার্নশীপ শুরু নিশ্চিত করা, বেসরকারি কলেজসমূহে পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করা, রামেবিতে পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি বিষয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা এবং রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজনের পদত্যাগের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়েকজন কর্মচারী জানান, পরীক্ষা গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদত্যাগের ফলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, নানা অব্যবস্থাপনার কারণে রামেবির আওতায় নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও ঘটে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের একটি চক্র ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। এভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তারা দ্রুত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষাগ্রহণসহ ফলাফলও প্রকাশের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য দপ্তরটি বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কাজের না, সেটা খোলা রাখার দরকার নাই। এখানে এসে দেখছি সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়েছে। বুধবার আমাদের ডিসি অফিসে নিয়ে গিয়ে অভিনয় করেছে। তারা মুনাফেকি করেছে, তাদের কথা তারা রাখেনি। পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে পালিয়েছে, তারা বাইরে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মিটিং করছে, ষড়যন্ত্র করছে। তারাই সেশনজট ও পরীক্ষা বানচাল করেছে। তারা অফিসে না আসলে তাদের রাখার দরকার নাই। নতুন নিয়োগ দেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা বাসায় জীবিত অবস্থায় চেহারা দেখাতে পারব না। হয় আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে, অন্যথায় আমাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বাসায় মরদেহ পাঠাতে হবে।
কর্মসূচি থেকে সেশনজট সৃষ্টিকারী এবং পরীক্ষা বানচালের ষড়যন্ত্রকারী উল্লেখ করে রামেবির ১২ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান আন্দোলনকারীরা। ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এবং দলীয় স্বার্থে রামেবির বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেন বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, রামেবি অধিভুক্ত ২৩ নার্সিং কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার। রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আমরা রাজশাহী এসে আন্দোলন করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা বাসায় ফিরবো না। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলবে। অন্যথায় ফাঁসি দিয়ে লাশ বাসায় পাঠাতে হবে।
এর আগে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় খড়কুটো জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় তাদের। পরে অবরুদ্ধ করা হয় রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শককে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ অধিকাংশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভয়াবহ সেশনজটের কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে স্বেচ্ছায় 'ফাঁসি' চেয়ে গলায় রশি নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধিভুক্ত নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচি থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো- স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে যে কোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান, পরীক্ষা কমিটির সাথে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীন ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ, আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ইন্টার্নশীপ শুরু নিশ্চিত করা, বেসরকারি কলেজসমূহে পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করা, রামেবিতে পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি বিষয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা এবং রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজনের পদত্যাগের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়েকজন কর্মচারী জানান, পরীক্ষা গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদত্যাগের ফলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, নানা অব্যবস্থাপনার কারণে রামেবির আওতায় নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও ঘটে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের একটি চক্র ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। এভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তারা দ্রুত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষাগ্রহণসহ ফলাফলও প্রকাশের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য দপ্তরটি বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কাজের না, সেটা খোলা রাখার দরকার নাই। এখানে এসে দেখছি সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়েছে। বুধবার আমাদের ডিসি অফিসে নিয়ে গিয়ে অভিনয় করেছে। তারা মুনাফেকি করেছে, তাদের কথা তারা রাখেনি। পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে পালিয়েছে, তারা বাইরে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মিটিং করছে, ষড়যন্ত্র করছে। তারাই সেশনজট ও পরীক্ষা বানচাল করেছে। তারা অফিসে না আসলে তাদের রাখার দরকার নাই। নতুন নিয়োগ দেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা বাসায় জীবিত অবস্থায় চেহারা দেখাতে পারব না। হয় আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে, অন্যথায় আমাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বাসায় মরদেহ পাঠাতে হবে।
কর্মসূচি থেকে সেশনজট সৃষ্টিকারী এবং পরীক্ষা বানচালের ষড়যন্ত্রকারী উল্লেখ করে রামেবির ১২ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান আন্দোলনকারীরা। ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এবং দলীয় স্বার্থে রামেবির বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেন বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, রামেবি অধিভুক্ত ২৩ নার্সিং কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার। রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আমরা রাজশাহী এসে আন্দোলন করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা বাসায় ফিরবো না। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলবে। অন্যথায় ফাঁসি দিয়ে লাশ বাসায় পাঠাতে হবে।
এর আগে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় খড়কুটো জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় তাদের। পরে অবরুদ্ধ করা হয় রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শককে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ অধিকাংশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরাখালা পাগলীর মেলামঞ্চে গান পরিবেশন করেন আবুল সরকার। এ সময় তিনি ধর্ম অবমাননা করেন ও আল্লাহকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন।
২ দিন আগে
এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে