প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
দেশের পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারদরের সীমা তুলে দেওয়ার পর প্রথম লেনদেনের দিনেই রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় দরপতন হয়েছে। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এতো দিন ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়নি।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে এক দিনে এতো বেশি দরপতন হয়নি।
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বশেষ দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিযন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়।
এর আগে ২০২০ সালে আরও একবার ফ্লোর প্রাইস দিয়ে তা ২০২১ সালে তুলে নেয় বিএসইসি। তবে বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সুরক্ষা দিতে এতো দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস এর আগে দেখা যায়নি। এর ফলে গত প্রায় দেড় বছর পুঁজিবাজারেও একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এ অবস্থায় বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।
রোববার ডিএসইতে পৌনে ৪০০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে, বেড়েছে মাত্র ৫৪টির। বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বাজারের এই আচরণ প্রত্যাশিত উল্লেখ করে বলেছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় কয়েক দিন পুঁজিবাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এরপর বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।
তারা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে রোববার সকালে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেটি সমন্বয় হতে শুরু করে। লেনদেনের শুরুর তুলনায় শেষদিকে বিক্রির চাপ কম থাকায় বড় ধরনের ধসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। মার্কেট সমন্বয় হয়ে একটি অবস্থানে আসার পর আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫৭টির শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা তুলে নিয়েছে বিএসইসি। তবে ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর বহাল রাখা হয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে, আনোয়ার গ্যালভ্যানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস এক্সেসরিজ, খুলনা পাওয়ার, কাট্টলি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি আজিয়াটা, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
দেশের পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারদরের সীমা তুলে দেওয়ার পর প্রথম লেনদেনের দিনেই রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় দরপতন হয়েছে। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এতো দিন ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়নি।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে এক দিনে এতো বেশি দরপতন হয়নি।
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বশেষ দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিযন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়।
এর আগে ২০২০ সালে আরও একবার ফ্লোর প্রাইস দিয়ে তা ২০২১ সালে তুলে নেয় বিএসইসি। তবে বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সুরক্ষা দিতে এতো দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস এর আগে দেখা যায়নি। এর ফলে গত প্রায় দেড় বছর পুঁজিবাজারেও একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এ অবস্থায় বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।
রোববার ডিএসইতে পৌনে ৪০০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে, বেড়েছে মাত্র ৫৪টির। বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বাজারের এই আচরণ প্রত্যাশিত উল্লেখ করে বলেছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় কয়েক দিন পুঁজিবাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এরপর বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।
তারা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে রোববার সকালে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেটি সমন্বয় হতে শুরু করে। লেনদেনের শুরুর তুলনায় শেষদিকে বিক্রির চাপ কম থাকায় বড় ধরনের ধসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। মার্কেট সমন্বয় হয়ে একটি অবস্থানে আসার পর আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫৭টির শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা তুলে নিয়েছে বিএসইসি। তবে ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর বহাল রাখা হয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে, আনোয়ার গ্যালভ্যানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস এক্সেসরিজ, খুলনা পাওয়ার, কাট্টলি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি আজিয়াটা, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক
৫ দিন আগেদেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম ওয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা করে।
৫ দিন আগেপাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বরং এটাকে সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন বলে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
৫ দিন আগেউদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে প্রয়োজন ছিল সাহসী নেতৃত্ব— যিনি বা যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বাজারচিত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান নেতৃত্ব পুঁজিবাজারবান্ধব নয়। সরকারও পুঁজিবাজার বিষয়ে উদাসীন। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিএসইসি চেয়ারম্যানের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
৭ দিন আগে