নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ করা একাধিক ঘরে ঝুলছে তালা। কিছু ঘরে কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। আবার বেশ কিছু ঘরে পালন করা হচ্ছে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি!
অভিযোগ রয়েছে, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক দুর্নীতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীনদের বদলে অনেক সচ্ছল পরিবারকেও দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ফলে এই ঘরে তাদের থাকার প্রয়োজন হয় না। তারাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নানা কাজে ব্যবহার করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য বলছে, নড়াইলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের নামে বরাদ্দ দেয় সদর উপজেলা প্রশাসন। তবে স্থানীয়দের বক্তব্যে এসব ঘরের বরাদ্দ নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।
সরেজমিনে উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের দূর্বাজুড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রেনুকা রানীর নামে বরাদ্দ ঘরটিতে তালা ঝুলছে। রেনুকা রানী মুলিয়া ইউনিয়ন ৪/৫/৬ নম্বর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য। তার স্বামীর ও পৈত্রিক সম্পত্তি এবং নিজস্ব ঘর থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে তিনি নিজের নামে টিআর/কাবিটা কর্মসূচির অধীনে দুর্যোগ সহনশীল এ বাসগৃহটি বরাদ্দ নিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা গ্রামের জয়ন্তী রানীর নামে বরাদ্দ ঘরটিকে রীতিমতো কোচিং সেন্টার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারি এ ঘরে সকাল থেকে শুরু হয় স্কুলপড়ুয়াদের কোচিং করানো। কোচিং শেষে তালাবদ্ধ পড়ে থাকে ঘরটি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিণত হয়ে গেছে কোচিং সেন্টারে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের রজিবুল ইসলামের নামে বরাদ্দ দেওয়া ঘরটিতে তালা ঝুলছে। প্রতিবেশীরা জানান, ঘর পাওয়ার পর তাকে কখনো এলাকায় দেখা যায়নি।
সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের এক পরিবারের নামে বরাদ্দ দেওয়া ঘরে ভাড়া থাকছে অন্য পরিবার। ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয় তারাপুর গ্রামের হ্যাপি বেগমের নামে। কিন্তু ওই ঘরটিতে বর্তমানে বসবাস করছেন বড়গাতি গ্রামের এক নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, আমার ঘর না থাকায় মাসিক ৫০০ টাকায় ঘরটিতে ভাড়া থাকছি।
অন্যদিকে সীতারামপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব ভাবনা রানী। স্বামী দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে আছেন। খুপড়ি ঘরে বসবাসরত ভূমিহীন এ মানুষটির কপালে জোটেনি আবাসন প্রকল্পের ঘর। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘মোগো ঘরবাড়ি নাই। আর সরকার মোগো ঘর দেয় নাই। আর জ্যাগো (যাদের) ঘরবাড়ি, জায়গাজমি আছে হ্যাগো (তাদের) ঘর দিয়া থুইছে।’
উপকারভোগী সাবেক ইউপি সদস্য রেনুকা রানী তার তালাবদ্ধ ঘরের ছবি তুলতে আপত্তি জানিয়ে এ নিয়ে লেখালেখি না করতে অনুরোধে করেন। অন্যদিকে কোচিং সেন্টার পরিচালানাকারী জয়ন্তী রানী বলেন, ‘ঘরটি খালি পড়ে আছে। তাই কোচিং করাচ্ছি।’
জানতে চাইলে শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া রাজনীতি ডটকমকে বলেন, বেশির ভাগ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেন না। এ কারণে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করতে পারেন না। এ জন্য অধিকাংশ ঘর খালি থাকে।
নড়াইল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, কিছু অভিযোগ আসছে। কিছু অভিযোগের সত্যতাও আছে। যেসব ঘর খালি পড়ে আছে সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নামে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নড়াইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ করা একাধিক ঘরে ঝুলছে তালা। কিছু ঘরে কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। আবার বেশ কিছু ঘরে পালন করা হচ্ছে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি!
অভিযোগ রয়েছে, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক দুর্নীতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীনদের বদলে অনেক সচ্ছল পরিবারকেও দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ফলে এই ঘরে তাদের থাকার প্রয়োজন হয় না। তারাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নানা কাজে ব্যবহার করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য বলছে, নড়াইলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের নামে বরাদ্দ দেয় সদর উপজেলা প্রশাসন। তবে স্থানীয়দের বক্তব্যে এসব ঘরের বরাদ্দ নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।
সরেজমিনে উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের দূর্বাজুড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রেনুকা রানীর নামে বরাদ্দ ঘরটিতে তালা ঝুলছে। রেনুকা রানী মুলিয়া ইউনিয়ন ৪/৫/৬ নম্বর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য। তার স্বামীর ও পৈত্রিক সম্পত্তি এবং নিজস্ব ঘর থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে তিনি নিজের নামে টিআর/কাবিটা কর্মসূচির অধীনে দুর্যোগ সহনশীল এ বাসগৃহটি বরাদ্দ নিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা গ্রামের জয়ন্তী রানীর নামে বরাদ্দ ঘরটিকে রীতিমতো কোচিং সেন্টার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারি এ ঘরে সকাল থেকে শুরু হয় স্কুলপড়ুয়াদের কোচিং করানো। কোচিং শেষে তালাবদ্ধ পড়ে থাকে ঘরটি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিণত হয়ে গেছে কোচিং সেন্টারে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের রজিবুল ইসলামের নামে বরাদ্দ দেওয়া ঘরটিতে তালা ঝুলছে। প্রতিবেশীরা জানান, ঘর পাওয়ার পর তাকে কখনো এলাকায় দেখা যায়নি।
সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের এক পরিবারের নামে বরাদ্দ দেওয়া ঘরে ভাড়া থাকছে অন্য পরিবার। ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয় তারাপুর গ্রামের হ্যাপি বেগমের নামে। কিন্তু ওই ঘরটিতে বর্তমানে বসবাস করছেন বড়গাতি গ্রামের এক নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, আমার ঘর না থাকায় মাসিক ৫০০ টাকায় ঘরটিতে ভাড়া থাকছি।
অন্যদিকে সীতারামপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব ভাবনা রানী। স্বামী দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে আছেন। খুপড়ি ঘরে বসবাসরত ভূমিহীন এ মানুষটির কপালে জোটেনি আবাসন প্রকল্পের ঘর। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘মোগো ঘরবাড়ি নাই। আর সরকার মোগো ঘর দেয় নাই। আর জ্যাগো (যাদের) ঘরবাড়ি, জায়গাজমি আছে হ্যাগো (তাদের) ঘর দিয়া থুইছে।’
উপকারভোগী সাবেক ইউপি সদস্য রেনুকা রানী তার তালাবদ্ধ ঘরের ছবি তুলতে আপত্তি জানিয়ে এ নিয়ে লেখালেখি না করতে অনুরোধে করেন। অন্যদিকে কোচিং সেন্টার পরিচালানাকারী জয়ন্তী রানী বলেন, ‘ঘরটি খালি পড়ে আছে। তাই কোচিং করাচ্ছি।’
জানতে চাইলে শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া রাজনীতি ডটকমকে বলেন, বেশির ভাগ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেন না। এ কারণে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করতে পারেন না। এ জন্য অধিকাংশ ঘর খালি থাকে।
নড়াইল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, কিছু অভিযোগ আসছে। কিছু অভিযোগের সত্যতাও আছে। যেসব ঘর খালি পড়ে আছে সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নামে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে মিলু শরীফ বলেন, আমি মাছের আড়ত কিনিনি, বিক্রিও করিনি। কারও কাছ থেকে চাঁদা বা খাজনাও তুলিনি। কিছু কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আড়ত থেকে ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ইজারা আদায় হয়েছে। এগুলো সরকারি টাকা। এক টাকাও ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
২১ ঘণ্টা আগেনারীর ক্ষমতায়ন, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে রাজশাহীতে লাইট হাউজ নাগরিক অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমা
১ দিন আগেদেশব্যাপী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অংশ হিসেবে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫। আজ রোববার সকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এবং জেলার পবা উপজেলার সিলিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন
১ দিন আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম। উত্তরাঞ্চলের এ ঐতিহ্যবাহী ভেন্যুকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে একাধিক সংস্কার ও উন্নয়নকাজ হাতে নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
১ দিন আগে