নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাহমিদ ভূইয়া (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তরোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমিদ ভূইয়া সদর উপজেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শর্টগানের ছররা গুলিতে তার বুক ঝাঝরা হয়ে আন্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পূর্বনির্ধারিত বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছোড়ে।
এ সময় নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়াসহ অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহমিদকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩৫ জনের মধ্যে ২৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন তাহমিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আজ স্কুল বন্ধ। খবর পেয়ে আমরা জানতে পারি তাহমিদ ভূইয়া কোটাবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে জেলখানা মোড় এলাকায় গুলিতে নিহত হয়েছে। সে চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মায়ের নাম তায়্যিবা ভূইয়া। সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার রোল ৬১৫। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে নিহত তাহমিদকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুক ঝাঝরা হয়ে গেছে। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত ৩৫ জন আহতকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে আর দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিবপুরের শ্রীফুলিয়া এলাকার অনিক (৩৩) নামের একজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।’
তিনি আরো বলেন, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ দেড় থেকে ২০০ আন্দোলনকারী আহতদের নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। একসঙ্গে এত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল। তখন আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মুঠোফোনে বলেন, ‘কোন এলাকায় নিহত হয়েছে? কিভাবে হয়েছে? আমার জানা নেই। আমি নিশ্চিত না।’
নরসিংদীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাহমিদ ভূইয়া (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তরোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমিদ ভূইয়া সদর উপজেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শর্টগানের ছররা গুলিতে তার বুক ঝাঝরা হয়ে আন্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পূর্বনির্ধারিত বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছোড়ে।
এ সময় নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়াসহ অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহমিদকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩৫ জনের মধ্যে ২৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন তাহমিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আজ স্কুল বন্ধ। খবর পেয়ে আমরা জানতে পারি তাহমিদ ভূইয়া কোটাবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে জেলখানা মোড় এলাকায় গুলিতে নিহত হয়েছে। সে চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মায়ের নাম তায়্যিবা ভূইয়া। সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার রোল ৬১৫। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে নিহত তাহমিদকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুক ঝাঝরা হয়ে গেছে। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত ৩৫ জন আহতকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে আর দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিবপুরের শ্রীফুলিয়া এলাকার অনিক (৩৩) নামের একজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।’
তিনি আরো বলেন, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ দেড় থেকে ২০০ আন্দোলনকারী আহতদের নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। একসঙ্গে এত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল। তখন আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মুঠোফোনে বলেন, ‘কোন এলাকায় নিহত হয়েছে? কিভাবে হয়েছে? আমার জানা নেই। আমি নিশ্চিত না।’
ওই নেতাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে।
২১ ঘণ্টা আগেচোরেরা কীভাবে এত নিখুঁতভাবে চুরি করছে, তা রহস্যজনক। অনেকটা রাতে সংঘটিত হওয়া এই চুরির পেছনে প্রায়ই অভিজ্ঞ স্থানীয় চক্র থাকে। যদিও দোষীদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, ফলাফল এখনো সীমিত। স্থানীয়রা নিরাপত্তাব্যবস্থা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন।
১ দিন আগে