
গাজীপুর প্রতিনিধি

‘হেরা বাড়ি থন আমার নাতিনরে ডাইকা নেয় ইসকুলে মাঠে।হাত-পাও বাইন্দা মাটিতে ফালাইয়া বাইরায়। আমি ছুইটা যাই তার বাচাইতে। ওরা আমারে টাইন্না ফালাইয়া দেয়। নাতিনে পানি চায়, হেরা পানি দেয়নাই। আমারে দিতে দেয় নাই। ডাহাইতরা বাইরাইয়া তারে মাইরা ফালাইছে। আমি মরলে কেডা মাটি দিবো?’এমন করেই আহাজারি করছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদের ব্যাটারি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতনে নিহত ইসরাফিলের দাদী শতবর্ষী মহরজান।
আজ শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের বাঁশবাড়ি গ্রামে ইসরাফিলের বাড়িতে গিয়ে দেখাযায় এক হৃদবিদারক দৃশ্য। দাদী, নানী বোন, ফুপুসহ স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে আহাজারি করছেন।
নিহত মো. ইসরাফিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশ বাড়ি গ্রামের মো. নাছিরের ছেলে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার শৈলাট পশ্চিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এমন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে গতকাল বৃহসপতিবার বিকেলে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে আনা হয়নি। লাশের অপেক্ষা প্রহর গুনছেন স্বজনরা।
নিহতের নানী মমতাজ বলেন, ‘লিটনরা ইসলাফিলকে ঘুম থেকে তুইলা নিয়া চার ঘণ্টা বাইরাইছে। তার হাত পা ভাইঙ্গা দিছে। গরম চা দিয়া শরীর পুইড়া দিছে। চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়া তারে মাইরা ফালাইছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রি বসতবাড়িতে থেকে ডেকে নিয়ে যান ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান লিটন একই এলাকার বাবুল মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম, ইউসুফ, জলিল কমান্ডার, সোহাগসহ কয়েকজন।এরপর শৈলাট মেডিকেল মোড় স্কুলমাঠে নিয়ে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রাজমিস্ত্রি দুই পা ভেঙে দেয়। এরপর অভিযুক্তরা কোমরের নিচে গরম পানি ঢেলে দেয়। তাতে পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত ফোসকা পড়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রি বাবা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে তার কাছ থেকে বিএনপির নেতা জোরপূর্বক নন জুডিসিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর নিয়ে তার কাছে গুরুতর আহত ছেলেকে তুলে দেয়। এ বিষয়ে মুখ না খুলতে হুমকি দেয় অভিযুক্ত বিএনপির নেতা।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত ইসরাফিলের চাচা আ. রহিম বলেন, ‘ভাতিজাকে স্কুলের মাঠে মারধরের খবর পেয়ে ওই খানে ছুইটা যাই। গিয়ে দেখি জলিল কমান্ডার তার বুকে পাড়াইতেছে। অন্যরা মারতেছে। আমি তাকে বাঁচাইতে যাই। ওরা আমারে তাড়াইয়া দেয়। ভাতিজাকে বাঁচাইতে পারি নাই।’
নিহতের বাবা নাসির বলেন, ‘বিএনপি নেতা কামরুল হাসান লিটন ও তার সঙ্গে লোকজন আমার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে স্কুল মাঠে নিয়ে আসে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। আমি ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। মাঠে ফেলে প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে চারঘণ্টা পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। শরীরে গরম চা ঢেলে ঝলসে দেওয়া হয়। ’
তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে পাষণ্ডরা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। দুপুর ১২টার পরে নির্যাতনকারীরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রাখে। ১৩ দিনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল বিকেলে মারা যায় সে। ’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘চোর অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

