বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ি বেলতলা দেশের বড় আমের বাজার। প্রতিদিন এখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ আম বিক্রি হয়। আর এতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। এ থেকে একদিকে সরকারের রাজস্বও আয় হয় যেমন তেমনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৌসুমি ফল আমের চাহিদাও পূরণ হয়।। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে আমের কেনা বেচা।
শার্শা সীমান্ত একটি উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং দুটি থানা। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবং পৌর এলাকায় কমবেশি আমের চাষ হয়ে থাকে। আর এই আমের পাইকারি বাজার উপজেলার বাগুড়ি বেলতলা। তবে এখানে কিছু অংশ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার মধ্যে পড়ে। ছোট বড় মিলে এখানে ৮৬ আমের আড়ত রয়েছে। যার ২০টির মতো আড়ত শার্শার শেষ সীমান্ত অংশ একই বাজার কলারোয়ার মধ্যে পড়ে।
শার্শার বাগুড়ি বেলতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা-নাভারনের প্রধান সড়কের দুপাশে বসে এই বৃহৎ আমের হাট। যেখানে ব্যস্ততম সড়কে নানা ধরনের পরিবহন চলাচল করে। এই বাজার একেবারেই রাস্তার ওপর হওয়ায় ছোট খাট দুর্ঘটনাও মাঝে মধ্যে ঘটছে বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়।
একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারটি যদি এখানকার কোনো একটি মাঠে বসানো যেত তাহলে নিরাপদে চাষিরা আম বিক্রি করতে পারতেন। সেই সাথে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে তাদের আম গুছিয়ে কার্টন করে পরিবহন করতে পারতেন। রাস্তার ওপর প্রতিদিন শত শত ভ্যানগাড়ি, করিমন-নসিমনসহ নানা ধরনের ইঞ্জিনচালিত পরিবহন দাঁড় করিয়ে আম নামাতে হয়। তাতে যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
এই বাজারে গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, গোবিন্দভোগ ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপাল খাস, বৈশাখী আম্রপালিসহ নানা জাতের আম বাজারে উঠে। এই আম দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পাইকাররা এসে ক্রয় করে নিয়ে যান। এছাড়া এই আম দেশের চাহিদা মিটানো ছাড়াও বিদেশে রফতানি হয়ে থাকে।
বাগুড়ি বাজারের প্রচার সম্পাদক এবং আড়দার ব্যবসায়ী মো. মন্টু বলেন, এখানে ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রি হয় এবং কোনোপ্রকার রাজনৈতিক চাপ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। এখানকার আড়তদাররা শতকরা ৩ টাকা কমিশনে আড়তদারি নিয়ে থাকেন। বাজারের চাষিরা আম বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে ঘরে ফেরেন। যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো থাকায় দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার আম ব্যবসায়ীরা এখানে এসে আম ক্রয় করে থাকেন। আর আম চাষিরা এখানে শতকরা মাত্র ৫ টাকা খাজনা দেন।
বাগুড়ি বেলতলা আমবাজারের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত ৬ মে থেকে আম ক্রয় বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমানে গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, গোবিন্দভোগ , হিমসাগর, গোপাল খাস বিক্রি হলেও ২১ মে থেকে হিমসাগর বাজারে বেশি দেখা দেবে। ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া এবং ৬ জুন থেকে আম্রপালি ও মল্লিকা বাজারে আসবে।’
সভাপতি মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘এই বাজারে রয়েছে তিন প্রকার আড়ত। এ গ্রেড, বি গ্রেড ও সি গ্রেড। এ গ্রেড আড়তদারা প্রতিদিনি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার আম, বি গ্রেড আড়তদাররা প্রতিদিন ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং সি গ্রেড আড়তদাররা প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করে থাকে। এসব গ্রেড সাধারণত পরিচিতির পর হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান জানান, শার্শার বাগুড়ি বেলতলা দেশের দক্ষিণ পাশ্চিমাঞ্চলের একটি বড় আমবাজার। এখানে সরকারের তরফ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। যাতে কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা না হয়। এই বাজার থেকে দেশের সিংহ ভাগ জেলার আমের চাহিদা মেটায়। এছাড়া এখান থেকে বিদেশেও আম রফতানি করা হয়।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ি বেলতলা দেশের বড় আমের বাজার। প্রতিদিন এখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ আম বিক্রি হয়। আর এতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। এ থেকে একদিকে সরকারের রাজস্বও আয় হয় যেমন তেমনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৌসুমি ফল আমের চাহিদাও পূরণ হয়।। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে আমের কেনা বেচা।
