
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আট দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. মো. আনারুল হক প্রামাণিক। পদায়নের দিন থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলায় এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার দুপুরে বাধা উপেক্ষা করে কলেজে এসে দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি।
সাদা কাগজে পদত্যাগপত্রে ড. মো. আনারুল হক প্রামাণিক লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলাম। বিষয়টি সদয় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হলো।’
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রফেসর আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী নগরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের দিন থেকেই তাকে বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার সরকারের দালাল, শিক্ষক নামের পা চাটা গোলাম অ্যাখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রশাসন ভবনে তালাও ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে ধারাবাহিক এই আন্দোলনকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে কলেজে আসেন প্রফেসর আনারুল হক। পরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছে ছাত্রদলের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সরিয়ে প্রফেসর আনারুল হককে নিয়ে অধ্যক্ষ কক্ষে নিয়ে যান। পরে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে এবং দলে দলে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে একত্রিত হন। এসময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুপুর ২টার দিকে পদত্যাগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেস্টনিতে ক্যাম্পাস ছাড়েন প্রফেসর ড. আনারুল হক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকার সময় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে প্রফেসর আনারুল হকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফাণ্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি। পরে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য তদবির শুরু করেনবিতর্কিত এই শিক্ষক। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসে। পরে রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তৎকালীন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সুপারিশে রাজশাহীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার বাগিয়ে নেন। এবার তিনি দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহুয়া জান্নাত মৌ বলেন, রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্য অধ্যক্ষ চান৷ খুনি হাসিনার কোনো দোসরকে আমাদের পবিত্র ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হবে না। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছে হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে সে সময় ছাত্রদলের কতিপয় নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটা কখনোই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের রাজশাহী কলেজ শাখার আহ্বায়ক আবির বলেন, অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই কলেজের সুবিধার স্বার্থে আমরা তাকে বসিয়েছি, যেন কলেজ সুবিধাটা পায়। আমরা চাচ্ছিলাম, অধ্যক্ষ অফিসে যোগ দিয়ে অফিসের কাজ চালাক।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে প্রফেসর ড. আনারুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইব্রহীম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি (আনারুল হক) পদত্যাগ করেছেন।

রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আট দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. মো. আনারুল হক প্রামাণিক। পদায়নের দিন থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলায় এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার দুপুরে বাধা উপেক্ষা করে কলেজে এসে দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি।
সাদা কাগজে পদত্যাগপত্রে ড. মো. আনারুল হক প্রামাণিক লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলাম। বিষয়টি সদয় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হলো।’
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রফেসর আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী নগরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের দিন থেকেই তাকে বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার সরকারের দালাল, শিক্ষক নামের পা চাটা গোলাম অ্যাখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রশাসন ভবনে তালাও ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে ধারাবাহিক এই আন্দোলনকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে কলেজে আসেন প্রফেসর আনারুল হক। পরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছে ছাত্রদলের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সরিয়ে প্রফেসর আনারুল হককে নিয়ে অধ্যক্ষ কক্ষে নিয়ে যান। পরে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে এবং দলে দলে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে একত্রিত হন। এসময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুপুর ২টার দিকে পদত্যাগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেস্টনিতে ক্যাম্পাস ছাড়েন প্রফেসর ড. আনারুল হক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকার সময় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে প্রফেসর আনারুল হকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফাণ্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি। পরে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য তদবির শুরু করেনবিতর্কিত এই শিক্ষক। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসে। পরে রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তৎকালীন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সুপারিশে রাজশাহীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার বাগিয়ে নেন। এবার তিনি দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহুয়া জান্নাত মৌ বলেন, রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্য অধ্যক্ষ চান৷ খুনি হাসিনার কোনো দোসরকে আমাদের পবিত্র ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হবে না। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছে হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে সে সময় ছাত্রদলের কতিপয় নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটা কখনোই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের রাজশাহী কলেজ শাখার আহ্বায়ক আবির বলেন, অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই কলেজের সুবিধার স্বার্থে আমরা তাকে বসিয়েছি, যেন কলেজ সুবিধাটা পায়। আমরা চাচ্ছিলাম, অধ্যক্ষ অফিসে যোগ দিয়ে অফিসের কাজ চালাক।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে প্রফেসর ড. আনারুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইব্রহীম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি (আনারুল হক) পদত্যাগ করেছেন।

আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরাখালা পাগলীর মেলামঞ্চে গান পরিবেশন করেন আবুল সরকার। এ সময় তিনি ধর্ম অবমাননা করেন ও আল্লাহকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন।
২ দিন আগে
এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
২ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে