কুমিল্লা প্রতিনিধি
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় নিজের বড় ভাইকে হয়রানি করতে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করেন আব্দুল কুদ্দুস। শুধু মামলা করেই ক্ষ্যান্ত হননি, জোর করে জমি দখল ও বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নেন কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করে বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক।
এ ছাড়া রাতের আঁধারে অন্যের জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া, এক নারীর ওপর এসিড নিক্ষেপ, নিজের মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধরসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এই ব্যক্তি ভোল পাল্টে বাগিয়ে নিয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির পদ। এর পর থেকেই বড় ভাই আব্দুল বারেকের পরিবারের ওপর তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। সর্বশেষ গত ৭ জুন ঈদুল আজহার দিন কোরবানির গরুর বর্জ্য বারেকের ঘরের পাশে রেখে আসেন কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস কুমিল্লার সদর উপজেলার ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তিনি ‘মামলাবাজ’ ও ‘সুদখোর কুদ্দুস’ হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে বড় ভাই বারেকের সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে কুদ্দুসের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বসে। সালিশের সিদ্ধান্ত বারেক মেনে নিলেও কুদ্দুস মানেননি। পরে বারেক ও তার পরিবারের নামে একে একে পাঁচটি মামলা করেন। মামলায় কুদ্দুস কোনা তথ্য প্রমাণ দিতে না পারায় সব মামলা খারিজ হয়ে যায়।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১০ মার্চ নিজের মা শামসুন্নাহার ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লুৎফা বেগমকে বেধড়ক পেটান কুদ্দুস। এ সময় উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে তাদেরও মারধর করেন তিনি। ঘটনা পর তার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় বেশ কয়েকবার জেল খাটেন কুদ্দুস। এরপর ২০০৭ সালের ২৯ জুন রাতে রফেজা খাতুন নামে এক নারীর ওপর এডিস নিক্ষেপ করেন কুদ্দুস। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রফেজা খাতুনের মামলায় জেল খাটেন তিনি। এ ছাড়া একই বছর রাতের আঁধারে রফেজার ধানি জমি থেকে সব ধান কেটে নিয়ে আসেন কুদ্দুস ও তার লোকজন। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবেশি এক নারীর ঘরে আগুন দেন কুদ্দুস। এ সময় বালতিতে পানি নিয়ে সবাই এগিলে গেলেও কুদ্দুস যান রামদা নিয়ে। পরে এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শুধু তাই নয়, একই বছর বিদ্যুতের পিলারের টাকা নিয়ে রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন কুদ্দুস। রশিদের ছোট ভাই মনির এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকে রামদা দিয়ে ধাওয়া দেন তিনি। পরে মধ্যরাতে কুদ্দুসকে ধরে নিয়ে যান মনিরের লোকজন। এ ছাড়া আলী আশ্রাফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তার ছেলে শাহজালালকে ধরে নিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটান কুদ্দুস। বিষয়টি সালিশে মিমাংসা হলেও কিছুদিন পর আলী আশ্রাফকে একা পেয়ে রামদা দিয়ে ধাওয়া দেন তিনি। এ সময় আলী আশ্রাফের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে কুদ্দুস পালিয়ে যান। বছর ছয়েক আগে নিজের ছোট ভাই আব্দুর রবকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন কুদ্দুস। এ সময় আব্দুর রবকে বাঁচাতে বারেক এগিলে গেলে তাকেও কুদ্দুস মারধর করেন। এ ছাড়া কুদ্দুস তার বাড়ির লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কুদ্দুসের শক্তির উৎস ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ। শেখ হাসিনার পতনের পর সেলিম কিছুদিন ঢাকার উত্তরায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে বিদেশে পাড়ি জমান। এর মধ্যে কুদ্দুস আশ্রয় নেন বিএনপিতে। ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরহাদ ভূইয়া তাকে দলে টেনে নিয়ে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বসান। অভিযোগ রয়েছে, ফরহাদ ভূইয়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কুদ্দুসকে এই পদ দিয়েছেন। এ নিয়ে দলটির স্থানীয় বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আপত্তি জানালেও কারো কথাই তোয়াক্কা করেননি ফরহাদ ভূইয়া। পদ পাওয়ার পর থেকেই কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ বারেকের পরিবারের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নানা সময়ে কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। জোর করে আমার জমি দখল করে রেখেছে। আমার জমিতে গাছ লাগিয়েছে, সেই গাছ কটাতে গেলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, আমার ও আমার ছেলে-মেয়ের নামে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করে। এর মধ্যে একটি জায়গা সংক্রান্ত মামলা। এই মামলায় আদালতের রায় আমার পক্ষে এলেও সেই জায়গায় থাকা গাছ কাটতে দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, কুদ্দুসের অত্যাচারে শুধু আমি নই, এলাকার অনেকেই অতিষ্ঠ। কেউ কোনো কিছুর প্রতিবাদ করলে তাকে রামদা নিয়ে কোপাতে যায়। নানাভাবে হুমকি দেয়। এ কারণে অনেকেই তার ভয়ে কোনো কথা বলে না। এখন বিএনপির কমিটিতে পদ পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। ঈদের দিন কোরবানির গরুর বর্জ্য আমার ঘরের কাছে রেখে গেছে, যেন দুর্গন্ধে আমরা কেউ বাড়িতে থাকতে না পারি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কুদ্দুস লোকজনকে হুমকি দেয়। কখনো কখনো মারধর করতে তেড়ে আসেন। তার কাছে বড় একটি রামদা রয়েছে, যেটা দিয়ে সে ভয় দেখায়। যে কারণে ভয়ে কেউ-ই তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না।
