
কুমিল্লা প্রতিনিধি

দুদিন আগেও ঢাকার কল্যাণপুরে বসবাসরত পরিবারটির সময় ছিল আনন্দময়। স্নেহা, পরিবারের গর্ব, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে, নম্বর ১২০১। তার এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছিলেন দাদা উমর আলী (৮০) ও দাদি নুরজাহান বেগম (৬৫)। বড় ছেলে, স্নেহার বাবা আবুল হাশেম স্বপনের ঢাকার বাসায় উঠেছিলেন তারা।
কয়েকদিনের আনন্দ-উৎসব আর নাতনির সাফল্য উদ্যাপন এবং ডাক্তার দেখানো শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ফিরে যাওয়ার। সঙ্গে ছিলেন তাদের দুই ছেলে— বড় ছেলে স্বপন ও ছোট ছেলে আবুল কাসেম মামুন (৪৫)। স্বপন ছিলেন গাড়ির চালকের আসনে।
শুক্রবার সকালে তারা চারজন প্রাইভেটকারে ঢাকার বাসা থেকে রওয়ানা দেন গ্রামের উদ্দেশে। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হয়নি তাদের। বাড়ির কাছাকাছি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় স্বপন যখন গাড়ি ইউটার্ন নিচ্ছিলেন, তখনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় থেমে যায় তাদের যাত্রা। একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গিয়ে সরাসরি পড়ে তাদের প্রাইভেটকারের ওপর। মুহূর্তেই চাপা পড়েন চারজন।
দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উমর আলী, নুরজাহান বেগম, আবুল হাশেম স্বপন ও আবুল কাসেম মামুনের। দুই সন্তানকে নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্নেহার দাদা-দাদি।
হোসেনপুর গ্রামে শুক্রবারের বাতাস ছিল ভারী, নিস্তব্ধ আর বিষাদময়। একসঙ্গে চারটি জানাজা, একসঙ্গে চারটি কবরে দাফন। একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।
উমর আলী ছিলেন গ্রামের একজন সম্মানিত মানুষ। নুরজাহান ছিলেন সংসারের ছায়া। তাদের চার ছেলেমেয়ে, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে স্বপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন, কাজ করতেন ব্যাংক এশিয়ার রূপনগর শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে। ছোট ছেলে মামুন কাজ করতেন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। তারা ছিলেন মা-বাবার ভরসা। তাদের দুই মেয়ে হাসিনা আকাতার ও রোকসানা আক্তার ঢাকায় প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করেন।

শুক্রবার লরি উলটে গিয়ে পড়ে আবুল হাশেমদের প্রাইভেট কারের ওপর। ছবি: সংগৃহীত
এই পরিবারের নিকটাত্মীয় মির্জা কামরুন্নাহার রাজনীতি ডটকমকে জানান, সবাইকে নিয়ে একটি সুখী পরিবার অনেক বড় বিপদে পড়েছে। একই পরিবারের চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় হোসেনপুর গ্রামে শোকের মাতম চলছে। শুক্রবার তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর নিহত উমর আলীর ভাই আবুল কালাম কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। উলটো পথে আসা লরি ও হানিফ পরিবহনের বাসের চালকসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত করছে পুলিশ।
হাইওয়ে থানা পুলিশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, উলটো দিক থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল। সে সময় ইউটার্নে প্রবেশের মুখে দ্রুতগতিতে আসা লরিটি হানিফ পরিবহনের বাসের কারণে জায়গা না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে পড়ে এবং প্রাইভেট কারটি চাপা দেয়।
ঘটনার পর সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ারবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে সব ধরনের যানবাহনকে সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন ব্যবহার করতে হবে।

দুদিন আগেও ঢাকার কল্যাণপুরে বসবাসরত পরিবারটির সময় ছিল আনন্দময়। স্নেহা, পরিবারের গর্ব, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে, নম্বর ১২০১। তার এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছিলেন দাদা উমর আলী (৮০) ও দাদি নুরজাহান বেগম (৬৫)। বড় ছেলে, স্নেহার বাবা আবুল হাশেম স্বপনের ঢাকার বাসায় উঠেছিলেন তারা।
কয়েকদিনের আনন্দ-উৎসব আর নাতনির সাফল্য উদ্যাপন এবং ডাক্তার দেখানো শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ফিরে যাওয়ার। সঙ্গে ছিলেন তাদের দুই ছেলে— বড় ছেলে স্বপন ও ছোট ছেলে আবুল কাসেম মামুন (৪৫)। স্বপন ছিলেন গাড়ির চালকের আসনে।
শুক্রবার সকালে তারা চারজন প্রাইভেটকারে ঢাকার বাসা থেকে রওয়ানা দেন গ্রামের উদ্দেশে। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হয়নি তাদের। বাড়ির কাছাকাছি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় স্বপন যখন গাড়ি ইউটার্ন নিচ্ছিলেন, তখনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় থেমে যায় তাদের যাত্রা। একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গিয়ে সরাসরি পড়ে তাদের প্রাইভেটকারের ওপর। মুহূর্তেই চাপা পড়েন চারজন।
দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উমর আলী, নুরজাহান বেগম, আবুল হাশেম স্বপন ও আবুল কাসেম মামুনের। দুই সন্তানকে নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্নেহার দাদা-দাদি।
হোসেনপুর গ্রামে শুক্রবারের বাতাস ছিল ভারী, নিস্তব্ধ আর বিষাদময়। একসঙ্গে চারটি জানাজা, একসঙ্গে চারটি কবরে দাফন। একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।
উমর আলী ছিলেন গ্রামের একজন সম্মানিত মানুষ। নুরজাহান ছিলেন সংসারের ছায়া। তাদের চার ছেলেমেয়ে, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে স্বপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন, কাজ করতেন ব্যাংক এশিয়ার রূপনগর শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে। ছোট ছেলে মামুন কাজ করতেন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। তারা ছিলেন মা-বাবার ভরসা। তাদের দুই মেয়ে হাসিনা আকাতার ও রোকসানা আক্তার ঢাকায় প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করেন।

শুক্রবার লরি উলটে গিয়ে পড়ে আবুল হাশেমদের প্রাইভেট কারের ওপর। ছবি: সংগৃহীত
এই পরিবারের নিকটাত্মীয় মির্জা কামরুন্নাহার রাজনীতি ডটকমকে জানান, সবাইকে নিয়ে একটি সুখী পরিবার অনেক বড় বিপদে পড়েছে। একই পরিবারের চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় হোসেনপুর গ্রামে শোকের মাতম চলছে। শুক্রবার তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর নিহত উমর আলীর ভাই আবুল কালাম কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। উলটো পথে আসা লরি ও হানিফ পরিবহনের বাসের চালকসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত করছে পুলিশ।
হাইওয়ে থানা পুলিশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, উলটো দিক থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল। সে সময় ইউটার্নে প্রবেশের মুখে দ্রুতগতিতে আসা লরিটি হানিফ পরিবহনের বাসের কারণে জায়গা না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে পড়ে এবং প্রাইভেট কারটি চাপা দেয়।
ঘটনার পর সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ারবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে সব ধরনের যানবাহনকে সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন ব্যবহার করতে হবে।

রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও দুজনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে তারা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং আন্দোলন চালান।
১ দিন আগে
হরতালের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, দোয়েল চত্বরসহ ৮ থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।
১ দিন আগে
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের সব চাকরির নিয়োগে সরকার ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সেই বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।
২ দিন আগে