টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার আজগানা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার ধর্ষণের শিকার শিশুর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিশু ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ না খুললেও ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বররা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সালিশে অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয় দেড় লাখ টাকা। এর মধ্যে ৯২ হাজার টাকা দিলেও এখনো বাকি রয়েছে ৫৮ হাজার টাকা।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ ভুক্তভোগী শিশু ও তার মাকে থানায় নিয়ে এসে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন ধর্ষক সিএনজিচালক উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া শিশুটি নানির বাড়ির কাছে জমিতে সার দিচ্ছিল। ওই জমির সাথেই শিশুটি বড়ই গাছ থেকে বড়ই পাড়ছিল। তখন ফিরোজ মিয়া শিশুটিকে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটিকে। ফিরোজের ডাকার শব্দ শিশুটির মা শুনেছিলেন। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও কিছু বলছিল না। বারবার জিজ্ঞেস করায় এক পর্যায়ে কান্না করে পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে ভুক্তভোগী শিশু।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন মাতাব্বর ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে অভিযুক্ত ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপে সালিশ মেনে নিলেও জরিমানার ৫৮ হাজার টাকা এখনো বাকি রয়ে গেছে বলে শিশুটির মা জানান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। ফিরোজ কয়েকদিন আগেই এলাকা থেকে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ ভুক্তভোগী শিশু ও তার মাকে থানায় নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।
শিশুটির মা জানান, তার স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। ঘটনার কথা ভয়ে প্রকাশ করতে পারেননি। তবু জানাজানি হয়ে যায়। কোনো অভিভাবক না থাকায় গ্রামের মাতাব্বদের কারণে সালিশ মেনে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় শনিবার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ রোববার ধর্ষণের শিকার শিশুর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে টাঙ্গাইল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও মাতাব্বরদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশ হয়েছে। রোববার দুপুরে আজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা বাজারে আজগানা ইউনিয়নবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশের আয়োজন করে।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক যোবায়ের হোসেন, ইমন সিদ্দিকী, আলামীন, সিয়াম, নেহা ও অপরুপা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়া ও গ্রাম্য মাতাব্বর বাবুল, মালেক, ফাজু, ইউনুছ, নুরইসলাম, আলম, খোরশেদ ও আলীমসহ ঘটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতার এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার আজগানা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার ধর্ষণের শিকার শিশুর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিশু ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ না খুললেও ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বররা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সালিশে অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয় দেড় লাখ টাকা। এর মধ্যে ৯২ হাজার টাকা দিলেও এখনো বাকি রয়েছে ৫৮ হাজার টাকা।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ ভুক্তভোগী শিশু ও তার মাকে থানায় নিয়ে এসে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন ধর্ষক সিএনজিচালক উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া শিশুটি নানির বাড়ির কাছে জমিতে সার দিচ্ছিল। ওই জমির সাথেই শিশুটি বড়ই গাছ থেকে বড়ই পাড়ছিল। তখন ফিরোজ মিয়া শিশুটিকে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটিকে। ফিরোজের ডাকার শব্দ শিশুটির মা শুনেছিলেন। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও কিছু বলছিল না। বারবার জিজ্ঞেস করায় এক পর্যায়ে কান্না করে পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে ভুক্তভোগী শিশু।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন মাতাব্বর ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে অভিযুক্ত ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপে সালিশ মেনে নিলেও জরিমানার ৫৮ হাজার টাকা এখনো বাকি রয়ে গেছে বলে শিশুটির মা জানান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। ফিরোজ কয়েকদিন আগেই এলাকা থেকে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ ভুক্তভোগী শিশু ও তার মাকে থানায় নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।
শিশুটির মা জানান, তার স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। ঘটনার কথা ভয়ে প্রকাশ করতে পারেননি। তবু জানাজানি হয়ে যায়। কোনো অভিভাবক না থাকায় গ্রামের মাতাব্বদের কারণে সালিশ মেনে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় শনিবার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ রোববার ধর্ষণের শিকার শিশুর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে টাঙ্গাইল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও মাতাব্বরদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশ হয়েছে। রোববার দুপুরে আজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা বাজারে আজগানা ইউনিয়নবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশের আয়োজন করে।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক যোবায়ের হোসেন, ইমন সিদ্দিকী, আলামীন, সিয়াম, নেহা ও অপরুপা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়া ও গ্রাম্য মাতাব্বর বাবুল, মালেক, ফাজু, ইউনুছ, নুরইসলাম, আলম, খোরশেদ ও আলীমসহ ঘটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতার এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ের পর গাছে চাপা পড়ে জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের সুরুজ আলীর দুটি, নুরুল ইসলামের একটি, আব্দুর রহিমের দুটি, আবু সিদ্দিকের একটি ও ইদ্রিস আলীর দুটি এবং সোহাগী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রিপনের দুটি, শাহ্ নেওয়াজের একটি ও সিরাজুল ইসলামের একটি বসতঘর ভেঙে গেছে
১ দিন আগেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
২ দিন আগেপ্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি
২ দিন আগে