‘হেরা বাড়ি থন আমার নাতিনরে ডাইকা নেয় ইসকুলে মাঠে।হাত-পাও বাইন্দা মাটিতে ফালাইয়া বাইরায়। আমি ছুইটা যাই তার বাচাইতে। ওরা আমারে টাইন্না ফালাইয়া দেয়। নাতিনে পানি চায়, হেরা পানি দেয়নাই। আমারে দিতে দেয় নাই। ডাহাইতরা বাইরাইয়া তারে মাইরা ফালাইছে। আমি মরলে কেডা মাটি দিবো?’এমন করেই আহাজারি করছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদের ব্যাটারি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতনে নিহত ইসরাফিলের দাদী শতবর্ষী মহরজান।
আজ শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের বাঁশবাড়ি গ্রামে ইসরাফিলের বাড়িতে গিয়ে দেখাযায় এক হৃদবিদারক দৃশ্য। দাদী, নানী বোন, ফুপুসহ স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে আহাজারি করছেন।
নিহত মো. ইসরাফিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশ বাড়ি গ্রামের মো. নাছিরের ছেলে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার শৈলাট পশ্চিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এমন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে গতকাল বৃহসপতিবার বিকেলে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে আনা হয়নি। লাশের অপেক্ষা প্রহর গুনছেন স্বজনরা।
নিহতের নানী মমতাজ বলেন, ‘লিটনরা ইসলাফিলকে ঘুম থেকে তুইলা নিয়া চার ঘণ্টা বাইরাইছে। তার হাত পা ভাইঙ্গা দিছে। গরম চা দিয়া শরীর পুইড়া দিছে। চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়া তারে মাইরা ফালাইছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রি বসতবাড়িতে থেকে ডেকে নিয়ে যান ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান লিটন একই এলাকার বাবুল মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম, ইউসুফ, জলিল কমান্ডার, সোহাগসহ কয়েকজন।এরপর শৈলাট মেডিকেল মোড় স্কুলমাঠে নিয়ে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রাজমিস্ত্রি দুই পা ভেঙে দেয়। এরপর অভিযুক্তরা কোমরের নিচে গরম পানি ঢেলে দেয়। তাতে পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত ফোসকা পড়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রি বাবা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে তার কাছ থেকে বিএনপির নেতা জোরপূর্বক নন জুডিসিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর নিয়ে তার কাছে গুরুতর আহত ছেলেকে তুলে দেয়। এ বিষয়ে মুখ না খুলতে হুমকি দেয় অভিযুক্ত বিএনপির নেতা।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত ইসরাফিলের চাচা আ. রহিম বলেন, ‘ভাতিজাকে স্কুলের মাঠে মারধরের খবর পেয়ে ওই খানে ছুইটা যাই। গিয়ে দেখি জলিল কমান্ডার তার বুকে পাড়াইতেছে। অন্যরা মারতেছে। আমি তাকে বাঁচাইতে যাই। ওরা আমারে তাড়াইয়া দেয়। ভাতিজাকে বাঁচাইতে পারি নাই।’
নিহতের বাবা নাসির বলেন, ‘বিএনপি নেতা কামরুল হাসান লিটন ও তার সঙ্গে লোকজন আমার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে স্কুল মাঠে নিয়ে আসে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। আমি ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। মাঠে ফেলে প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে চারঘণ্টা পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। শরীরে গরম চা ঢেলে ঝলসে দেওয়া হয়। ’
তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে পাষণ্ডরা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। দুপুর ১২টার পরে নির্যাতনকারীরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রাখে। ১৩ দিনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল বিকেলে মারা যায় সে। ’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘চোর অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

শফিকুল আলম আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, জামায়াতে ইসলামীও তাদের মতো করে প্রার্থী দিচ্ছে। মতপার্থক্য থাকলেও একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সবাই চাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য অনেকে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বিফলে যাবে। বিএনপি শহিদ জিয়ার হাতে গড়া গণমানুষের দল। মানুষই বিএনপিকে ভালোবেসে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনবে।
১২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে ওই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুল ইসলামের শরীরে আগুন ধরে যায়। এ সময় তিনি আগুনে দগ্ধ অবস্থায় দৌড়াতে থাকেন।
১ দিন আগে