
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার কোনো পরিচালনা পর্ষদ না থাকার সুযোগে তিনি এসব অনিয়ম করেছেন। এখন তিনি নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রামে মাদ্রাসাটি অবস্থিত। এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে যান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজের জন্ম ১ জানুয়ারি, ১৯৬৬। তিনি ১৯৯৬ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। অথচ, ১৯৯৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ পদের জন্য আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কামিল পাসের পর কীভাবে তিনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি চাপা পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ পদে যোগদানের সময় তার অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি ছিল। তাই তখন তার এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) চালু হয়নি। তবে তিনি দাবি করেন, ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর অভিজ্ঞতার বিষয়টি শিথিল করলে তার এমপিও চালু হয়।
এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের টিউশন ফি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আবদুল আজিজ বলেন, মাদ্রাসার কোনো আয় না থাকায় খরচ মেটাতে শিক্ষকদের কাছ থেকে টিউশন ফি নেওয়া হয়েছে।
তবে কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা এতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাদ্রাসায় ১৭১ জন শিক্ষার্থী ও ১৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী আছেন।
সরেজমিন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৫ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। একইভাবে, সপ্তম শ্রেণিতে ২১ জনের মধ্যে ৫ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৩২ জনের মধ্যে ৭ জন, নবম শ্রেণিতে ৫৫ জনের মধ্যে ১১ জন এবং দশম শ্রেণিতে ৩৮ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিল।
এ ছাড়া, আলিম (এইচএসসি) এবং এবতেদায়ি (প্রাথমিক) শাখায় কোনো শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার আশেপাশের অন্তত সাতজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন মাদ্রাসায় এরকমই কম সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে।
কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাবর্ষের আট মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, আকাঈদ, ইসলামের ইতিহাস এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণের কোনো বই দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বই ছাড়া তাদের পক্ষে নভেম্বর মাসের বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বই ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ জানান, তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক বইয়ের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বই পাননি।
তবে, তার অফিস কক্ষের মেঝেতে প্রচুর সংখ্যক বই অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বইয়ের বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কাদিরাবাদ মাদ্রাসা কেন বই পায়নি, সে ব্যাপারে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি কথা বলতে পারেননি।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার কোনো পরিচালনা পর্ষদ না থাকার সুযোগে তিনি এসব অনিয়ম করেছেন। এখন তিনি নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রামে মাদ্রাসাটি অবস্থিত। এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে যান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজের জন্ম ১ জানুয়ারি, ১৯৬৬। তিনি ১৯৯৬ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। অথচ, ১৯৯৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ পদের জন্য আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কামিল পাসের পর কীভাবে তিনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি চাপা পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ পদে যোগদানের সময় তার অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি ছিল। তাই তখন তার এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) চালু হয়নি। তবে তিনি দাবি করেন, ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর অভিজ্ঞতার বিষয়টি শিথিল করলে তার এমপিও চালু হয়।
এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের টিউশন ফি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আবদুল আজিজ বলেন, মাদ্রাসার কোনো আয় না থাকায় খরচ মেটাতে শিক্ষকদের কাছ থেকে টিউশন ফি নেওয়া হয়েছে।
তবে কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা এতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাদ্রাসায় ১৭১ জন শিক্ষার্থী ও ১৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী আছেন।
সরেজমিন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৫ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। একইভাবে, সপ্তম শ্রেণিতে ২১ জনের মধ্যে ৫ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৩২ জনের মধ্যে ৭ জন, নবম শ্রেণিতে ৫৫ জনের মধ্যে ১১ জন এবং দশম শ্রেণিতে ৩৮ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিল।
এ ছাড়া, আলিম (এইচএসসি) এবং এবতেদায়ি (প্রাথমিক) শাখায় কোনো শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার আশেপাশের অন্তত সাতজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন মাদ্রাসায় এরকমই কম সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে।
কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাবর্ষের আট মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, আকাঈদ, ইসলামের ইতিহাস এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণের কোনো বই দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বই ছাড়া তাদের পক্ষে নভেম্বর মাসের বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বই ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ জানান, তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক বইয়ের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বই পাননি।
তবে, তার অফিস কক্ষের মেঝেতে প্রচুর সংখ্যক বই অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বইয়ের বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কাদিরাবাদ মাদ্রাসা কেন বই পায়নি, সে ব্যাপারে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি কথা বলতে পারেননি।

নিজ জেলা পাবনায় সরকার সফরে গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাবনায় এটি তার পঞ্চম সরকারি সফর। জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম নিজ জেলায় গেলেন রাষ্ট্রপতি।
১৯ ঘণ্টা আগে
পুলিশ জানায়, তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি সড়কে ছিটকে পড়ে, পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তুহিন ও শিমুল মারা যান। মারুফকে উদ্ধার করে স্থ
১ দিন আগে
বৃহস্পতিবার বিকালে ও শুক্রবার সকালে বাজিতপুর উপজেলার সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ইকবালের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরারচর রেলগেইটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি আটকা পড়ে। প্রায় ১০ মিনিট পর সমর্থকরা
১ দিন আগে
বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও সংগঠন পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমল কদর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরছালিন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব কোরবান আলী সাহেদের প্রাথমিক সদস্য প
১ দিন আগে