এক অঙ্কের ঘরে নামল মূল্যস্ফীতি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বাজারে ভরপুর শীতের সবজি, দামও এসেছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে। জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে আসার পেছনে এটি বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজনীতি ডটকম ফাইল ছবি

টানা চার মাস দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। নতুন বছরের প্রথম মাসে এসে সেই মূল্যস্ফীতি নেমেছে এক অঙ্কে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমলেও জানুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়ে গেছে। আবার এক অঙ্কে থাকলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে এ বছরের জানুয়ারির মূল্যস্ফীতি আগের বছর জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির চেয়ে কিছুটা বেশি রয়ে গেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে ডিসেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে কিছুটা বেড়ে দাাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে।

শীতের বাজারে সবজির অবাধ সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে দাম কমে আসাকে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগ পর্যন্ত সবজির বাজারও ছিল ভীষণ চড়া, যা শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে।

এদিকে জানুয়ারিতে গ্রাম এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ। আর শহর এলাকায় জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা ডিসেম্বরের ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

এক বছর আগের ব্যবধানে পণ্য বা সেবার খরচ কতটা পরিবর্তন হলো, সেটিই মূলত নির্দেশ করে মূল্যস্ফীতি। সে হিসাবে জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীকি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশের অর্থ হলো— ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবা কিনতে ১০০ টাকায় গুনতে হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে একই পণ্য বা সেবার জন্য খরচ করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মূল্যস্ফীতিতে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ নিজেও মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে। জুন মাস নাগাদ মূল্যস্ফীতি কমে ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

ad
ad

অর্থের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জেট ফুয়েলের দাম আরো বাড়ল

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিইআরসি সচিব মো. নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দর নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যা কার্যকর হবে আগামীকাল ৯ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

৩ দিন আগে

পে কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকারের: অর্থ উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, পে কমিশনের ব্যাপারটা আছে। এটা নিয়ে আমরা এখন কিছু বলতে পারি না। ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। আমরা ইনিশিয়েট করে ফেলেছি। কিন্তু সেটা আগামী সরকার হয়তো করতে পারে।

৩ দিন আগে

৪-৫ দিনে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন চেয়ে অনেকেই আবেদন দিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন আবেদন রয়েছে দুই হাজার ৮০০টি।

৩ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্ম লবির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বড় অর্জন: প্রেস সচিব

প্রেস সচিব বলেন, ড. খলিল বাংলাদেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে মার্কিন ফার্ম লবির একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছেন। তার এই প্রচেষ্টা সম্প্রতি ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে, প্রধান আলোচক হিসেবে তার দক্ষতাপূর্ণ ভূমিকার ফলে আমরা এমন প্রতিযোগিতাম

৩ দিন আগে