প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট কার্যকর হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই)। ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’ শিরোনামের এই বাজেট সরকারের দৃষ্টিতে এটি ‘সংকোচনমূলক’।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেট চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। আগের অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমে যাওয়ার নজির এই প্রথম।
গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার হয়। পরে ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ বাজেট আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বাজেটে নতুন অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তি কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনা হলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।
তবে আয়কর আইন অনুযায়ী, যেকোনো করদাতা নিয়মিত করের সঙ্গে আরও বাড়তি ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আয়ের উৎস বৈধ হতে হবে।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা আগের বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমিয়েছি। গত মে মাসে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে ছিল। বর্তমান যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে চলতি জুন শেষে এটি ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আগামী বছর আমাদের মূল্যস্ফীতি যখন ৬ শতাংশে নেমে আসবে তখন আমরা আবার সম্প্রসারণমূলক বাজেটের দিকে যাব।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সুদ পরিশোধে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে বেতন, ভাতা ও ভর্তুকির মতো খরচ চলতি অর্থবছরের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে নতুন বাজেটে। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখা হয়েছে।
বাজেটে সব পণ্যে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বসানোর সিদ্ধান্ত থাকছে। বর্তমানে অসমভাবে ভ্যাট বসানো রয়েছে। কর ছাড় কমিয়ে রাজস্ব বোর্ড নতুন কর ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক উন্নতির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ শতাংশ।
এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৯ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির (এনটিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে বৈদেশিক অনুদানের প্রত্যাশা করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বছরের জন্য সরকারের নতুন বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে এক লাখ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নতুন অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। গত অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।
নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট কার্যকর হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই)। ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’ শিরোনামের এই বাজেট সরকারের দৃষ্টিতে এটি ‘সংকোচনমূলক’।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেট চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। আগের অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমে যাওয়ার নজির এই প্রথম।
গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার হয়। পরে ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ বাজেট আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বাজেটে নতুন অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তি কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনা হলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।
তবে আয়কর আইন অনুযায়ী, যেকোনো করদাতা নিয়মিত করের সঙ্গে আরও বাড়তি ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আয়ের উৎস বৈধ হতে হবে।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা আগের বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমিয়েছি। গত মে মাসে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে ছিল। বর্তমান যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে চলতি জুন শেষে এটি ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আগামী বছর আমাদের মূল্যস্ফীতি যখন ৬ শতাংশে নেমে আসবে তখন আমরা আবার সম্প্রসারণমূলক বাজেটের দিকে যাব।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সুদ পরিশোধে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে বেতন, ভাতা ও ভর্তুকির মতো খরচ চলতি অর্থবছরের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে নতুন বাজেটে। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখা হয়েছে।
বাজেটে সব পণ্যে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বসানোর সিদ্ধান্ত থাকছে। বর্তমানে অসমভাবে ভ্যাট বসানো রয়েছে। কর ছাড় কমিয়ে রাজস্ব বোর্ড নতুন কর ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক উন্নতির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ শতাংশ।
এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৯ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির (এনটিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে বৈদেশিক অনুদানের প্রত্যাশা করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বছরের জন্য সরকারের নতুন বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে এক লাখ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নতুন অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। গত অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ রবিবারও চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি’। রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার রোধ ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেন তারা। এতে
২ দিন আগেএর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।
২ দিন আগেএনবিআরের আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ রোববার কোনো বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।
২ দিন আগেএনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে। চেয়ারম্যানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ঘর ফিরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
৩ দিন আগে