‘বৈষম্যবিরোধী’ পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো
অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি। ছবি: সিএমপি

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে এক পোশাক কারখানার কর্মকর্তাসহ দুজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে আকবর শাহ থানার কাট্টলী ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার চারজন হলেন— নাজমুল আবেদিন (২২), নইমুল আমিন ইমন (২২), আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আকবর শাহ থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিডিএ আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে আবদুল আল মামুন ও তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জুয়েলকে অপহরণ করা হয়। আল মামুন সিইপিজেডের কমার্শিয়াল এক্সপোর্ট প্যাসিফিক জিন্স কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে মামুনের স্ত্রীকে কল দিয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ব্যাংকের চেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর তারা মামুন ও তার চালককে খুলশীর অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

মামুনকে উদ্ধারের পর সিএমপির পাহাড়তলী জোন ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে কাজ করে অপহরণে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিএমপির উপকমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আরও চারজন জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নিয়ন্ত্রণে আসেনি আশুলিয়ার পোশাক কারখানার আগুন

তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

১৬ ঘণ্টা আগে

খুনের মামলা রাজনৈতিক দেখিয়ে প্রত্যাহার চেষ্টার অভিযোগ

লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।

১৭ ঘণ্টা আগে

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

সাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।

১৮ ঘণ্টা আগে

নাটোরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

নাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

১৮ ঘণ্টা আগে