কার্ত্তিক দাস, নড়াইল
সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় আট মাস ধরে কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় তৃণমূলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে- এমনটাই আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবার কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।
সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি । তৃণমূলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নির্ভর করে এসব কেন্দ্রর চিকিৎসাসেবার ওপর। কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ।
গত মঙ্গলবার এবং বুধবার জেলার কয়েকটা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তারা হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ পান নাই। কাজ তেমন না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই। ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনার কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যে সব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।’
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম মনে করেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার। তার কোলের শিশুর সর্দিকাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া-পয়সা নাই আমাগে।’
কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মন্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে । তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে ওষুধ কিনতি হবে। কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু। আমাগে যদি দুয়ানেরতে ওষুধ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খেলা ছিল। ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না। যারা গর্ভবতী তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন। তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট কেটে যাবে।’
সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় আট মাস ধরে কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় তৃণমূলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে- এমনটাই আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবার কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।
সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি । তৃণমূলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নির্ভর করে এসব কেন্দ্রর চিকিৎসাসেবার ওপর। কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ।
গত মঙ্গলবার এবং বুধবার জেলার কয়েকটা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তারা হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ পান নাই। কাজ তেমন না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই। ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনার কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যে সব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।’
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম মনে করেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার। তার কোলের শিশুর সর্দিকাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া-পয়সা নাই আমাগে।’
কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মন্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে । তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে ওষুধ কিনতি হবে। কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু। আমাগে যদি দুয়ানেরতে ওষুধ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খেলা ছিল। ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না। যারা গর্ভবতী তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন। তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট কেটে যাবে।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১ দিন আগেপ্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি
১ দিন আগেএনজিও ও স্থানীয় সুদকারবারিদের ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাজশাহীতে এবার আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
১ দিন আগেলেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামক ফিশিং বোটটি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ৮ জন জেলেসহ সমুদ্রে গমন করে। অতঃপর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্যাফট বিকল হয়ে গেলে বোটটি সমুদ্রে ভাসতে থাকে।’
১ দিন আগে