বিল্লাল হোসেন নামে একজন বলেন, সালিশে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়গুলো সমাধান করেছি। কিন্তু কুদ্দুস সালিশের কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি বরং নানাভাবে বারেকের পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে। বারেকের জমি দখল করে উল্টো পাঁচটি মামলা করেছে। বিভিন্নভাবে বারেকের পরিবারকে হয়রানি করছে।
এদিকে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা আগে থেকেই কুদ্দুসের নানা অপকর্মের কথা জানতাম। সেই কারণে তাকে যেন দলে স্থান না দেওয়া হয়, সেজন্য ফরহাদ ভূইয়াকে বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু উনি কোনো কথা শোনেননি। কুদ্দুসসহ জসিম নামে একজনকে টাকা দিয়ে তিনি দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। জসিমও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। এলাকার সবাই তাকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবেই চিনে। সরকার পতনের পর ফরহাদ ভূইয়ার ছত্রছায়ায় এখন বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে।
টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরহাদ ভূইয়া বলেন, ‘টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
তার অনুসারী কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বারেকে সঙ্গে কুদ্দুসের দীর্ঘ দিনের বিরোধ। আমি কুদ্দুসকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করব। আপনার এসে দুই ভাইকে মিলিয়ে দেন। এলাকার মানুষ খুশি হবে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কুদ্দুস বলেন, ‘পাঁচটা মামলা করেছি, আরো মামলা করব।’ ভুক্তভোগী বারেকের ঘরের পাশে গরুর বর্জ্য রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় নিজের বড় ভাইকে হয়রানি করতে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করেন আব্দুল কুদ্দুস। শুধু মামলা করেই ক্ষ্যান্ত হননি, জোর করে জমি দখল ও বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নেন কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করে বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক।
এ ছাড়া রাতের আঁধারে অন্যের জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া, এক নারীর ওপর এসিড নিক্ষেপ, নিজের মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধরসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এই ব্যক্তি ভোল পাল্টে বাগিয়ে নিয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির পদ। এর পর থেকেই বড় ভাই আব্দুল বারেকের পরিবারের ওপর তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। সর্বশেষ গত ৭ জুন ঈদুল আজহার দিন কোরবানির গরুর বর্জ্য বারেকের ঘরের পাশে রেখে আসেন কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস কুমিল্লার সদর উপজেলার ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তিনি ‘মামলাবাজ’ ও ‘সুদখোর কুদ্দুস’ হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে বড় ভাই বারেকের সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে কুদ্দুসের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বসে। সালিশের সিদ্ধান্ত বারেক মেনে নিলেও কুদ্দুস মানেননি। পরে বারেক ও তার পরিবারের নামে একে একে পাঁচটি মামলা করেন। মামলায় কুদ্দুস কোনা তথ্য প্রমাণ দিতে না পারায় সব মামলা খারিজ হয়ে যায়।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১০ মার্চ নিজের মা শামসুন্নাহার ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লুৎফা বেগমকে বেধড়ক পেটান কুদ্দুস। এ সময় উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে তাদেরও মারধর করেন তিনি। ঘটনা পর তার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় বেশ কয়েকবার জেল খাটেন কুদ্দুস। এরপর ২০০৭ সালের ২৯ জুন রাতে রফেজা খাতুন নামে এক নারীর ওপর এডিস নিক্ষেপ করেন কুদ্দুস। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রফেজা খাতুনের মামলায় জেল খাটেন তিনি। এ ছাড়া একই বছর রাতের আঁধারে রফেজার ধানি জমি থেকে সব ধান কেটে নিয়ে আসেন কুদ্দুস ও তার লোকজন। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবেশি এক নারীর ঘরে আগুন দেন কুদ্দুস। এ সময় বালতিতে পানি নিয়ে সবাই এগিলে গেলেও কুদ্দুস যান রামদা নিয়ে। পরে এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শুধু তাই নয়, একই বছর বিদ্যুতের পিলারের টাকা নিয়ে রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন কুদ্দুস। রশিদের ছোট ভাই মনির এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকে রামদা দিয়ে ধাওয়া দেন তিনি। পরে মধ্যরাতে কুদ্দুসকে ধরে নিয়ে যান মনিরের লোকজন। এ ছাড়া আলী আশ্রাফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তার ছেলে শাহজালালকে ধরে নিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটান কুদ্দুস। বিষয়টি সালিশে মিমাংসা হলেও কিছুদিন পর আলী আশ্রাফকে একা পেয়ে রামদা দিয়ে ধাওয়া দেন তিনি। এ সময় আলী আশ্রাফের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে কুদ্দুস পালিয়ে যান। বছর ছয়েক আগে নিজের ছোট ভাই আব্দুর রবকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন কুদ্দুস। এ সময় আব্দুর রবকে বাঁচাতে বারেক এগিলে গেলে তাকেও কুদ্দুস মারধর করেন। এ ছাড়া কুদ্দুস তার বাড়ির লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কুদ্দুসের শক্তির উৎস ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ। শেখ হাসিনার পতনের পর সেলিম কিছুদিন ঢাকার উত্তরায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে বিদেশে পাড়ি জমান। এর মধ্যে কুদ্দুস আশ্রয় নেন বিএনপিতে। ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরহাদ ভূইয়া তাকে দলে টেনে নিয়ে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বসান। অভিযোগ রয়েছে, ফরহাদ ভূইয়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কুদ্দুসকে এই পদ দিয়েছেন। এ নিয়ে দলটির স্থানীয় বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আপত্তি জানালেও কারো কথাই তোয়াক্কা করেননি ফরহাদ ভূইয়া। পদ পাওয়ার পর থেকেই কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ বারেকের পরিবারের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নানা সময়ে কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। জোর করে আমার জমি দখল করে রেখেছে। আমার জমিতে গাছ লাগিয়েছে, সেই গাছ কটাতে গেলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, আমার ও আমার ছেলে-মেয়ের নামে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করে। এর মধ্যে একটি জায়গা সংক্রান্ত মামলা। এই মামলায় আদালতের রায় আমার পক্ষে এলেও সেই জায়গায় থাকা গাছ কাটতে দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, কুদ্দুসের অত্যাচারে শুধু আমি নই, এলাকার অনেকেই অতিষ্ঠ। কেউ কোনো কিছুর প্রতিবাদ করলে তাকে রামদা নিয়ে কোপাতে যায়। নানাভাবে হুমকি দেয়। এ কারণে অনেকেই তার ভয়ে কোনো কথা বলে না। এখন বিএনপির কমিটিতে পদ পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। ঈদের দিন কোরবানির গরুর বর্জ্য আমার ঘরের কাছে রেখে গেছে, যেন দুর্গন্ধে আমরা কেউ বাড়িতে থাকতে না পারি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কুদ্দুস লোকজনকে হুমকি দেয়। কখনো কখনো মারধর করতে তেড়ে আসেন। তার কাছে বড় একটি রামদা রয়েছে, যেটা দিয়ে সে ভয় দেখায়। যে কারণে ভয়ে কেউ-ই তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না।
বিল্লাল হোসেন নামে একজন বলেন, সালিশে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়গুলো সমাধান করেছি। কিন্তু কুদ্দুস সালিশের কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি বরং নানাভাবে বারেকের পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে। বারেকের জমি দখল করে উল্টো পাঁচটি মামলা করেছে। বিভিন্নভাবে বারেকের পরিবারকে হয়রানি করছে।
এদিকে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা আগে থেকেই কুদ্দুসের নানা অপকর্মের কথা জানতাম। সেই কারণে তাকে যেন দলে স্থান না দেওয়া হয়, সেজন্য ফরহাদ ভূইয়াকে বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু উনি কোনো কথা শোনেননি। কুদ্দুসসহ জসিম নামে একজনকে টাকা দিয়ে তিনি দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। জসিমও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। এলাকার সবাই তাকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবেই চিনে। সরকার পতনের পর ফরহাদ ভূইয়ার ছত্রছায়ায় এখন বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে।
টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ১নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরহাদ ভূইয়া বলেন, ‘টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
তার অনুসারী কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বারেকে সঙ্গে কুদ্দুসের দীর্ঘ দিনের বিরোধ। আমি কুদ্দুসকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করব। আপনার এসে দুই ভাইকে মিলিয়ে দেন। এলাকার মানুষ খুশি হবে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কুদ্দুস বলেন, ‘পাঁচটা মামলা করেছি, আরো মামলা করব।’ ভুক্তভোগী বারেকের ঘরের পাশে গরুর বর্জ্য রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, ২০২৩ সালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম এজাহারনামীয় আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেপুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৫-২০ দিন আগে আল-আমিন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে খুঁজে পেয়ে বৃহস্পতিবার বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। পরিবারের পক্ষ থেকে আল-আমিনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য আল-আমিনের পরিচয় পত্র সংগ্রহের জন্য আজ দুপুরে তার বড় ভাই বেল্লাল খান স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় মহাসড়কের দুই দিকেই ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা থেকে পুলিশ ও গৌরীপুর সেনাক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
১৯ ঘণ্টা আগেগলাচিপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান এবং দশমিনারে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরতিজা হাসান শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে তিন দিনের জন্য নিজ নিজ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে