ছাত্রদের প্রতিহত করতে গিয়ে আহত, সেই যুবলীগ নেতা পেলেন জুলাই যোদ্ধা অনুদান!

খুলনা ব্যুরো
জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে গত ১৪ মে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে লাখ টাকার চেক নেন যুবলীগ নেতা মিনারুল। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করার সময় হামলা থেকে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন খুলনার এক যুবলীগ নেতা। সেই নেতাই এবার পেয়েছেন ‘আহত জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে সরকারি অনুদান। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন মিনারুল ইসলাম। খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট খুলনায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিহত করার জন্য অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে আহত হন মিনারুল।

তবে ঘটনা এখানেই শেষ হয়, সেই ‘আহত অবস্থা’র ভিত্তিতেই মিনারুল ‘আহত জুলাই যোদ্ধা (সি ক্যাটাগরি)’ হিসেবে চলতি বছরের ১৪ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক লাখ টাকার অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, খুলনায় চলতি বছরে মোট ৬৩ জনকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, যাদের মধ্যে ৫০ জন এক লাখ টাকার চেক পেয়েছেন। মিনারুলের নামও ওই তালিকায় রয়েছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, এই তালিকা প্রণয়নে জেলা পর্যায়ে কোনো সুপারিশ ছিল না।

জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সাধারণত আহতদের তালিকা উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে মিনারুল সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন এবং সেখান থেকেই যাচাই-বাছাই শেষে তার নাম গেজেটভুক্ত করা হয়। ফলে তার আবেদন বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসনের কাছে কোনো নথি নেই।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব এবং যথাযথ তদন্ত হলে গেজেট থেকে নাম বাতিলও হতে পারে।’

তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এফ এম মফিজুর রহমান জানান, মিনারুল ইসলামকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বহিষ্কার করা হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় মিনারুল মধুপুরে নিজ বাড়িতেই ছিলেন। পরে খুলনার সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে সংঘর্ষে পালাতে গিয়ে আহত হন বলে শুনেছি।

৪ আগস্ট সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। তিনি বলেন, ‘মিনারুল আমাদের সঙ্গেই ছিল। ধাওয়া শুরু হলে সে লাফিয়ে পড়ে আহত হয় এবং তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নিতে একাধিকবার মিনারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিচারকের ছেলে হত্যায় আসামি লিমন মিয়া ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১ দিন আগে

রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও দুজনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে তারা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং আন্দোলন চালান।

১ দিন আগে

কোটা-বৈষম্যের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে হরতাল চলছে

হরতালের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, দোয়েল চত্বরসহ ৮ থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।

১ দিন আগে

রাঙামা‌টি‌তে ৩৬ ঘণ্টা হরতালের ডাক

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের সব চাকরির নিয়োগে সরকার ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সেই বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।

২ দিন আগে