বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি কালে লুট করে নিয়ে যাওয়া ১৪ টি সরকারি অস্ত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে শান্তি কমিটির সকল আলোচনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শান্তি কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (২০এপ্রিল) সকাল ১০টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষনা দেয়া হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ মত বিনিময় সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম বম, ম্রো সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রাংলাই ম্রো, মারমা এস্যােসিয়েশনের সভাপতি মংসিনু মারমা, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি আ্যাডভোকেট খুশী রায় ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার বান্দরবান অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক বির লাল তঞ্চঙ্গ্যা,চাক সমাজ কসিটির সহসভাপতি উচাই হ্লা চাক, খেয়াং সম্প্রদায়ের ম্রাসা খেয়াং। চাকমা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বুদ্ধজ্যােতি চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রুমা ও থানচিতে সংগঠিত ঘটনাকে নিন্দনিয় কাজ উল্লেখ করে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র অবিলম্বে ফেরত দিয়ে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
এছাড়া ২০২৩ সালের ২৯মে অরুণ সারকি টাউন হলে প্রথম জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার পর কয়েক দফায় কেএনএফের সঙ্গে ভার্চুয়াল ও স্বশরীরী বৈঠক করা হয়। তাদের গ্রহণযোগ্য দাবিগুলোও ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল। তবুও কেএনএফ সদস্যরা গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নেয়া এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দু'টি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। যা সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে গত ৪ এপ্রিল উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম বম বলেন, সভায় কোন পাড়ার বম সম্প্রদায়ের কার্বারী, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপস্থিত নেই। তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও নিরাপদ বোধ না করার কারনে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। শান্তি প্রতিষ্টা কমিটি গঠনের পর থেকে বম সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৯৬৮ পরিবারকে পূর্ণবাসন ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল এবং পর্যায়ক্রমে গ্রহন যোগ্য সকল দাবি মেনে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এছাড়া নাথান "বম" সম্প্রদায়ের হওয়ায় সকল বম সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিপদগ্রস্তের মূখোমুখি হতে হচ্ছে।
ম্রো সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রাংলাই ম্রো বলেন, আধুনিক যুগে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি লবণের চেয়ে বেশীকিছু বাজার থেকে কিনে নিতে পারছে না, ভেতরে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে, এ রকম চলতে পারে না, তাই রাষ্ট্রের সম্পদ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর লুট ১৪টি অস্ত্র অবিলম্বে সরকারি বাহিনীর কাছে ফেরত দিতে কুকিচিনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ও ৩এপ্রিল রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় কেএনএফ সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার ৬৬ জনকে বান্দরবান কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি কালে লুট করে নিয়ে যাওয়া ১৪ টি সরকারি অস্ত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে শান্তি কমিটির সকল আলোচনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শান্তি কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (২০এপ্রিল) সকাল ১০টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষনা দেয়া হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ মত বিনিময় সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম বম, ম্রো সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রাংলাই ম্রো, মারমা এস্যােসিয়েশনের সভাপতি মংসিনু মারমা, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি আ্যাডভোকেট খুশী রায় ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার বান্দরবান অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক বির লাল তঞ্চঙ্গ্যা,চাক সমাজ কসিটির সহসভাপতি উচাই হ্লা চাক, খেয়াং সম্প্রদায়ের ম্রাসা খেয়াং। চাকমা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বুদ্ধজ্যােতি চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রুমা ও থানচিতে সংগঠিত ঘটনাকে নিন্দনিয় কাজ উল্লেখ করে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র অবিলম্বে ফেরত দিয়ে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
এছাড়া ২০২৩ সালের ২৯মে অরুণ সারকি টাউন হলে প্রথম জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার পর কয়েক দফায় কেএনএফের সঙ্গে ভার্চুয়াল ও স্বশরীরী বৈঠক করা হয়। তাদের গ্রহণযোগ্য দাবিগুলোও ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল। তবুও কেএনএফ সদস্যরা গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নেয়া এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দু'টি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। যা সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে গত ৪ এপ্রিল উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম বম বলেন, সভায় কোন পাড়ার বম সম্প্রদায়ের কার্বারী, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপস্থিত নেই। তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও নিরাপদ বোধ না করার কারনে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। শান্তি প্রতিষ্টা কমিটি গঠনের পর থেকে বম সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৯৬৮ পরিবারকে পূর্ণবাসন ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল এবং পর্যায়ক্রমে গ্রহন যোগ্য সকল দাবি মেনে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এছাড়া নাথান "বম" সম্প্রদায়ের হওয়ায় সকল বম সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিপদগ্রস্তের মূখোমুখি হতে হচ্ছে।
ম্রো সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রাংলাই ম্রো বলেন, আধুনিক যুগে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি লবণের চেয়ে বেশীকিছু বাজার থেকে কিনে নিতে পারছে না, ভেতরে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে, এ রকম চলতে পারে না, তাই রাষ্ট্রের সম্পদ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর লুট ১৪টি অস্ত্র অবিলম্বে সরকারি বাহিনীর কাছে ফেরত দিতে কুকিচিনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ও ৩এপ্রিল রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় কেএনএফ সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার ৬৬ জনকে বান্দরবান কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সংঘর্ষের কারণ না জানা গেলেও দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই কলেজের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
১ দিন আগেখাগড়াছড়ির রামগড়ে উপজেলায় মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের নিজ ঘরেই দুজনের গলা কাটা মরদেহ পাওয়া গেছে।
১ দিন আগে