শার্শা সীমান্ত একটি উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং দুটি থানা। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবং পৌর এলাকায় কমবেশি আমের চাষ হয়ে থাকে। আর এই আমের পাইকারি বাজার উপজেলার বাগুড়ি বেলতলা। তবে এখানে কিছু অংশ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার মধ্যে পড়ে। ছোট বড় মিলে এখানে ৮৬ আমের আড়ত রয়েছে। যার ২০টির মতো আড়ত শার্শার শেষ সীমান্ত অংশ একই বাজার কলারোয়ার মধ্যে পড়ে।
শার্শার বাগুড়ি বেলতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা-নাভারনের প্রধান সড়কের দুপাশে বসে এই বৃহৎ আমের হাট। যেখানে ব্যস্ততম সড়কে নানা ধরনের পরিবহন চলাচল করে। এই বাজার একেবারেই রাস্তার ওপর হওয়ায় ছোট খাট দুর্ঘটনাও মাঝে মধ্যে ঘটছে বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়।
একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারটি যদি এখানকার কোনো একটি মাঠে বসানো যেত তাহলে নিরাপদে চাষিরা আম বিক্রি করতে পারতেন। সেই সাথে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে তাদের আম গুছিয়ে কার্টন করে পরিবহন করতে পারতেন। রাস্তার ওপর প্রতিদিন শত শত ভ্যানগাড়ি, করিমন-নসিমনসহ নানা ধরনের ইঞ্জিনচালিত পরিবহন দাঁড় করিয়ে আম নামাতে হয়। তাতে যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
এই বাজারে গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, গোবিন্দভোগ ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপাল খাস, বৈশাখী আম্রপালিসহ নানা জাতের আম বাজারে উঠে। এই আম দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পাইকাররা এসে ক্রয় করে নিয়ে যান। এছাড়া এই আম দেশের চাহিদা মিটানো ছাড়াও বিদেশে রফতানি হয়ে থাকে।
বাগুড়ি বাজারের প্রচার সম্পাদক এবং আড়দার ব্যবসায়ী মো. মন্টু বলেন, এখানে ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রি হয় এবং কোনোপ্রকার রাজনৈতিক চাপ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। এখানকার আড়তদাররা শতকরা ৩ টাকা কমিশনে আড়তদারি নিয়ে থাকেন। বাজারের চাষিরা আম বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে ঘরে ফেরেন। যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো থাকায় দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার আম ব্যবসায়ীরা এখানে এসে আম ক্রয় করে থাকেন। আর আম চাষিরা এখানে শতকরা মাত্র ৫ টাকা খাজনা দেন।
বাগুড়ি বেলতলা আমবাজারের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত ৬ মে থেকে আম ক্রয় বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমানে গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, গোবিন্দভোগ , হিমসাগর, গোপাল খাস বিক্রি হলেও ২১ মে থেকে হিমসাগর বাজারে বেশি দেখা দেবে। ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া এবং ৬ জুন থেকে আম্রপালি ও মল্লিকা বাজারে আসবে।’
সভাপতি মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘এই বাজারে রয়েছে তিন প্রকার আড়ত। এ গ্রেড, বি গ্রেড ও সি গ্রেড। এ গ্রেড আড়তদারা প্রতিদিনি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার আম, বি গ্রেড আড়তদাররা প্রতিদিন ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং সি গ্রেড আড়তদাররা প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করে থাকে। এসব গ্রেড সাধারণত পরিচিতির পর হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান জানান, শার্শার বাগুড়ি বেলতলা দেশের দক্ষিণ পাশ্চিমাঞ্চলের একটি বড় আমবাজার। এখানে সরকারের তরফ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। যাতে কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা না হয়। এই বাজার থেকে দেশের সিংহ ভাগ জেলার আমের চাহিদা মেটায়। এছাড়া এখান থেকে বিদেশেও আম রফতানি করা হয়।
পরে স্বাধীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাধীন ইলেকট্রনিক্সে ঢুকে দোকানের ভেতরের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি তার ছিড়ে লোহার পাতের তৈরি শাটারের মধ্যে লেগে থাকতে দেখা যায়। ওই তার থেকেই বিদ্যুতায়িত হয়েছিল শাটারটি।
১৯ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় এ দুই বিভাগের সব জেলা ও উপজেলায় যথাযথ প্রস্তুতিসহ সব জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেআলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন। এতে অসন্তুষ্ট আছিয়ার মা। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষারত এলাকাবাসীরাও রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
১ দিন আগেখুলনার ডুমুরিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে নিহত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১ দিন আগে